সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।
Author: JoyBangla Editor
বর্তমান সেনাপ্রধান বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে কিছু দিগনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে যে তথ্য ও নির্দেশনা দিলেন তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নির্দেশনাসমূহ-১৷ বিনা অপরাধে আর কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা যাবে না ৷ ২৷যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা মনে হয় তাহলে ঐ মামলা নেওয়া হবে না ৷ ৩৷ পুলিশ সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারোও আজ্ঞাবহ হবে না ৷ তারা তাদের কাজ স্বাধীনভাবে পরিচালনা করবে। ৪৷ সবার রাজনৈতিক মিছিল-মিটিং করার সমান অধিকার থাকবে ৷ ৫৷ মব সহ্য করা হবে না ৷ কারো বাড়িঘর হামলা,ভাংচুর,লুটপাট বরদাস্ত করা হবে না ৷ ৬৷ ফ্রি -ফেয়ার ইলেকশনর জন্য যা করনীয় যতদূর যেতে হয় সেনা বাহিনী সে কাজ করবে…
বর্ষিয়ান রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন স্মারক কিংবদন্তী। তিনি বর্তমান বধির রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি একটি বক্তব্য রাখেন।তিনি বলেন,‘ জিয়া আমাকে স্যালুট করতো, স্যার বলতো : ড. কামাল হোসেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন ‘জিয়া কখনও স্বাধীনতার ঘোষক নন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামে।কোন মেজরের ঘোষনায় নয়।ড. কামাল হোসেন আরো বলেছেন, জীবন সায়াহ্নে এসে আদর্শ বিকিয়ে দেবো না। ড. কামাল হোসেন বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধ আমরা করেছি, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারাগারে ছিলাম। স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে হবে। জাতির পিতাকে স্বীকার করতে হবে। ইতিহাস বিকৃতি করে শেষ বয়সে এসে গাদ্দার হতে পারবো না। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই…
।। নিলুফা ইয়াসমিন হাসান।। যখন বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শ্লোগান ‘জয় বাংলা’ নিষিদ্ধ, সেই সময়ে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম শুনে উজ্জীবিত এবং প্রতিবাদের স্পৃহাকে উপজীব্য করে একদল কিশোরের দ্রোহের গল্প নিয়ে নির্মিত শিশুতোষ চলচ্চিত্র মাইক প্রদর্শিত হয়েছে পূর্ব লন্ডনের জেনেসিস সিনেমা হলে। ‘মাইক’ সিনেমা দেখতে প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটেছিল ২৭শে এপ্রিল রোববার। এফ এম শাহীন নিবেদিত গৌরবের একাত্তর এর প্রযোজনায় হাসান জাফরুল ও এফ এম শাহীন পরিচালিত দর্শক নন্দিত আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র ‘মাইক’-এর এক্সক্লুসিভ স্ক্রিনিং — ডায়েসপাড়া ‘৭১ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রদর্শিত হয়। শিশুতোষ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাইক’-এর…
শাড়ি পরা এক নারী ট্রলি ব্যাগ হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ একটি প্রাইভেটকার আসে। সেই চলন্ত প্রাইভেটকারের সামনের জানালা দিয়ে একজন ঝুঁকে পড়েন এবং সেই নারীর হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছোঁ মেরে টান দেন। এতে ব্যাগের সঙ্গে সেই নারীকেও টেনে-হিঁচড়ে অনেক দূর নিয়ে যায় প্রাইভেটকারটি। পরে ওই নারী ব্যাগটি ছেড়ে দিলে প্রাণে রক্ষা পান। কিন্তু সেই নারীর অবস্থা গুরুতর। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর গ্রিনল্যান্ড টাওয়ারের সামনে ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা একটি ভবনের সিসি ক্যামেরায় ঘটনাটি রেকর্ড হয়। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পাড়ে ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রাইভেটকারটি সেই নারীকে যখন…
।। মনজুরুল ইসলাম।। আজকে পত্রিকা পড়তে গিয়ে দুটি খবরে চোখ আটকে গেছে। প্রথম খবরটি আসন্ন বাজেটে শহীদ পরিবার ও আহতদের সহযোগিতায় সরকারের বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে। এতে বলা হয়েছে, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তায় বরাদ্দ আগামী অর্থবছরে আড়াই গুণ বেড়ে ৫৯৩ কোটি টাকা হচ্ছে। অর্থবছরের শুরু থেকেই শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি এককালীন অর্থ এবং চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হবে।’ (শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ বাড়ছে, সমকাল, ২৭ এপ্রিল ২০২৫) শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য সরকার বরাদ্দ বৃদ্ধি করবে—এটাকে ইতিবাচক পদক্ষেপই বলতে হবে। যাঁরা জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা, লড়াইয়ে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন,…
