শিগগিরই মন্ত্রীত্বে ফিরছেন
জয় বাংলা রিপোর্ট
লন্ডন। টিউলিপ সিদ্দিক এমপিকে কথিত অভিযুক্ত করা এবং পদত্যাগ নিয়ে বাঙালি কমিউনিটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। শিগগিরই মন্ত্রীত্বে ফিরছেন বলে সকলেই মন্ত্রব্য করছেন। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সিলার খালেস আহমেদ তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে লিখেছেন–
’অনুপযুক্তভাবে কাজ করার বা কোনো মন্ত্রীর কোড লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ নেই, বা বৈধ উপায়ে অন্য কোনো কিছু থেকে উৎসারিত কোনো সম্পত্তির পরামর্শ নেই। টিউলিপ সিদ্দিক এমপি খুব শিগগিরই মন্ত্রীত্বে ফিরছেন। তার মন্তব্যের জন্য স্যার লরি ম্যাগনাসকে ধন্যবাদ।
আর এর আগে তিনি টিউলিপ সিদ্দিক এমপির সমর্থনে মন্তব্য করেন-
’টিউলিপ সিদ্দিক, ২০১৫ সাল থেকে আমাদের গর্বিত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এমপি, ধারাবাহিকভাবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে আমাদের সম্প্রদায়ের সেবা করেছেন। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মন্ত্রীদের একজন হিসেবে, তিনি সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং অনেকের কাছে রোল মডেল হয়ে আছেন।
দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলির সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা তার সুনাম নষ্ট করার জন্য ক্ষতিকারক “গ্রামের রাজনীতিতে” জড়িত। এই ঈর্ষান্বিত দলগুলো তার অসাধারণ ক্যারিয়ারকে ক্ষুণ্ন করার প্রয়াসে ভুল তথ্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়াচ্ছে। টিউলিপ সিদ্দিক স্বেচ্ছায় এই অভিযোগগুলোকে স্বচ্ছভাবে মোকাবেলা করার জন্য তদন্তের অনুরোধ করেছেন, জবাবদিহিতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, এটি নিঃসন্দেহে তার নাম থেকে মুছে ফেলবে এবং তাদের জন্য এই দূষিত কৌশলগুলিেএক সময় প্রকাশ করবে৷
উপরন্তু, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সাথে একটি ইভেন্টে সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের ছবি যেমন অসম্পর্কিত ঘটনাগুলি ব্যবহার করার প্রচেষ্টা বিভ্রান্তিকর। পাবলিক ইভেন্টে, অংশগ্রহণকারীদের জন্য পাবলিক ব্যক্তিত্বের সাথে দ্রুত ছবি তোলা সাধারণ। এই ধরনের ফটোগুলির উপর ভিত্তি করে একটি গভীর সংযোগের পরামর্শ দেওয়া উভয়ই অযৌক্তিক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। টিউলিপ সিদ্দিকের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের অবস্থানকে ক্ষুণ্ন করতে চাওয়া এসব কর্মকাণ্ডের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। তারেক রহমান এবং তার পরিবার, যাদের লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনধারা অব্যক্ত রয়ে গেছে, তারেক রহমানের মতো অন্যদের দিকে কেন অনুরূপ যাচাই-বাছাই করা হয়নি তা প্রশ্নবিদ্ধ।
টিউলিপ সিদ্দিক আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য অগ্রগতি এবং গর্বের কণ্ঠস্বর। যারা মিথ্যা ছড়াচ্ছে তাদের উচিত তারা যে ক্ষতি সাধন করছে এবং তারা যে বিভেদ সৃষ্টি করছে তার প্রতিফলন ঘটানো উচিত। এই ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানো এবং আমাদের সম্প্রদায়কে সত্যিকার অর্থে উন্নীতকারী নেতাদের সমর্থন করা আমাদের কর্তব্য। টিউলিপ সিদ্দিক এমপি খুব শিগগিরই তার অপপ্রচার সম্পর্কে পরিষ্কার হবেন।
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মো. হরমুজ আলী লিখেছেন–
’এতোদিন চুপ ছিলাম, এবার নাহয় মুখই খুললাম; হারানোর বিধ্বস্ততা এখন আর আমাকে স্পর্শ করেনা! কোনো অপরাধ না করেই (আনীত অভিযোগ প্রমানিত হয়নি) একটা সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক জীবনে বড়ো আকারের ধাক্কা এলো। টিউলিপ শুধু বঙ্গবন্ধুর নাতনি-ই নয়, প্রবাসী বাঙালির আরাধনার গর্বিত অর্জন। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাঙালিরা টিউলিপ/রুশনারাদের দেখে-দেখে নিজেদের আগামী বিনির্মানের স্বপ্ন দেখতো।
অথচ, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তনের এক নির্মম খেলার শিকার হলেন টিউলিপ। এদেশে বসবাস করছি প্রায় ৪৫ বছর; প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রীর পদত্যাগ দেখার সুযোগ অন্যদের মতো আমারও হয়েছে কিন্তু মুলধারার পত্রিকাগুলোতে (যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশে) প্রত্যেক দিন, লাগাতারভাবে এমন হিংসাত্মক ও কখনো-কখনো আক্রমনাত্মক রিপোর্টিং দেখেছি বলে মনে করতে পারছিনা!
