Close Menu

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    জনপ্রিয় সংবাদ

    বিশ্ববিদ্যালয়ে “বহিরাগত” এবং হকারদের প্রতি আক্রমনাত্মক মনোভাব কেন?

    October 29, 2025

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হকার-ভবঘুরে’ উচ্ছেদের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন, ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

    October 29, 2025

    অর্থনীতির পতন, মানবিক বিপর্যয়,এক বছরের ব্যবধানে কোটি পরিবার অনাহারে

    October 29, 2025
    Facebook Instagram WhatsApp TikTok
    Facebook Instagram YouTube TikTok
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Subscribe
    • হোম পেইজ
    • বিষয়
      • দেশ (Bangladesh)
      • আন্তজাতিক (International)
      • জাতীয় (National)
      • রাজনীতি (Politics)
      • অথনীতি (Economy)
      • খেলা (Sports)
      • বিনোদন (Entertainment)
      • লাইফ স্টাইল (Lifestyle)
      • শিক্ষাঙ্গন (Education)
      • টেক (Technology)
      • ধম (Religion)
      • পরবাস (Diaspora)
      • সাক্ষাৎকার (Interview)
      • শিল্প- সাহিত্য (Art & Culture)
      • সম্পাদকীয় (Editorial)
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ করুন
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Home » বিশ্ববিদ্যালয়ে “বহিরাগত” এবং হকারদের প্রতি আক্রমনাত্মক মনোভাব কেন?
    Lifestyle

    বিশ্ববিদ্যালয়ে “বহিরাগত” এবং হকারদের প্রতি আক্রমনাত্মক মনোভাব কেন?

    JoyBangla EditorBy JoyBangla EditorOctober 29, 2025No Comments8 Mins Read
    Facebook WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook WhatsApp Copy Link

    লিখেছেন মোশাহিদা সুলতানা ঋতু

    আমি যখনই বিশ্ববিদ্যালয়ে “বহিরাগত” এবং হকারদের প্রতি আক্রমনাত্মক আ্যটিটিউড নিয়ে লিখি, আমার ওয়ালে এসে এক দল লিখে যায় বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে এগুলো নেই, তাহলে আপনি এসব লিখছেন কেন। এতদিন এসব ইগনোর করেছি। আজকে ভাবছি লেখা দরকার।

    আমি ইউরোপ (সেন্ট্রাল ইউরোপীয়ান ইউনিভার্সিটি), আমেরিকা (নর্থইস্টার্ন, ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি) ক্যানাডা (ডালহৌসী), ও তুরস্কে (মিডেল ইস্ট টেকনিকাল ইউনিভার্সিটি – চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। ক্যামব্রিজে দুই সপ্তাহ একটা শর্ট কোর্স করতে গিয়েছি। অর্থাৎ উন্নত বিশ্বের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ দেখার সুযোগ আমার হয়েছে।

    এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তফাত কী? ঢাকা একটা ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী। ঢাকার প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করে ৩৪,০০০ মানুষ। ভিয়েনায় ৪৯০০ জন, ম্যাসাচুসেটস ক্যামিব্রীজে ৭১১৭ জন, বুডাপেস্টে ৩২০৯ জন, যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রীজ শহরে  ২১৭০ জন, আংকারায় ২৩৬ জন, হ্যালিফ্যাক্সে ৮০ জন।

    এর মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর হলো ম্যাসাচুসেটসের ক্যামব্রীজ। ঢাকার ঘণত্ব ক্যামিব্রিজের প্রায় ৪.৭ গুণ। এমআইটিতে কোথায় খেতাম? দুপুরে লাঞ্চের সময় ফূডট্রাক আসতো। লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে সস্তায় খাবার কিনতাম। ৩ ডলারের এই খাবার কেনার জন্য দুপুরে আসতাম। যেদিন দুপুরে খাওয়ার সময় পেতাম না, গ্রোসারির দোকান ছিল, সেখান থেকে স্যান্ডউইচ কিনে খেতাম সস্তায়। ফুডট্রাক কিন্তু একধরনের হকারই। তফাত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আসে তাদের পুজি কম, তাই ট্রাক নিয়ে আসতে পারে না। ট্রাক নিয়ে আসলে সাথে দামটাও বেড়ে যেতো। এমআইটিতে একটা মজার বিষয় ছিল। দুপুরের ঠিক আগে একটা না একটা সেমিনার থাকতো। সেখানে ফ্রি ফুড দিতো। সেমিনারে কথা শোনা হতো, সাথে লাঞ্চও ফ্রি। বিভিন্ন ক্লাব ছিল। ক্লাবের জন্য বরাদ্দ অর্থ থাকতো। তারাও ফ্রি ফুড দিতো। এই ক্লাবগুলো রাজনৈতিক না। ফ্রি ফুড খাইয়ে ভোট চাইতো না। চাইতো এংগেজমেন্ট। সপ্তাহে তিনদিন অন্তত ফ্রি ফুড খাওয়া হতো। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। বারবিকিউর গন্ধ আসছে। একটা প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে যেতাম। কথা বলতে বলতে লাঞ্চ সাড়া হয়ে গেল। এদেশে।মানুষ ভাববে, কী ব্লবে লোকে ফ্রি ফুড খাই। সেখানে লজ্জা নেই, কারণ সবাই জানে শিক্ষার্থীরা গরীব।

