“আমি এই অধ্যাদেশ সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি,”
‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে ‘বৈষম্যমূলক’ বর্ণনা করে তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, “এই অধ্যাদেশ আইনজীবী সমাজকে হতাশ করেছে। এখানে কোনো আইনজীবী প্রতিনিধি রাখা হয়নি।
“অথচ অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এটা বৈষম্যমূলক। আমি এই অধ্যাদেশ সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।” বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
সুপ্রিম কোর্টে স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের বিধান রেখে সম্প্রতি অধ্যাদেশ জারি হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের বিষয়টি সরকারের নির্বাহী বিভাগের সরাসরি নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়।
‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ শীর্ষক এ অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই ও সুপারিশ করার জন্য একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে, যার নাম হবে ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’। প্রধান বিচারপতি হবেন সাত সদস্যের এই কাউন্সিলের চেয়ারপারসন।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এই কাউন্সিলে আপিল বিভাগে কর্মরত প্রবীণতম বিচারক, হাই কোর্ট বিভাগে কর্মরত প্রবীণতম বিচারক, বিচার-কর্ম বিভাগ থেকে নিযুক্ত হাই কোর্ট বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক, চেয়ারপারসনের মনোনীত আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং চেয়ারপারসনের মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এই কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে বিচারক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিচারকের সংখ্যা নির্ধারণ করার জন্য রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করলে প্রধান বিচারপতি এই কাউন্সিলের সভা ডাকবেন।