Close Menu

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    জনপ্রিয় সংবাদ

    সংসদ নির্বাচন আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন: প্রধান উপদেষ্টা

    June 6, 2025

    একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার!

    June 6, 2025

    ২ হাজার টাকায় টিকিট কিনলে পোলাপান খাবি কি?

    June 6, 2025
    Facebook Instagram WhatsApp TikTok
    Facebook Instagram YouTube TikTok
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Subscribe
    • হোম পেইজ
    • বিষয়
      • দেশ (Bangladesh)
      • আন্তজাতিক (International)
      • জাতীয় (National)
      • রাজনীতি (Politics)
      • অথনীতি (Economy)
      • খেলা (Sports)
      • বিনোদন (Entertainment)
      • লাইফ স্টাইল (Lifestyle)
      • শিক্ষাঙ্গন (Education)
      • টেক (Technology)
      • ধম (Religion)
      • পরবাস (Diaspora)
      • সাক্ষাৎকার (Interview)
      • শিল্প- সাহিত্য (Art & Culture)
      • সম্পাদকীয় (Editorial)
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ করুন
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Home »  দেশে কেন এই দাবির মিছিল?
    Bangladesh

     দেশে কেন এই দাবির মিছিল?

    JoyBangla EditorBy JoyBangla EditorJanuary 30, 2025No Comments5 Mins Read
    Facebook WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook WhatsApp Copy Link

    দফায় দফায় নতুন দাবি নিয়ে সরকারের কাছে হাজির হচ্ছে বিভিন্ন পক্ষ। সেসব দাবি তাৎক্ষণিক মেনে নিতে দেয়া হচ্ছে চাপ। অন্যথায় বন্ধ করে দেয়া  হচ্ছে সেবা। অবরোধ করা হচ্ছে সড়ক। তালা দেয়া হচ্ছে সরকারি স্থাপনায়। সব মিলিয়ে দাবি-দাওয়া পার্টির কাছে জিম্মি সরকার ও সাধারণ মানুষ। সাড়ে ১৫ বছরের বৈষম্য নিমিষেই দূর করতে মরিয়া এসব পক্ষ। দাবি নিয়ে হাজির হওয়া এসব পক্ষের কাছে সরকারও অনেকটা নিরুপায়। মেনে নিতে হচ্ছে অযৌক্তিক সব দাবিও। না মানলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনগণকে। নৈতিকতার প্রশ্নও কোথাও কোথাও নস্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে দাবি-দাওয়া পার্টির কাছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দেশে যেনো দাবি-দাওয়া আদায়ের দরবার বসেছে।    

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নরমে-গরমে রাষ্ট্র পরিচালনা করাই সরকারের কাজ। স্বৈরাচারী না হয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে হয়। নতুবা রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মানুষ অনুভব করতে পারে না। প্রয়োজনে রাষ্ট্রকে শক্ত ভূমিকা নিতে হয়। আবার কখনো সহানুভূতিশীল হতে হয়। এক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য থাকতে হবে। আবার জনগণকেও তার রাষ্ট্রের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। ইচ্ছা হলেই রাষ্ট্রের কাছে অযৌক্তিক দাবি চাপিয়ে দেয়া যাবে না। পশ্চিমা ধাঁচে বাংলাদেশ পরিচালনা করা যাবে এই চিন্তাও অমূলক। অনেকে বলছেন, বছরের পর বছর নিজেদের দাবি নিয়ে কথা না বলা মানুষদের এখন হঠাৎ সরব হওয়ার পেছনে কোনো পক্ষের ইন্ধন এবং আর্থিক বিনিয়োগ থাকতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে কর্মপন্থা ঠিক করতে হবে।

    জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মানুষের যে বিশাল প্রত্যাশা ছিল দাবি-দাওয়ার আন্দোলনের কারণে তা অনেকটা ম্লান হয়ে আসছে। দাবি পার্টি একের পর এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে চলেছে। এতে সরকার স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাতে পারছে না।

