সুদখোর ইউনুসের শাসনের ১৫ মাস চলছে। অবৈধ দখলদার সরকারের রাজত্বের ১৪ মাসে শুধু ঢাকাতেই ৪৫৬টি হত্যাকান্ড ঘটেছে যেগুলোর মামলা রয়েছে, জানিয়েছে খোদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এবছর অক্টোবর পর্যন্ত এই হিসাবে প্রতিমাসে ৩৩টি হত্যামামলা পেয়েছে ডিএমপি। এছাড়া সারাদেশে ৪,১৭৭টি হত্যার মামলা হয়েছে। এটা শুধু মামলার হিসেব। মামলা হয়নি এমনও অনেক হত্যাকান্ড হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে গনপিটুনিতে মারা গেছে ২১৬ জন। অপরাধ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পুলিশ বলছে ৫ আগস্ট লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে মারাত্মক অস্ত্রসহ ২৫% এখনো উদ্ধার হয়নি। ইউনুস ক্ষমতা নিয়েই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তি দিয়েছিল, তাদেরকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না পুলিশ।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এটি একটি খন্ডিত চিত্র মাত্র। ইউনুসের আমলে নদীতে মাছের চেয়ে লাশ বেশি পাওয়া যায়। অক্টোবর মাসে নৌপুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খুলনায় এক বছরে ৫০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ২০২৫ সালে প্রতিমাসে নদীতে গড়ে ৪৩টি লাশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানায় ডয়েচে ভেলে বাংলা।
এত এত হত্যা, এত এত লাশ… কয়জন অপরাধীকে গ্রেফতার তো দূরে থাক, অন্তত চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ? সেই হার ২০ শতাংশেরও কম। অথচ শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধীমতের কারণে লাখো আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থককে এরই মধ্যে জেলে পুরেছে পুলিশ। মিথ্যা মামলা দিয়ে চলছে বাণিজ্য, আবার তাদেরই ঘরবাড়িতে আগুন দিয়ে, ভাংচুর করে লুটপাট চালাচ্ছে ইউনুসপন্থীরা। আইন যেন শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্যেই প্রযোজ্য।
জুলাই মাসের জঙ্গি হামলার আগে তথাকথিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও তাদের প্রতি স্নেহভাজন সুশীলরা নানান স্বপন দেখিয়েছেন, কি কি পরিবর্তন আসবে, বিবিএ পাশ করা ছেলেরা দেশ চালাবে, দলবেঁধে গান গেয়ে সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েছে তারাই বিকল্প, তারাই নাকি সোনার বাংলার দামাল ছেলে। সেই দামাল ছেলেদের আকাঙ্ক্ষিত শাসক ইউনুস ও আসিফ নজরুলরা এসে যে মানুষকে মেরে নদীতে-ড্রেনে ভাসিয়ে দিচ্ছে। এখন সাধারণ মানুষ দিনরাত হায় হায় করছে আর ‘বিবিএ পাশ বিকল্প’রা দামি গাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যাংকে কোটি টাকা নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। আর সুশীল সমাজকে যেন উপদেষ্টা বানিয়ে, সরকারি দায়িত্ব দিয়ে আর মুখে ডলার গুঁজে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। না হলে তাদের তরফ থেকে এত নীরবতা গত ১৫ বছর দেখা যায়নি।
