ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই মুহূর্তে যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি হয় এবং স্বাভাবিক গতিতে সেখানে অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়, তবে গাজাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সময় লাগবে ৪০ বছর আর খরচ হবে ৮০ বিলিয়ন ডলার। খবর আরব নিউজের। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) উপত্যকাটিতে সহায়তা সংস্থাগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধ ছিটমহলগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। দালানকোঠার কালো শেল এবং ধ্বংসাবশেষের ঢিবিতে পরিণত হয়েছে উপত্যকাটি। বড় বড় রাস্তা, পানি ও বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংসের মুখে। বেশির ভাগ হাসপাতাল আর কাজ করে না। রবিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরই কেবল ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ জানা যাবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজাবাসী চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।
যুদ্ধের ফলে গাজায় ৫০ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ জমেছে, যা গিজার গ্রেট পিরামিডের আকারের প্রায় ১২ গুণ বড়। ১০০টিরও বেশি ট্রাক পুরো সময় কাজ করে এটি পরিষ্কার করতে ১৫ বছর সময় লাগবে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের নেতৃত্বে সাহায্য প্রদানকারীদের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেল্টার ক্লাস্টার-এর কোরি শের বলেছেন, আমি ক্ষতির পরিমাণের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ছিটমহল বা একটি দেশ বা জনগণের জন্য কোনো সমান্তরাল ভাবতে পারি না।