    এ পর্যন্ত শতাধিক দাবি-দাওয়ার আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়েছে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সক্রিয় হয়েছে বিভিন্ন গোষ্ঠী। যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছর নিজেদের বঞ্চিত বলে দাবি করছেন। সচিবালয় থেকে মাঠ প্রশাসন সব জায়গায় নানা দাবি নিয়ে হাজির হয়েছে বিভিন্ন গোষ্ঠী। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বাদ যাচ্ছে না। সময়ে সময়ে নতুন নতুন দাবি নিয়ে হাজির হচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কল-কারখানাগুলোতেও চলছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার আন্দোলন। শিক্ষক-চিকিৎসক-শ্রমিক শ্রেণি সবাই দাবি-দাওয়ার আন্দোলনে রয়েছে। শিক্ষার্থীরাও সময়ে অসময়ে যৌক্তিক-অযৌক্তিক দাবি নিয়ে হাজির হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সরকারকে এইচএসসি পরীক্ষার সব বিষয়ে পরীক্ষা না নিয়ে ফলাফল দিতে হয়েছে। সচিবালয়ে সময়ে সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু থেকেই সরকারকে জিম্মি করে রেখেছিল। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে চলছে দাবি- দাওয়ার আন্দোলন।

    অনেকে দাবি-দাওয়া নিয়ে নেমে আসছেন রাস্তায়। বিশেষ করে শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কিছুদিন পরপর অবরোধ করছেন এসব গোষ্ঠী। যাদের মধ্যে চিকিৎসক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি, বারডেম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মতো চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান থাকায় বিষয়টি আরও উদ্বেগের। প্রতিনিয়ত এ পথে রোগী ও স্বজনদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। সর্বশেষ এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা শাহবাগে অবস্থান নেয়। যেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অভিমুখে রওয়ানা হলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এ ছাড়াও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে আন্দোলন করছেন। এদের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি অন্যতম। ওদিকে গুচ্ছ পরীক্ষার দাবিতে একদল শিক্ষার্থী তালা দিয়েছে ইউজিসিতে।

    মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেয়ার দাবিতে কর্মবিরতিতে গিয়েছে। রাত ১২টার পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে উঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। রানিং স্টাফের মধ্যে রয়েছেন ট্রেনচালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন রেলের যাত্রীরা। নিরুপায় হয়ে সরকার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা রাখে। সর্বশেষ কয়েক মাসে বিভিন্ন দাবিতে রাজপথে আরও সক্রিয় ছিল ইন্টার্ন চিকিৎসক, প্রাথমিক শিক্ষক, ম্যাটস শিক্ষার্থী, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক, গার্মেন্টস শ্রমিক, ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিক, বন্দর শ্রমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি, ইএফটি, বিডিআর পরিবারসহ আরও অনেকে। এ ছাড়াও দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতে সরকারকে আনসার ও সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়েছে।