    ২০১৪তে এমআইটিতে আবার গেলাম। দেখি খাবারের জায়গাগুলোতে কমিউনিটি টেবিল। অর্থাৎ একটা বড়ো টেবিলে কেউ যদি গিয়ে বসে বুঝতে হবে সে চায় অন্যরা তার সাথে গল্প করবে। আমি গিয়ে বসলাম। দেখি লিংগুইস্টিক ডিপার্টমেন্টের একটা ছেলে নিজে থেকেই গল্প করতে এলো। বুঝলাম এখানে মানুষ সবাই যোগাযোগের চেষ্টা করে। উদ্দেশ্য খারাপ কিছু না। ইন্টেলেকচুয়াল ডিসকাশন। দেশি বিদেশি মানুষের মতবিনিময়।

    এবার আসি মিডেল ইস্ট টেকনিকাল ইউনভার্সিটিতে। আংকারার তুলনায় ঢাকার ঘনত্ব ১৪৪ গুণ বেশি। মেটু ছিল শহর থেকে দূরে, একটা পাহাড় আর বন দিয়ে ঘেরা জায়গায়। সেখানে এক মাথা থেকে অন্য মাথায় হেটে যেতে ১ ঘন্টা লাগবে হয়তো। সেখানে রিং সার্ভিস ছিল। একটা নীল রঙের বাস চারিদিক ঘুরতো। ফ্রি বাস। দশ মিনিট পরপর চক্কর দিতো ক্যম্পাস। সেখানে ক্যাফেটারিয়ার খাবারের প্রসঙ্গে আসি। ক্যফেটারিয়ার খাবার ছিল দারুণ। গরম ভাত, রুটি, একটা বিশাল বড়ো মুরগীর টুকরা, গরু, মাছ, কীমা দিয়ে রান্না করা শীমের বীচি, ডালের স্যুপ, ব্রকলি গাজর দিয়ে সব্জী, টমেটো স্যুপ, ফুলকপির স্যুপ। কখনো কখনো মিষ্টি আইটেম থাকতো। কখনো ভাতটা বাদাম কিচমিচ দিয়ে রাধা হতো। কখনো বেগুন কীমা দিয়ে দারুণ পাতলিজান দিতো। কখনো দিতো পাস্তা। খাবার পর থাকতো টক দই বা ইউগার্ট। ভাতের বদলে কখনো দিত বুলগুর। বোরড হবার কোনো উপায় নাই। পর পর দুইদিন এক খাবার দিতো না। দাম ছিল সস্তা। উদাহরণ দিই কতো সস্তা। একটা রুটির ভেতর পনির দিয়ে বাইরে যেই দামে বিক্রি করতো তার সমান। সেই হিসাবে ৩০ টাকা ধরা যায়। কিন্তু আইটেম চারটা। সাবসিডাইজড। এবং খেয়েও তৃপ্তি। স্যুপ, ভাত, প্রোটিন, সব্জী, সাথে আবার টক দই। সেখানে রাস্তায় খাবার বিক্রি হতো না একটা জায়গা ছাড়া। সেখানে তাজা মাছ বাইরে গ্রীল করা হতো। মাছটা দিতো একটা রুটির ভেতর। পেয়াজ আর লেবু দিয়ে। এত ভাল খাবার থাকলে রাস্তায় কে খাবে? কখনো ক্লাসের চাপে দুপুরের খাবার মিস হলে গ্রোসারি স্টোর থেকে একটা চকলেট বার কিনে খেতাম। চকলেট বারের দাম আর ক্যাফেটারিয়ার খাবারের দাম প্রায় সমান। এগুলো বলছি কারণ খাবারটা কত সস্তা তা বুঝাতে।