এই নিষ্ঠুর খেলার ‘meticulosity’ কিংবা ‘লেনদেন’ হয়তো আমরা কোনো দিনও জানতে পারবোনা কিন্তু সাক্ষী হয়ে থাকবো প্রজন্মের স্বপ্ন ভঙের। লন্ডন, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
কমিউনিটি এক্টিভিস্ট তৌহিদ ফিতারাত হোসেন লিখেছেন-
’বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার হওয়াটাই কি টিউলিপের সিদ্দিকের পাপ? একশত টাকার দুর্নীতি আর ১০০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি অপরাধ অবশ্যই সমান। বাংলাদেশের হিংস্র ও পরশ্রীকাতর রাজনীতির শিকার কি না তিনি টিউলিপকে নিজেই প্রমাণ করতে হবে। পোড় খাওয়া বৃটিশ লেবার দলীয় রাজনীতিবিদ নিশ্চয়ই কাঁচা কাজ করবেন না। তিনি আসলে অপরাধী নাকি বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হলেন জনগন কিছুদিনের ভেতরই জেনে যাবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই বঙ্গবন্ধুর নাতনী এবং এই প্রজন্মের ব্রিটিশ বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ হিসাবে তিনি সকল কিছু মিথ্যা প্রমাণ করবেন।
তার বিপক্ষে আবাসন সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে বাংলাদেশের বর্তমান সুদখোর সরকারের তরফ থেকে। তবে এখনো ব্রিটিশ কোন অথরিটির তরফ থেকে তাকে অপরাধী বলা হয়নি। তদন্তের পরই সরকার তা ঘোষনা করবে তিনি অপরাধী অথবা অপরাধী না। নিশ্চয়ই ব্রিটিশ সরকার ও তার অন্যান্য সংস্থা এবিষয়ে তদন্ত করছে এবং করবে।. . .
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ এবং আমলা বা ব্যবসায়ীদের বিদেশে সম্পদ অনেকেরই আছে।বিএনপি নেতা তারেক রহমান কিংস্টন নামক লন্ডনের সবচেয়ে দামী এলাকার একটি দামী বাড়িতে থাকেন গত ১৪/১৫ বছর যাবৎ। তার মেয়ে ব্যারিষ্টার হয়েছেন এবং প্রাইভেট গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন বলে শুনেছি। ব্যারিষ্টারি পড়তে বছরে দরকার ১২/১৪ লাখ টাকা বা সমপরিমান পাউন্ড। তিনি বেকার এবং রাজনৈতিক আশ্রিত একজন রিফিউজি হয়েও অন্যতম ধনী এলাকায় রাজকীয় জীবনযাপন করেন কি করে এই প্রশ্ন করার সাহস বা দরকার নাই বর্তমানের এই বাংলাদেশী সরকারের।
আমাদের দেশের বিখ্যাত লোকেদের সন্তানরা বিদেশে এসে পড়ালিখা যারা করেন তারা প্রতিজনই এক একজন হুন্ডিকারী। ১২/১৫ লাখ টাকা প্রতিবছর খরচ হয় একজন বিদেশী ছাত্রের। ২/৩ বছরের আবাসন এবং শিক্ষা খরচ সহ মাসে একজন বাংলাদেশী ছাত্রের দরকার ২০-২৫ হাজার পাউন্ড। ২/৩ বছরের হিসাবটি হিসাব জানা মানুষ হিসাব করে নেবেন।
এই অর্থ অবৈধ পথেই পাচার হয় এবং বাংলাদেশের নীতিকথা বলা শিক্ষিত সৎ দাবী করা লোকের সন্তান যারা বিদেশে পড়ালিখা করেন তারা সকলেই একেকজন টাকার কালোবাজারি। ১৪/০১/২০২৫