সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।
Author: JoyBangla Editor
।। ১।। রায়ের বাজার বধ্যভুমি মনে পড়ে সেই কালরাত্রিযে রাতের আঁধারেজাতির বিবেক খুন করেছিলোবদর আর রাজাকারে। শিক্ষক এবং বুদ্ধিজীবিঘর থেকে নিয়ে ধরেক্ষোভে আক্রোশে হায়নার দলমেরেছিলো গুলি করে। বিজয় লগ্নে জাতির স্বপ্নকরে দিতে নিশ্চিহ্নপাক হানাদার আর রাজাকারকরেছিলো কাজ ঘৃন্য। ভেবেছিলো তারা ভেঙে দেয় যদিবাঙালির মেরুদন্ডহয়তো তাহলে অচিরেই হবেএই স্বাধীনতা পন্ড। তাইতো আঁধারে রায়ের বাজারেচৌদ্দ ডিসেম্বররাজাকার দল স্তব্ধ করলোজাতির কন্ঠস্বর। যাদের স্বপ্ন সাধনার ফলেএদেশে মানুষ হাসেরায়ের বাজারে এখন তাদেরকবর ঢেকেছে ঘাসে। কিন্তু যারা খুন করেছিলোআলোকিত সব প্রাণএই দেশে আজ সেই পশুদলগায় বিজয়ের গান! নরপশুদের সহিংসতায়কাঁপছে এখনো দেশকরছে নিত্য কুলষিত তারাসবুজাভ পরিবেশ। রায়ের বাজার বধ্যভূমিআজকে গুমড়ে মরেযখন দেখে রাজাকার দলহাঁটছে দম্ভ করে। খুন…
নূরুজ্জামান মনি এই ছবিটা আঁকলো যে কেবলত পারো কি নামটি তার?কোন পটুয়া তুললো এঁকেমুখটি আমার জাতির পিতার? লক্ষ কোটি বক্ষ জুড়েজ্বলজ্বলে ঐ মুখটি নেতার,মায়ায় ভরা চোখটি যে তার। এই ছবিটা ভাসলে মনেবুকের রক্তে বলক জাগে,লক্ষ প্রাণে ঝলক লাগে। এই ছবিটা রাখাল রাজারভয়ভীতি জয় করলো যে রে,নির্ভয়ে হাল ধরলো যে রে। এই ছবিটা সেই সে বীরেররক্তে তুফান তুললো যে রে,বন্ধ দুয়ার খুললো যে রে। তার ডাকেই দামাল ছেলেঅস্ত্র হাতে ধরতে গেল,লড়াই করে মরতে গেল। অন্ধ কারার দেয়াল ভেঙেআসলো ফিরে বীরের বেশে,উড়িয়ে নিশান আপন দেশে। বিজয় মুকুট মাথায় পরেআসলো ভয়াল রাতের শেষে,তার ছোঁয়াতে সদ্য স্বাধীনদেশের আকাশ উঠলো হেসে। ঐ শুনি তার বজ্রধ্বনিএই…
দিল্লিতে বঙ্গবন্ধুর যাত্রাবিরতি ছিল সংক্ষিপ্ত। রাষ্ট্রপতি ভবনে সৌজন্য কথাবার্তার পর ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানেই তিনি যাত্রা করেছিলেন ঢাকার উদ্দেশে। এ সময় বিমানে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহযাত্রী ছিলেন ফারুক আহমদ চৌধুরী। তিনি সেই যাত্রার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন এভাবে: “…দশই জানুয়ারি ১৯৭২-এর সেই অবিশ্বাস্য সকাল। পালাম বিমানবন্দর। আটটা বেজে দশ মিনিট। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর রুপালি কমেট বিমান ধীরে ধীরে এসে সশব্দে সুস্থির। তারপর শব্দহীন পিনপতন নীরবতা। সিঁড়ি লাগলো। খুলে গেল দ্বার। দাঁড়িয়ে আছেন সহাস্য, সুদর্শন, দীর্ঘকায়, ঋজু নবীন দেশের রাষ্ট্রপতি। অকস্মাৎ এক নির্বাক জনতার ভাষাহীন জোয়ারের মুখোমুখি। সুউচ্চ কণ্ঠে উচ্চারণ করলেন তিনি আবেগের বাধভাঙা দুটি শব্দ-‘জয় বাংলা। করতালি, উল্লাস, আলিঙ্গন-আবেগের অশ্রুতে ঝাপসা স্মৃতি। রাষ্ট্রপতি ভি.ভি.…
জুয়েল রাজ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ী বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটলেও বঙ্গবন্ধু তখনো বন্দি ছিলেন পাকিস্তানি হায়েনাদের কারাগারে। দেশ-বিদেশে তখনো চলছিল বঙ্গবন্ধুকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধু আদৌ বেঁচে আছেন কিনা কিংবা পাকিস্তান তাঁকে ফিরিয়ে দেবে কিনা- সেসব নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর ৩০ লক্ষ মানুষের আত্মাহুতি ও চার লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর বেদনার্ত ইতিহাস- সবকিছু অসম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া। তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তানের কারাগার থেকে বিজয়ীর বেশে আসলেন ইতিহাসের মহানায়ক, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তি পাওয়ার পরই তিনি যেতে চেয়েছেন সদ্য স্বাধীন দেশ তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশে। কিন্তু…
আজ ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। দীর্ঘ নয় মাস কারাভোগের পর পাকিস্তানের কারাগারে তিনি এর আগে ৮ জানুয়ারি মুক্তি লাভ করেন। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান এবং দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে…
ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকেই জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করে তাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক সুফিয়ানের মোবাইল কোর্ট প্রবাসী সাঈদ উদ্দিনকে জরিমানা করেন। জানা গেছে, তাকে ১৯৮০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ১৮৯ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই ধারায় সরকারি কর্মচারীকে হুমকি কিংবা তার কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল বা জরিমানা কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এর আগে, বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে…
ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত ছবি লন্ডন, এরই মধ্যেই খবর এসেছে যে আগামী উনিশে জানুয়ারি শেখ হাসিনা তার দলের নেতাদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন কিংবা নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দিবেন। বাংলাদেশে আন্দোলনের মুখে গত অগাস্টে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যেখানে মূলত তিনি ‘দিকনির্দেশনামূলক’ ভাষণ দিবেন এবং উদ্যোগটি সফল হলে এটিই হবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার নেতাকর্মীদের প্রথম বৈঠক। এ উদ্যোগটি এমন সময় নেয়া হলো যখন দলটির সিনিয়র নেতাদের প্রায়ই সবাই জেলে কিংবা আত্মগোপনে। অবশ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বিবিসি বাংলাকে বলেছেন “আওয়ামী লীগ আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে…
ঢাকা: রাজধানীর বকশী বাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছেেএকদল যুবক। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এজলাসের সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় বিচারকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এজলাস কক্ষ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বিচারকের বসার টেবিল-চেয়ারসহ সবকিছুই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে বিচারকাজ পরিচালনার উপযোগী কোনো পরিস্থিতি নেই। সকালে বিচারপতি ইব্রাহিম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিচারকাজ চালানোর জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী বিচারকাজ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো…
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবীর রিজভী বলেছেন, জনগণকে করের ওপর কর চাপিয়ে জনসমর্থন হারাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কর বর্ধিত করতে পারে না সরকার। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার দোহারে জয়পাড়া কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘আইএমএফের চাপে কর বাড়াতে পারে না সরকার।সরকারকে দেখতে হবে মানুষের পেটে ক্ষুধা আছে কি না, মানুষ ঠিকমতো খেতে পারছে কি না। এটিই হচ্ছে ড. ইউনূস সরকারের দায়িত্ব।’ তিনি বলেন, ‘ভারত শেখ হাসিনার প্রেমে বিগলিত হয়ে তার মতো ভয়ংকর খুনি ও মহাচোরকে আশ্রয় দিয়েছে। পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পরও শেখ হাসিনা কিভাবে ভারতে অবস্থান…
কর্মকর্তাদের সিইসি ঢাকা: কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে আপনারা পক্ষপাতভাবে কাজ করবেন না। আগে পক্ষ নিয়ে কাজ না করলে চাকরির সমস্যা হতো। এবার সেটা নয়। তাই ভয়ের কোনো কারণ নেই।’ ‘এবার সেটার উল্টো হবে। কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে। আমরা কিন্তু শক্ত অবস্থানে যাব। কাজেই আপনারা সঠিকভাবে আইনকানুন মেনেই কাজ করবেন।’ আজ বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের বেঙ্গল কনভেনশন হলে আয়োজিত ‘ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে সিইসি আরও…