    এ ব্যাপারে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. জিন্নাত আরা নাজনীন গণমাধ্যমকে বলেন, ৫ই আগস্টের পর মানুষের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা বেড়ে গেছে। সরকারকে স্টেবল হতে না দিয়ে সবাই নিজ নিজ দাবি আদায়ে ব্যস্ত। সময়ে অসময়ে মাঠে নেমে আসছে। একজনের দাবি আদায় হলে আরেকজন মাঠে নেমে যাচ্ছে। এ মেন্টালিটি খারাপ। যেটি আমাদের এখানকার মানুষ বুঝছে না। এক্ষেত্রে সরকার শক্ত হলে সমালোচনা হবে, আবার নরম হলে রাষ্ট্র পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সরকারকে একটি মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে হবে। যেন নিজে আবার স্বৈরাচারী না হয়ে উঠে। এ ছাড়াও মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। সেক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতারা ও রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রচারণা চালাতে পারে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নুরুল আমিন বেপারি বলেন, কোয়ের্সিভ পাওয়ার (দমনমূলক শক্তি) না থাকলে একটি স্টেটের মূল্য থাকে না। স্টেটের বিভিন্ন ফাংশান থাকে। সেখানে সোসাইটি (সমাজ) হচ্ছে মাদার (মা) আর স্টেট (রাষ্ট্র) হচ্ছে ফাদার (পিতা)। প্রফেসর ইউনূসের বড় ভুল তিনি শুরু থেকে এ দেশটি পশ্চিমা স্টাইলে পরিচালনার নীতি নিয়েছেন। কিন্তু আমাদের দেশের সব মানুষ তো পশ্চিমা ক্যারেক্টারের না। রাষ্ট্রের যে শক্তি আছে সেদিকে তিনি যাননি। স্টেটের পাওয়ার না থাকলে মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে না। ১/১১ সময় সেনাবাহিনীকে ম্যাজেস্ট্রিসি পাওয়ার দেয়া হয়েছিল। তারা সেভাবে কাজ করায় তখন এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কিন্তু এবার সেটি দেয়া হয়েছে দেরিতে। আবার তারাও আগের মতো কাজ করছে না। তাই বিভিন্ন গোষ্ঠী এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এসব আন্দোলনের পেছনে একটি সংঘবদ্ধ শক্তি কাজ করছে যেন ইউনূস সরকার ব্যর্থ হয়। ড. ইউনূসকে মনে রাখতে হবে এনজিও’র মতো করে সরকার চালানো যায় না। স্টেটের রোল হতে হবে শাসন ও মমতা দুটোর সমন্বয়ে। তাহলে স্টেট সফল হবে।(মানব জমিন থেকে)

    Share. Facebook WhatsApp Copy Link
    Previous Articleহাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দেওয়ার গল্প: ইউনুসের লাফালাফি
    Next Article ওয়াশিংটনে বিমান দুর্ঘটনা: যা যা জানা গেল
    JoyBangla Editor

    Related Posts

    সংসদ নির্বাচন আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন: প্রধান উপদেষ্টা

    June 6, 2025

    বাজেটে অবকাঠামো উন্নয়নে শুধুই প্রতিশ্রুতি, বাদ গেছে নতুন মেট্রোরেল রুটসহ রেল সংযোগ প্রকল্প

    June 6, 2025

    পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বাণী

    June 6, 2025

    জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রস্তাব: কক্সবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘ফ্রি ট্রেড জোন’। “কিসের ” আলামত ?

    June 6, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সম্পাদকের পছন্দ

    সংসদ নির্বাচন আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন: প্রধান উপদেষ্টা

    June 6, 2025

    একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার!

    June 6, 2025

    ঈদ উল আজহা উৎসবের সামাজিক বৈষম্য

    June 6, 2025

    ৭১-এর বুকে আঘাত করে বসেছে যে বাংলাদেশ বিরোধীরা

    June 5, 2025
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • TikTok
    মিস করবেন না
    Bangladesh

    সংসদ নির্বাচন আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন: প্রধান উপদেষ্টা

    By JoyBangla EditorJune 6, 20250

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন…

    একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার!

    June 6, 2025

    ২ হাজার টাকায় টিকিট কিনলে পোলাপান খাবি কি?

    June 6, 2025

    ঈদ উল আজহা উৎসবের সামাজিক বৈষম্য

    June 6, 2025

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    About Us
    About Us

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করে দেশ ও বিদেশের খবর পাঠকের কাছে দুত পৌছে দিতে জয় বাংলা অঙ্গিকার বদ্ধ। তাৎক্ষণিক সংবাদ শিরোনাম ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পেতে জয় বাংলা অনলাইন এর সঙ্গে থাকুন পতিদিন।

    Email Us: info@joybangla.co.uk

    Our Picks

    সংসদ নির্বাচন আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন: প্রধান উপদেষ্টা

    June 6, 2025

    একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার!

    June 6, 2025

    ঈদ উল আজহা উৎসবের সামাজিক বৈষম্য

    June 6, 2025

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.