Close Menu

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    জনপ্রিয় সংবাদ

    গুপ্ত সাম্রাজ্য: পূর্ব ভারতের স্বর্ণযুগ

    September 17, 2025

     ইউনূস স্বৈরশাসনে ভুক্তভোগী জনতা

    September 17, 2025

    অপরাধে ছেয়ে গেছে দেশ, ধর্ষকদের দৌরাত্ম্যে রক্তাক্ত বাংলাদেশ, ঘুষ-দুর্নীতির মহা উৎসব

    September 17, 2025
    Facebook Instagram WhatsApp TikTok
    Facebook Instagram YouTube TikTok
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Subscribe
    • হোম পেইজ
    • বিষয়
      • দেশ (Bangladesh)
      • আন্তজাতিক (International)
      • জাতীয় (National)
      • রাজনীতি (Politics)
      • অথনীতি (Economy)
      • খেলা (Sports)
      • বিনোদন (Entertainment)
      • লাইফ স্টাইল (Lifestyle)
      • শিক্ষাঙ্গন (Education)
      • টেক (Technology)
      • ধম (Religion)
      • পরবাস (Diaspora)
      • সাক্ষাৎকার (Interview)
      • শিল্প- সাহিত্য (Art & Culture)
      • সম্পাদকীয় (Editorial)
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ করুন
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Home » ধানমন্ডি ৩২: দুদিনের ভাঙচুর-লুটপাটের পর গরু জবাই করে ‘জিয়াফত’
    Politics

    ধানমন্ডি ৩২: দুদিনের ভাঙচুর-লুটপাটের পর গরু জবাই করে ‘জিয়াফত’

    JoyBangla EditorBy JoyBangla EditorFebruary 6, 2025Updated:February 6, 2025No Comments8 Mins Read
    Facebook WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook WhatsApp Copy Link

    আগের রাতে শুরু হওয়া ভাঙচুরের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির ভাঙা ফটক দিয়ে ঢুকতে দেখা গেল একটি ট্রাক। একটু পর সেখানে পড়ে থাকা পুড়িয়ে দেওয়া একটি গাড়ির ধ্বংসাবশেষ টানাটানি শুরু করেন কয়েকজন। তারা গাড়িটি হাতে টেনে তুলে ট্রাকের উপরে উঠিয়ে ফেললেন; একটু পর চলেও গেলেন।

    শুধু যে এই কয়েকজন ৩২ নম্বরের এ বাড়ি থেকে গাড়িটি নিতে এসেছেন তা নয়; রাত ১১টার দিকে সেখানে দেখা যায় শত শত মানুষ ভিড় করছেন, যাদের বেশির ভাগই কিছু না কিছু নিতে এসেছেন। অনেকে মালামাল নেওয়ার জন্য গুঁড়িয়ে দেওয়া বাড়ির প্রাঙ্গণে নিয়ে এসেছেন রিকশাও।

    তিন তলা বাড়িটির চারিদিকে তখনও জিনিস ভাঙার শব্দ ভেসে আসছে। ছেনি-হাতুড়ি দিয়ে চলছে ভাঙচুরের চেষ্টা। হ্যাসকো ব্লেড দিয়ে কাটা হচ্ছে রড। দিনভর লুটপাটের পর এখনও যা কিছু অবশিষ্ট আছে সেটুকুই যে যেভাবে পারছেন নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় মত্ত, কারও দিকে কারও ভ্রক্ষেপ নেই।

    শেখ হাসিনার অনলাইনে দেওয়া বক্তব্যের পাল্টায় বুধবার রাত ৯টার পর থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত এ ভবন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। দিনভর সবার নজরে থাকা এ ভবনে দিনভর ভাঙচুর ও লুটপাটের পর বিকাল বেলায় সেখানে গরু জবাই করে বিরিয়ানির রান্নার পর রাতে সেখানে জেয়াফতের আয়োজন করা হয়।

    খবরের শিরোনাম হওয়ায় এ ঘটনার রেশ ছড়িয়েছে দেশজুড়েও। বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার দিনভর জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ পরিবারের নামে থাকা ভাস্কর্য ও ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে। খুলে ফেলা হয়েছে তাদের নামে থাকা নামফলক। ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে। অনেক জেলায় দলীয় কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন।

    পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা চেষ্টা করেছে, তবে ৩২ নম্বরের মূল ঘটনাস্থলে রাতভর কোন পুলিশকেই দেখা যায়নি। সেনাবাহিনীর একটি দল কিছুক্ষণের জন্য এসে আবার চলে যায়। তারা ঘটনাস্থলে আসামাত্র আশপাশ থেকে হাজারো ছাত্র-জনতা ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি দেওয়া শুরু করলে সরে যান সেনা সদস্যরা। ছাত-জনতার তুমুল গণ আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের দিনও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিজড়িত এই বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল।