    এখন আসি ইউরোপে। ইউরোপ ভিন্ন জায়গা। এখানে সব ডিপার্টমেন্টে কিচেন থাকে। সেখানে ইচ্ছা মত পানি গরম করে কফি খাওয়া যায়। একটা ওপেন জায়গায় একটা সিংক, একটা মাইক্রোওয়েভ। চা কফি খেয়ে ডিশ ওয়াশারে ঢুকিয়ে রাখতে হয়। সবার যার যার লকার আছে। সেখানে খাবার রাখে। বাসা থেকে অনেক শিক্ষার্থীরা খাবার নিয়ে আসে। সেটা নিয়ে সারাদিন রাস্তায় ঘুরতে হয় না। প্রতিটা ডর্মে রান্না করার পর্যাপ্ত জায়গা। ক্যান্টিনের খাবারের দামও কম। তিন থেকে ৫ ইউরোতে তৃপ্তির সাথে দুই তিনটা আইটেম অন্তত খাওয়া যায়। ইনকামের তুলনায় সেই খাবার যথেষ্ট  সস্তা। এছাড়া ক্যাম্পাসের কাছেই সস্তা রেস্টুরেন্ট থাকে। তবে ক্যান্টিনের খাবারের বৈচিত্রের কারণে লোকজন খুব একটা দূরে যায় না।

    এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তাঘাট সিটি কর্পোরেশনের। অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পদ না। এখানে মেট্রোরেলের স্টেশন আছে। বাইরের মানুষ যাওয়া আসা করে। মেট্রোরেল হবার সময় যখন কেউ কেউ এটা নিয়ে বিরোধিতা করেছিল, তাদেরকে উন্নয়নবিরোধী-বাম ইত্যাদি বলা হয়েছিল। এখন কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের স্বার্থে বাইরের মানুষকে ঢুকতে দিতে নারাজ। আবার তারাই মেয়েদের বাজে ভিডিও করে, স্লাট শেমিং করে।

    হাসিনা সরকারের সময় পহেলা বৈশাখের দিনে বিজনেস করার জন্য একবার এরকম হকার উচ্ছেদ করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল কিছু মানুষকে সেদিন দোকান দিয়ে বিজনেস করার সুযোগ করে দেয়া। মাটির পুতুল বিক্রেতা ফেরিওয়ালাদের  ঢুকতে না দিয়ে ক্রাফটের দোকান খোলা হয়েছিল, ডাবওয়ালাদের বের করে দিয়ে জুস সফট ড্রিংক্স বিক্রীর বন্দোবস্ত হয়েছিল। সারাবছর যারা কয়টা ফুল বিক্রির জন্য, কয়টা পতাকা, বেলুন, বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করার আশায় দিন কাটাতো, তাদের সরিয়ে সেই স্টল দেয়া হয়েছিল। খাবারও বিক্রি করা হয়েছিল বেশি দামে। সেই বছর মানুষের উপস্থিতিও ছিল কম।

    এখন আসি গতকালের ঘটনায়। গতকাল কিন্তু বাকবিতণ্ডার শুরু হঠাত এসে একজন হকারের গাড়ির সামনে হাজির হয়ে। পরবর্তীতে পিটিয়ে পালাতে বাধ্য করার মধ্যে দিয়ে মানুষের রাগ ক্ষোভ বৃদ্ধি। এরকম তো এখনই হয়েছে তা না। আগেও হঠাত হকার বের করে দেয়ার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল হয় চাদার পরিমান বাড়ানো, অথবা নিজেদের কোনো লোক বসানো। তো, এসব করতে গিয়ে একটা সমাজ দরদী ভাব দেখাতে হতো সেইসব শিক্ষার্থীদের। তাদেরও সিলেক্টিভ কিছু মানুষের  সমর্থন দরকার ছিল। সেই সিলেক্টিভ মানুষেরা ছিল ছাত্রলীগের কর্মীরা।

    কয়দিন সবাই চা না খেয়ে মুড়ি না খেয়ে কাটায়। একদিন ক্লাবে একজন শিক্ষকের সাথে দেখা। বলছেন, আপা মেয়ে ফুচকা খেতে চাইছে। ক্যাম্পাসে সব ফুচকার দোকান উঠিয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে নিউমার্কেটে গেলাম। সেই সময়ের কথা বলছি। তখন এই অবস্থা চলছিল।

