রবিবার শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ড্রিঙ্কস ব্রেকের পর কার্যত ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করে বসে বাংলাদেশ। অন্তত এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। এদিন সাকিবের উইকেট দিয়ে শুরু করেন অশ্বিন। যশস্বী জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান সাকিব। তারপরই হু হু করে উইকেট পড়তে থাকে বাংলাদেশের। তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে গোটা দল। একা লড়াই করেও শেষরক্ষা করতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমূল হোসেন শান্ত। ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মারেন ৮টি চার এবং ৩টি ছক্কা। শেষে জাদেজার বলে ক্যাচ আউট হন শান্ত। অপরদিকে লিটন দাস (১), মেহদি হাসান মিরাজ (৮), তাসকিন আহমেদ (৫), হাসান মাহমুদ(৭) পর পর আউট হয়ে যান। ভারতীয় বোলারদের সামনে শান্ত ছাড়া কেউই টিকতেই পারেনি।
ব্যাটিং এবং বোলিং দুটিতেই দাপট দেখালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আর সেই কারণে চিপক-এ মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান অশ্বিন। তাতে যোগ্য সঙ্গ দেন জাদেজাও। এরপর বল হাতে দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতে ধরাশায়ী হয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ঋষভ পন্থের ঝোড়ো শতরান এবং শুভমান গিলের সেঞ্চুরি, ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দেয়।
বাংলাদেশের সামনে ৫১৫ রানের টার্গেট রাখে রোহিত শর্মারা। সেই রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসেও হিমশিম খেয়ে যায় বাংলাদেশ। অশ্বিন ও জাদেজার স্পিনে আটকে যান শান্তরা।
গতকাল, শনিবার ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ চার উইকেটে তোলে মাত্র ১৫৮ রান। বাংলাদেশকে জিততে হলে করতে হত আরও ৩৫৭ রান। কিন্তু চিপক-এর মাঠে স্পিনের দাপট দেখেই বোঝা যাচ্ছিল এই কাজ করা কার্যত অসম্ভব।
ফলে ভারত চারদিনের মধ্যেই চিপক-এর মাঠে জয়ের স্বাদ পেয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে অনবদ্য পারফরমেন্সের জন্য ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। তবে প্রথম ইনিংসে উইকেট না পেলেও ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করে সকলের মন জয় করেছিলেন অশ্বিন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর স্পিনের জাদুতে কুপোকাত হয়েছে বাংলাদেশ টিম।