জয় বাংলা প্রতিবেদন
আওয়ামীলীগের মাসব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণার পর কাঁপন ধরেছে সরকার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারিদের বুকে। না জানি জ্বর উঠে কিনা ১০০ ডিগ্রির ওপরে। গতকাল মাত্র কর্মসূচী গণমাধ্যমে এসেছে, এতেই হৈ-চৈ শুরু। সরকারের তরফ থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে ‘আওয়ামীলীগের কোনো কর্মসূচী বরদাশত করা হবে না।’ তাদের ক্ষমতায় বসানো ছাত্রআন্দোলন কর্মীরাও হুংকার ছেড়েছে।
মাত্র ৬ মাসে পড়েছে ইউনুসের সরকারের মেয়াদ। পিঠ ঢাকে তো, পেট ঢাকে না অবস্থায় সরকার চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। বিভিন্ন পেশাজীবীদের দাবী-দাওয়ার আন্দোলন ঠেকানো, ঢাকার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রদের অভাবিত দাবীসমূহে টালমাটাল পরিস্থিতি, আর্থিক খাতে চাপ, মুদ্রাস্ফীতিতে কোণঠাসা যখন, এই সময়ে ছিটকেপড়া আওয়ামীলীগ মাসব্যাপী সরকার হটানোর আন্দোলনের কর্মসূচী দিয়ে রাজপথে নামার প্রস্তুতি, ভয়ানক বার্তা হিসাবে দেখছে সরকার ও সরকারের পেছনে থাকা তথাকথিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
তারা ভাবছে, আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগ যদি রাস্তায় জোরেসুরে নামে, তাদের ঠেকানোর পিঠের চামড়া কার কতটা আছে দেখার বিষয়। যদিও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু তার শক্তিকে তো মুছড়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিপুল শক্তিধর ছাত্রলীগ যদি আবার রাস্তা দখলে নেয়, দৌঁড়ানোর পথ কোথায় খুঁজতে হবে।
আওয়ামীলীগ জন্ম নিয়েছে পাকিস্তানের জন্মের পরই বঞ্চনার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে। ছাত্রলীগ তার তারুণ্যের প্রতীক, বাংলাদেশের জন্মের সুতিকাগার।যে সংগঠন একটি দেশের জন্ম দিয়েছে, তাকে নিশ্চিহ্ন করা কী এতো সহজ?
হয়তো আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ঘোষণা মতো রাস্তায় কর্মীরা তেমন নামতে পারলো না, কিন্তু নাড়া তো দিয়ে যাবে। আর বার্তা দেবে মরি নাই, আছি।