আইনের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এমন প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে উচ্চ আদালতে। এছাড়া এই চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতিরও তথ্য পাওয়া যায়নি। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চের নির্দেশনা অনুসারেই প্রতিবেদনটি দাখিল করে বিদ্যুৎ বিভাগ। দাখিলকৃত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আদানির সঙ্গে নিয়ম মেনেই বিদ্যুৎ চুক্তি করা হয়েছিল। এতে কোনো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি। তাছাড়া, দুর্নীতির বিষয়েও কোনো আলামত মেলেনি চুক্তিতে। প্রধান প্রকৌশলী প্রাইভেট জেনারেশন (আইপিপি) এবিএম জিয়াউল হককে প্রধান করে গঠন করা ৩ সদস্যের একটি কমিটি প্রতিবেদন তৈরি করে।…
নিজেদের অক্ষমতা, দুর্নীতি এবং নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুর্নীতিবাজ দুই এপিএসকে অব্যাহতি প্রদান করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। দুই এপিএসকে অব্যাহতি দেওয়ায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ২৭শে এপ্রিল, রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য মতে মোয়াজ্জেম হোসেন তদ্বির বাণিজ্য করে ৪শ কোটি টাকা অর্জন করেছে। একই অভিযোগ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে। কিন্তু ডা. মাহমুদুল হাসানকে এখনো অপসারণ করা হয়নি।…
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত টেকনাফ স্থলবন্দর ছিল এক সময়ের সম্ভাবনাময় সীমান্তবাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা আমদানি-রপ্তানির পথ ছিল এটি, যা শুধু কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনীতি নয়, দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাও সমৃদ্ধ করত। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে এই বন্দর কার্যত মৃতপ্রায়। এখানে নেই কোনো আমদানি, নেই কোনো রপ্তানি, গুদামে পড়ে আছে কোটি টাকার পচনশীল পণ্য, আর বেকার হয়ে পড়েছে শত শত শ্রমিক। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী একমাত্র মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সেই অবৈধ দখলদার সরকার, যারা দেশ চালানোর বৈধতা হারিয়েছে অনেক আগেই, আর আজ দেশের প্রতিটি খাতকে একের পর এক গলা টিপে হত্যা করছে। টেকনাফ স্থলবন্দরে…
মিথ্যাবাদী ইউনুস: ‘একটি বিষয়ে পুরো দেশ একমত—এই সরকারের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করুন না কেন, সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, এই সরকার দুর্নীতিমুক্ত।’- কাতারের দোহায় ইউনুস (জনকন্ঠ ২৪ এপ্রিল ২০২৫) আসলেই কি দেশের সবাই সুদখোর বাটপার ইউনূসের কথায় একমত? ইউনুস এই কথাটা দেশে বলতে পারে নাই, কারণ ইউনুস জানে যে মানুষ এই কথাটা শুনে তাকে ট্রোল করে পুকি বানিয়ে দিতে পারে। কারণ এই বাটপারকে যারা নিয়োগ দিয়েছে-আসিফ মাহমুদের মত ছাত্র উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এনসিপির মত ভন্ডের দলেরা; তারা সবাই ইতোমধ্যে বাটপারি করে ধরা পড়া শুরু করেছে। চ্যাম্পিয়ন আসিফ মাহমুদ: প্রথমেই আসি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়ে, জানা…
‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’-এই অমর পংক্তিমালার সেই কবি, বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মৌলবাদীরা এই প্রগতিশীল কবিকে দেশছাড়া করেছিল। তৎকালীনর সরকার তাকে মৌলবাদীদের হাত থেকে বাঁচিয়ে ভারতের কলকাতায় পাঠিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছিল। শনিবার রাতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি বয়স্ক নিরাময় কেন্দ্রে মৃত্যু হয় ৭৩ বছর বয়সী এই কবির। তার ভাতিজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার বলেন, “স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে মারা গেছেন চাচা। বিস্তারিত পরে আমরা জানাতে পারব।” ১৯৭৪ সালে দেশ ছাড়ার পর কয়েকবছর কলকাতায় কাটিয়ে ১৯৮৭ সালে সেখান থেকে জার্মানিতে চলে যান কবি দাউদ হায়দার। এরপর…