অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং সুপরিকল্পিতভাবে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো-গোছানো বাংলাদেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণের জীবন বিভীষিকাময় করে তুলেছে। গত কয়েকদিন ধরে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতাহীন অবৈধ দখলদার সরকারের উদাসীনতায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসব ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত সকলের বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
কিন্তু আমাদের উদ্বেগের জায়গা হলো, এই অবৈধ দখলদার সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকায় সম্পূর্ণভাবে উদাসীন। এক, তাদের উদাসীনতার জন্য এসব অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। দুই, আগুন নেভানো ও অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা কমাতে গাফিলতি ও সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট। তিন, লাশ নিয়ে রাজনীতি। যেমন- প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণিত সংখ্যার সঙ্গে সরকার প্রদত্ত সংখ্যার বিস্তর ফারাক। সর্বোপরি, নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে আওয়ামী লীগের উপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা।
মূলত এই অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের মূল লক্ষ্য হলো, দেশ ও দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি রেখে বিদেশি তাবেদার প্রতিষ্ঠিত করা। বাংলাদেশ যাতে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি না পায়, সেই অবস্থা সৃষ্টি করা। জননেত্রী শেখ হাসিনার করা উন্নয়নের স্মারক ধ্বংস করে তার সুফল থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা। এই অবৈধ দখলদার সরকারের এহেন অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই অবৈধ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা অধিকাংশ বিদেশি পাসপোর্টধারী এবং বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। দেশ ধ্বংস হলে এরা বিকল্প জায়গায় চলে যাবে। আমাদের দেশ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে সবকিছু উজাড় করে দিতে হবে। তাই দেশবিরোধী এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।