সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় পৃথক বজ্রপাতে ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বজ্রপাতে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে মাসুক আহমেদ (৪১), বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রামের ওলিউর রহমানের ছেলে ও এমসি কলেজের শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমদ (২২), সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া (৩০), একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৮), জেলার জামালগঞ্জে ভোর রাতে আরেক বজ্রপাতের ঘটনায় শরিফ মিয়া (৩৫) ও জেলার ছাতক উপজেলার ৩ নম্বর সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা সুন্দর আলী।
নিহত মাসুক সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে এবং রেদওয়ান বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রামের ওলিউর রহমানের ছেলে ও সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ কলেজের (এমসি কলেজের) শিক্ষার্থী ছিলেন।
মাসুকের স্বজনরা জানান, রবিবার ভোর সাড়ে ৭টায় মাসুক বাড়ির পাশের হাওরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান। সকাল ১০টার দিকে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। এদিকে রেদওয়ানের স্বজনরা জানান, ভোরে বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরেতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রেজওয়ান।
সুনামগঞ্জ জেলার তিন উপজেলায় চারজন বজ্রপাতে নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাতটায় দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৮) বাড়ির পাশের হাওরে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত্যু ঘটে তাদের।
জেলার জামালগঞ্জে ভোর রাতে আরেক বজ্রপাতের ঘটনায় শরিফ মিয়া (৩৫) নামের আরেক জনের মৃত্যু ঘটেছে। তিনি উপজেলার কালাগোজা গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে। বাড়ির পাশের নয়া হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় তিনি মারা যান।
এ ছাড়াও ছাতক উপজেলার ৩ নম্বর সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা সুন্দর আলী নামে আরেক জন মারা গেছেন। বাড়ির পাশের হাওরে সকালে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শিকার হন তিনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।