।। জয়বাংলা প্রতিবেদন।।
কর বাড়লেও জিনিসপত্রের দামে প্রভাব পড়বে না বলেছিলেন অর্থ উপদেষ্টা। গত ২ জানয়ারি তার দেয়া এই বক্তব্য নিয়ে মানুষ স্বস্তিতে নেই। এক তথ্যে দেখা গেছে, জিনিসপত্রের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স এমন হারে বাড়ানো হয়েছে, সহনীয় নয়। ১১ জানুয়ারি সরকারের এন বি আর থেকে তথ্য পেয়ে ভোক্তাদের চোখ চড়ক গাছ।
টেবিলটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পোষাকখাতে আগে ভ্যাট ছিল শতকরা হার ৭.৫ এখন ১৫ ।রেস্তোরা আগে ছিল শতকরা হার ৫, এখন ১৫। মিষ্টি আগে ছিল শতকরা হার ৭.৫,এখন ১৫। টিস্যু আগে শতকরা হার ছিল ৭.৫,এখন ৭.৫। এলপি গ্যাসে আগে শতকরা হার ছিল ৫, এখন ৭.৫। আচার, চাটনি, সস আগে ছিল শতকরা হার ৫, এখন ১৫। বিস্কুটে আগে ছিল শতকরা হার ৫, এখন ১৫। চশমার ফ্রেম,রিডিং গ্লাস আগে ছিল শতকরা হার ৫, এখন ১৫। এছাড়া সম্পুরক শুল্ক টেবিলে দেখা যাচ্ছে মুঠোফোন আগের শতকরা হার ছিল ২০, এখন ২৩। ফলের রস আগে ছিল শতকরা হার ১০, এখন ১৫। আম, কমলালেবু,আঙ্গুর, আপেল,নাশপাতি আগে ছিল শতকরা হার ২০. এখন ৩০। আকাশপথে ভ্রমণ কর দেশের অভ্যন্তরে আগে ছিল ৫০০টাকা, নতুন ৭০০টাকা, সার্কভুক্ত দেশ আগে ছিল ৫০০টাকা, এখন ১০০টাকা। এশিয়া মহাদেশ আগে ছিল ২০০টাকা, এখন ২৫০০টাকা। ইউরোপ, আমেরিকাসহ অন্য দেশ আগে ছিল ৩০০০টাকা, বর্তমানে ৪০০০টাকা।
কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বাড়লেও জিনিসপত্রের দামের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘অত্যাবশ্যকীয় সব পণ্যের শুল্ক কমিয়ে জিরো (শূন্য) করে দেওয়া হয়েছে। আপনারা সেই ছাড়টা দেখবেন।’
বিভিন্ন পণ্যে ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়ানোর সরকারি উদ্যোগের বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। এর আগে বুধবার ৪৩টি পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বা ভ্যাট বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ; পাশাপাশি কিছু পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিন তারকার ওপর যে রেস্টুরেন্টগুলো, সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। ভাতের রেস্টুরেন্ট বা অন্য রেস্টুরেন্ট থেকে তো যাবে না। বিমানভাড়ার ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানের ভাড়ার ক্ষেত্রে আগে ৫০০ টাকা ছিল, সেটি ২০০ টাকা বাড়ানো হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বিমানে এখন লোকজন মোটামুটি চড়ে। তারা ২০০ টাকা বেশি দিতে পারবে না বলে মনে হয় না। এগুলো মার্জিনাল।’
এদিকে দেশের প্রবৃদ্ধির হার ২ এর কোঠায় নেমে এসেছে। অর্ন্তবর্তী সরকারের ক্ষমতাগ্রহনের আগে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৫। দেখা গেছে, বড় বড় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে আছে, কাজ হচ্ছে না বা করানো হচ্ছে না। বিদেশী বিনিয়োগ নতুন করে আসছে না। এবং পুরোনাগুলোর অর্থায়ন হচ্ছে না্।যার জন্য রডের দাম, সিমেন্টের দাম আশংকাজনভাবে কমেছে। নির্মাণ কাজে স্থবিরতার কারণে দাম কমায় উতপাদকরা বিপদের সম্মুখীন। উতপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে না।এদিকে, নতুন বাজেট আসবে জুন মাসে। এর পাঁচ মাস আগেই পন্যের ওপর ব্যাট-ট্যাক আরোপের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। এটা অশনি সংকেত কিনা ভাবছেন জনগণ।