    শেখ হাসিনা ৫ অগাস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন। বুধবার ছিল তার সরকার পতন ও দেশত্যাগের ছয়মাস পূর্তির দিন। এদিন রাতেই ব্যাপক ভাঙচুরের পর ৩২ নম্বরে ভেতরে পোড়ার মত যা কিছু আছে, তাতে ফের আগুন দেওয়া হয়।

    রাতের ভাঙচুরের পর ভবনটিতে সকাল থেকে শুরু হয় লুটপাট। ভাঙা দুই ভবন এবং পেছনের বর্ধিত জাদুঘর ভবনের ভবনের রড থেকে শুরু করে ইট পর্যন্ত যে যা পেরেছেন হাতে বা রিকশার করে তুলে নিয়ে গেছেন।

    হাতুড়ি, শাবল, হ্যাসকো ব্লেড দিয়ে রডসহ ধাতব অংশ কেটে বা ভেঙে নিয়ে যেতে দেখা গেছে দিনভরই। এর পাশাপাশি বই, নথিপত্র, পোস্টারসহ বিভিন্ন শো পিস ও আসবাবপত্র লুটপাট হয়েছে দেদারসে।

    এখানে ভাঙচুরের মধ্যে বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ধানমণ্ডির ৫ নম্বরে শেখ হাসিনার বাসভবন ‘সুধা সদনে’ দেওয়া হয় আগুন। সেই আগুন জ্বলেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। নেভাতে আসেনি ফায়ার সার্ভিসও।

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে শুরু হওয়া এ ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা আগের রাতেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার দিন পেরিয়ে রাতেও তা অব্যাহত থাকে।

    খুলনা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএল কলেজ, ভোলা, পাবনা, বরিশাল, সিলেট, যশোর, পিরোজপুর, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, ঝালকাঠি, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চুয়াডাঙ্গা, রংপুর, রাজশাহী, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা, টাঙ্গাইল, লক্ষ্ণীপুর, সাভার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালপুর, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর, পঞ্চগড়, মানিকগঞ্জ, নওগাঁ, গাইবান্ধা, ফেনী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা।

    শেখ মুজিবের ভাস্কর্য, ম্যুরাল থেকে শুরু করে তার নামে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিশু পার্ক স্থাপনাসহ শেখ পরিবারের নামে থাকা সব ধরনের নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বর্ষীয়ান নেতা আমু, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমুর বাড়িতে ভাঙচুরের পর দেওয়া হয়েছে আগুন।

    দিনের আলোয় বাধাহীন লুটপাট

    ভেঙে ফেলা ভবনটিতে সকাল থেকে শুরু হয় আবার লুটপাট। ভাঙা দুই ভবন এবং পেছনের বর্ধিত জাদুঘর ভবনের ভবনের রড থেকে শুরু করে ইট পর্যন্ত যে যা পেরেছেন হাতে বা রিকশার করে তুলে নিয়ে গেছেন। হাঁতুড়ি, শাবল, হেক্সো ব্লেড দিয়ে রডসহ ধাতব অংশ কেটে বা ভেঙে নিয়ে যেতে দেখা গেছে দিনভরই। এর পাশাপাশি বই, নথিপত্র, পোস্টারসহ বিভিন্ন শো পিস ও আসবাবপত্র লুটপাট হয়েছে দেদারসে।

    ভেতর থেকে বয়ে এনে সড়কে স্তূপ করে সেখান থেকে রিকশা বা ভ্যানে করে সেসব কাটা রড, গ্রিল ও কাঠ সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। হাজারীবাগের বাসিন্দা সিরাজুল নামে একজন ভ্যানে করে এমন নানান জিনিসপত্র বোঝাই করছিলেন।

    এগুলো কী করবেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভাঙারির দোকানে নিয়া বেঁচমু, কী করমু আর। সবাই নিতেছে, আমিও নিলাম যা পাইছি আইসা।” আধভাঙা ভবনের রড কাটছিলেন সুজন নামে একজন। তিনি বলেন, “ভাইঙাইতো ফেলতেছে, আমরা কিছু নিয়া যাই। যা পাই, তাই লাভ।” দুপুর গড়ালেও পেছনের ওই ছয়তলা বর্ধিত জাদুঘরের ভবনটিতে শত শত মানুষ ঢুকছেন, আর বের হচ্ছেন। ভবনটিতে থাকা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বিভিন্ন বইগুলোও হাতে হাতে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। সামনের আধাভাঙা ভবন দুটিতেও উৎসুক জনতার ঢল। কেউ কেউ ছবি তুলছেন-ভিডিও করছেন, আবার ক্ষণে ক্ষণে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