    এখানে আমাদের কমিউনিটি টেবিল নাই। তার সাবস্টিটিউট আছে কিছু নীচু দেয়াল, ঘাস, গ্রীলের পাশে একটু কনক্রীট, কিছু প্লাস্টিকের চেয়ার। এখানে আছে কমিউনিটির জন্য সস্তা রাস্তার খাবার। একটা দেশের সংস্কৃতি এর আর্থ সামাজিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে গড়ে ওঠে। সেটাকে ভাংতে গেলে সাবস্টিটিউট দিতে হয়। সুযোগ সুবিধা দিতে হয়। নাহলে আজকে ভাংলে কালকেই আবার গড়ে উঠবে এগুলো।

    আমার দেশের জনসংখ্যা বেশি, তাই কি মানুষ মেরে ফেলবো? আমার দেশের মানুষের আয় কম, তাই কি তাকে ঢ্যালঢ্যালা ডাল খাওয়াবো? আমার দেশের মানুষের জন্য যথেষ্ট পার্ক উদ্যান নেই। তাই কী তাদের খেদিয়ে বের করে দিব? আমার দেশের মানুষের শ্রমটাই আছে বিক্রি করার মত। তাদের মজুরী তো দিতেই পারিনা আমরা, সেজন্য কি ভ্যান উলটো করে দিব? রিক্সা ভেঙ্গে দিব?

    এতোটুকু সহণশীলতা যাদের নাই, এতোটুকু নুন্যতম দায় বোধ যাদের নাই তারা সমাজের কী উপকারে আসবে? কিছু বললেই বলে, পাগলকে নিজের বাসায় নিয়ে যান। অদ্ভুত মানুষের বুঝ। কারো সমস্যা বুঝতে চায় না। নিজেরটা ছাড়া।

    একদিন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, রাত নয়টায় রিক্সা পাচ্ছি না ক্যাম্পাসে, কারণ বাইরের রিক্সা ঢোকা নিষেধ। একজন প্রবাসী শিক্ষার্থী এসে সাজেশন দিয়েছে, হেটে চলাফেরা করা শেখেন। বিদেশে তো হেটেই চলি। এরকম ছাত্ররা যখন বিদেশ যায়, ভুলে যায় হেটে যাওয়ার মত ফুটপাথ নেই। রাতের বেলা হাটা নিরাপদ না। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যারা দেশের সাথে বিদেশ তুলনা করে তারা সিলেক্টিভ কিছু জিনিস দেখে। রাস্তা খালি দেখে, নিরাপত্তাটা ইচ্ছা করে দেখে না। ক্যাম্পাসে বেশি মানুষের আনাগোনা দেখে, জনসংখ্যার ঘণত্ব বা খোলা জায়গার অভাব দেখে না। তারা শুধু বিদেশ দেখতে চায়, বিদেশ কেন এবং কোন জনকল্যাণমুখী নীতির কারণে বিদেশ তা দেখতে চায় না। তারা উন্নত বিশ্বের ক্যম্পাসের মত ক্যাম্পাস দেখতে চায়, ক্যাম্পাস যে সংবেদনশীলতার মধ্যে দিয়ে মানবিক হয়ে ওঠে তা দেখতে চায় না। তারা চায়, তারা মানুষ পেটাবে, কিন্তু কেউ পালটা জবাব দেবে না। একটু রাগও দেখাতে পারবে না। বিড়ালের মত মিউ মিউ করে হেটে চলে যাবে।

    যাদের বিদেশ নিয়ে প্রশ্ন তাদের জানিয়ে রাখি পুরো ছাত্রজীবন গরীবত্বের মধ্যে কাটিয়েছি। এমন দিন গেছে দুপুরে না খেয়ে কাটিয়েছি, হেটে চলাফেরা করেছি। পেস্ট্রির দোকানে বাইরে দিয়ে কেকের দিকে তাকিয়ে থেকেছি। মা যখন ফোন করে বলতো, জন্মদিনে একটা কেক কিনে খা, দোকানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভেবেছি, যেদিন টাকা হবে কেক খাব। আমি জানি আমাদের ক্যম্পাসে এরকম অনেক ছাত্র ছাত্রী আছে। তারা গরীবের কষ্ট ভাল মতই বুঝে। নির্যাতিতর পক্ষে এমনি এমনি দাড়াই না আমরা। নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দিনরাত পরিশ্রম করে। বিদেশ গিয়ে আমরাও তাদের মতই চলেছি। বাড়তি কষ্ট ছিল ভাষার। সমাজবিচ্ছিন্ন থাকতে হয়েছে যেমন, ভালবাসাও পেয়েছি অগাধ।

