টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস
৭০ বছরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সিরিজ় হার
প্রথম টেস্টে জয় যে অঘটন ছিল না, তা প্রমাণ করে দিল বাংলাদেশ। ৭০ বছরে দ্বিতীয় বার ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হল পাকিস্তান। ২০২২-২৩ মরসুমে পাকিস্তানের মাটিতে বাবর আজ়মদের হারিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। এ বার শান মাসুদের দলকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট জয়ের পর এ বার নাজমুল হোসেন শান্তরা জিতে নিলেন সিরিজ়ও।
দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৪ রান তোলে পাকিস্তান। সইম আয়ুব (৫৮) এবং শান মাসুদ (৫৭) অর্ধশতরান করেন। শেষবেলায় সলমন আঘা (৫৪) রান না করলে আরও কমে আটকে যেতে পারত পাকিস্তান। মেহেদি হাসান মিরাজ তুলে নেন পাঁচ উইকেট। পাকিস্তানের ইনিংসের জবাবে ২৬২ রান তোলে বাংলাদেশ। লিটন দাস ১৩৮ রান করেন। ৭৮ রান করেন মেহেদি। তাঁরা বাদ দিয়ে কোনও ব্যাটার ১৫ রানের গণ্ডিও পার করতে পারেননি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ পাকিস্তানের ব্যাটিং। কোনও ব্যাটারই রান করতে পারেননি। সলমন ৪৭ রান করেন। সেটাই সেই ইনিংসে সর্বোচ্চ। ৪৩ রান করেন মহম্মদ রিজ়ওয়ান। মাত্র ১৮৫ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে সেই রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে জিতে নেয় সিরিজ়। প্রথম বার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ় জয় বাংলাদেশের। সেটাও আবার পাকিস্তানের মাটিতে।
বাংলাদেশ এর আগে তিন বার কোনও দলকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ় জিতেছিল। প্রথম বার জিতেছিল ২০০৯ সালে। ক্যারিবিয়ান সফরে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর পর ঘরের মাঠে জ়িম্বাবোয়ে (২০১৪-১৫) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে (২০১৮-১৯) হোয়াইটওয়াশ করেছিল তারা। টেস্টে চতুর্থ বার একাধিক ম্যাচের সিরিজ়ে বিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ।
গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকেই পাকিস্তানের ক্রিকেট কিছুটা ব্যাকফুটে। কখনও অধিনায়ক বাবরকে সরানো হয়েছে, কখনও আবার তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। টেস্টে অধিনায়ক করা হয়েছে মাসুদকে। কিন্তু কোনও কিছুতেই ভাগ্য বদল হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আশানুরূপ ফল হয়নি। এ বার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় হারতে হল পাকিস্তানকে। যে দলের বিরুদ্ধে এত বছরে কোনও টেস্ট হারেনি, তাদের বিরুদ্ধেই হেরে গেল পাকিস্তান।