
মাহবুব জামান
আজ সকালে ইউ টিউবে ভিডিওটা দেখে আৎকে উঠলাম। এসব কি হচ্ছে ? ভাবলাম শেয়ার করা উচিত।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর ,উৎসব, নাটক,আইনী ভিত্তি, বর্জন -এ সব নিয়ে সবাই মাতোয়ারা।পাশেই মানিক মিয়া এভিনিউতে জুলাই আন্দোলনে হাত-পা হারাদের কৃত্রিম হাত-পা গুলোও পুলিশ লাঠিচার্জ করে ভেঙে-চুরে দিল। কী সম্মান আন্দোলনের আহতদের প্রতি!!!
সবাই বলছে এটা এক ঐতিহাসিক মুহুর্ত।এই দলিল, স্বাক্ষরকারীদের ছবি,কলম সব জাদুঘরে থাকবে।শুধু দেশবাসী নয়, বিশ্ববাসী বিস্ময় নিয়ে দেখবে এই জাদুঘর!
অন্যদিকে গণভোট,নির্বাচন ফেব্রুয়ারী না ডিসেম্বর? কোনটা আগে,কোনটা পরে তা নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক।
কিন্তু, এর আড়ালে কী হচ্ছে? আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, যিনি আমেরিকায় রজার রহমান,আর বাংলাদেশে খলিলুর রহমান উনি এখন কোথায়? সেনাপ্রধান হঠাৎ লালমনিরহাটে কেন? সেন্ট মার্টিনে কি হচ্ছে? মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ফিটজেরাল্ড এখন বঙ্গোপসাগরে কেন?
সনদ ,গণভোট আর নির্বাচনের ডামাডোলে আমরা আর এসব দেখছি না।
কোন রাজনৈতিক দল বা কোন বিবেকবান মানুষ এ সম্পর্কে কিছু বলেছেন শুনিনি।
অনুগ্রহ করে সংযুক্ত ভিডিওটা একটু দেখুন।
এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র!!!
একাত্তরে সপ্তম নৌবহর ভারত মহাসাগরে ঢুকতে পারেনি,আর আজ ফিটজেরাল্ড বঙ্গোপসাগরে !!!
এর আগে তরুন সমাজের কাছে আহ্বান জানিয়ে ছিলাম।এবার দেশের বিবেকবান সকলের কাছে, রাজনীতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, নারীসমাজ, শ্রমিক-কৃষক,ছাত্র সমাজ তথা সব নাগরিকদের আহবান করছি-দেশের মুক্তিযুদ্ধ ,মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে বাঁচান।
আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি,সপ্তম নৌবহর ঠেকিয়েছি,সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত
আকাশের নীচে পাকিস্তানের ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্যকে আত্মসমর্পণ করিয়েছি।স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা এনেছি।
এখন একে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে।আর এসবকে আড়াল করার জন্য অন্যান্য বহু মুখরোচক ইস্যু সামনে তুলে আনা হচ্ছে।
এখনই রুখে দাঁড়ানোর সময়।
আসুন, আমরা সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।আমরা জিতবোই।
জয় বাংলা !!!