    ভালবাসা, সহনশীলতা আমাদেরকে অনেককিছু বুঝতে দেয়। যারা বুঝতে চায়না তারা মনে করে দুনিয়াটা যুদ্ধের ময়দান, সবকিছু জোর করে হাসিল করতে হয়।

    এখন অনেক টাকা খরচ করে খাবার খাবে, চিকিৎসা নেবে, শিক্ষা নেবে, নাকি সকলের জন্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের নিজেদের। একদিক দিয়ে হকার পিটিয়ে, অন্যদিক থেকে মাদকাসক্তি নির্মুল করার কথা বলে। কিছুর সাথে কিছুর মিল নেই। এই মিল না থাকার মানে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা ঢাকা।

    দেশের কনটেক্সট না বুঝে, ইতিহাস না দেখে, দেশকে বিদেশ বানানোর কথা বলে প্রকল্প নিলে বদহজমই হবে। এর বেশিই কিছু হবে না।”

    picks
    Share. Facebook WhatsApp Copy Link
    Previous Articleঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হকার-ভবঘুরে’ উচ্ছেদের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন, ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
    JoyBangla Editor

    Related Posts

    অর্থনীতির পতন, মানবিক বিপর্যয়,এক বছরের ব্যবধানে কোটি পরিবার অনাহারে

    October 29, 2025

    একটা বড় ঝড় আসছে, গর্জন শুনতে পাচ্ছেন তো?

    October 29, 2025

    নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্বিচার গ্রেপ্তার: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আওয়ামী লীগের অভিযোগ দায়ের

    October 29, 2025

    অশান্তির আগুনে পুড়ছে দেশ

    October 28, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সম্পাদকের পছন্দ

    বিশ্ববিদ্যালয়ে “বহিরাগত” এবং হকারদের প্রতি আক্রমনাত্মক মনোভাব কেন?

    October 29, 2025

    অর্থনীতির পতন, মানবিক বিপর্যয়,এক বছরের ব্যবধানে কোটি পরিবার অনাহারে

    October 29, 2025

    একটা বড় ঝড় আসছে, গর্জন শুনতে পাচ্ছেন তো?

    October 29, 2025

    নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্বিচার গ্রেপ্তার: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আওয়ামী লীগের অভিযোগ দায়ের

    October 29, 2025
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • TikTok
    মিস করবেন না
    Lifestyle

    বিশ্ববিদ্যালয়ে “বহিরাগত” এবং হকারদের প্রতি আক্রমনাত্মক মনোভাব কেন?

    By JoyBangla EditorOctober 29, 20250

    লিখেছেন মোশাহিদা সুলতানা ঋতু আমি যখনই বিশ্ববিদ্যালয়ে “বহিরাগত” এবং হকারদের প্রতি আক্রমনাত্মক আ্যটিটিউড নিয়ে লিখি,…

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হকার-ভবঘুরে’ উচ্ছেদের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন, ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

    October 29, 2025

    অর্থনীতির পতন, মানবিক বিপর্যয়,এক বছরের ব্যবধানে কোটি পরিবার অনাহারে

    October 29, 2025

    একটা বড় ঝড় আসছে, গর্জন শুনতে পাচ্ছেন তো?

    October 29, 2025

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    About Us
    About Us

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করে দেশ ও বিদেশের খবর পাঠকের কাছে দুত পৌছে দিতে জয় বাংলা অঙ্গিকার বদ্ধ। তাৎক্ষণিক সংবাদ শিরোনাম ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পেতে জয় বাংলা অনলাইন এর সঙ্গে থাকুন পতিদিন।

    Email Us: info@joybangla.co.uk

    Our Picks

    বিশ্ববিদ্যালয়ে “বহিরাগত” এবং হকারদের প্রতি আক্রমনাত্মক মনোভাব কেন?

    October 29, 2025

    অর্থনীতির পতন, মানবিক বিপর্যয়,এক বছরের ব্যবধানে কোটি পরিবার অনাহারে

    October 29, 2025

    একটা বড় ঝড় আসছে, গর্জন শুনতে পাচ্ছেন তো?

    October 29, 2025

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.