    বাড়ি ভাঙার মধ্যেই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উৎসুক জনতার ভিড়ে আওয়ামী লীগ সন্দেহে এক নারীসহ দুইজনকে গণপিটুনি দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

    প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা বলছেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় এক নারীকে এবং কথা বলার সময় ‘আপার বাড়ি’ বলায় এক পুরুষের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

    গরু জবাই করে বিরিয়ানি

    ভেঙে ফেলা ৩২ নম্বরে বৃহস্পতিবার বিকালে গরু নিয়ে আসে ‘জুলাই ঐক্যজোট’ নামে একটি সংগঠন। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে সেখানে গরুটি জবাই করা হয়।

    এ সংগঠনের মুখপাত্র সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রতীকি এই বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া উৎসবের অংশ হিসেবে গরুটি জবাই করা হয়েছে। এটার মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করে উপস্থিত সবাইকে খাওয়ানো হবে।

    আধাভাঙা বাড়ির সামনে গরুটি আনার পর এটিকে ঘিরে সেখানে ভিড় করতে শুরু করে উপস্থিত জনতা। জবহ করা থেকে শুরু করে সেটির মাংস কাটা থেকে রান্না করার পর‌্যন্ত সেখানে ভিড় লেগেই ছিল। বড় বড় ডেকচি এনে সেখানে রান্না হয়। এ নিয়ে অনেককে ফেইসবুক লাইভসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করতে দেখা যায়।

    সুধা সদনে রাতে আগুন, দিনে লুটপাট

    শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের পাল্টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে দেওয়া ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি কেবল সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ৩২ নম্বরের বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়ার মধ্যেই বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে আগুন দেওয়া হয় ধানমন্ডি ৫ এ শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে।

    বৃহস্পতিবার দিনভর আগুন জ্বললেও সেখানে আগুন নেভাতে যায়নি ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও ভবনটির কোথাও কোথাও জ্বলতে দেখা গেছে। সারাদিনই বাড়িটিতে ভিড় করেছিলেন অনেক মানুষ।

    এদের কেউ কেউ আগুনে তপ্ত হয়ে ওঠা বাড়িটির ভেতরে ঢুকে প্রচণ্ড তাপের মধ্যেই সেখান থেকেও ধাতব বস্তু, সোফা, চেয়ার, টেবিলসহ আধপোড়া বিভিন্ন আসবাব, এসি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের ভাঙা অংশ,বৈদ্যুতিক তার লুট করে নিয়ে গেছেন।

    এমন নানা সরঞ্জাম বাড়ির সামনে থেকে রিকশায় তুলছিলেন সালেহা আক্তার। এসবের গন্তব্যও ভাঙারির দোকান জানিয়ে সালেহা বলেন, “সবতো পুইড়াই গেছে, সকাল সকাল অনেকেই আইসা যা পারছে নিয়া গেছে। আমিও টুকটাক যা পাইছি নিয়া যাই। বেইচা যদি কয়ডা টেহা পাওন যায়।”

    বুধবার রাতে দেওয়া আগুন দিনভর জ্বললেও সেখানে যায়নি ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আগুনের কোন প্রতিবেদন নেই ফায়ার সার্ভিসের কাছে।

    সাধারণত আগুনের খবরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আগুন নেভাতে গেলে ওই ইউনিটটি ফিরে এসে একটি প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতির ও উদ্ধারের প্রাথমিক একটা বিবরণ থাকে। তবে ধানমণ্ডির সুধা সদনে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে না যাওয়ার কারণে তাদের কাছে প্রতিবেদন নেই।

    ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় জানান, “ভাই উচ্ছৃঙ্খল জনতা আগুন দিয়েছে। যেখানে সেনাবাহিনী গিয়ে দাঁড়াতে পারেনি সেখানে ফায়ার সার্ভিস গিয়েই বা কী করবে।”

    রাতজুড়ে ভাঙচুর

    ধানমন্ডির ৩২ নম্বর অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিলে’র সময় ছিল বুধবার রাত ৯টায়। তবে এর ঘণ্টারও বেশি সময় আগে লোকজন ঢুকে পড়ে বাড়িটিতে। প্রথমে বিক্ষুব্ধ লোকজন খালি হাতে, লাঠিসোঁটা বা ছোট হাতুড়ি দিয়ে প্রধান ফটকটি ভেঙে ফেলেন। এরপর দলে দলে ঢুকে পড়েন ভেতরে। দরজা-জানালা, সিঁড়ি বা বারান্দার রেলিং সব হাতে হাতেই ভাঙতে শুরু করে বিক্ষুব্ধ মানুষ। কখনও আবার বড় সাউন্ডবক্সে গান ছেড়ে নাচানাচি করতেও দেখা গেছে মানুষকে।

    এরমধ্যেই মধ্যরাতে আসে ক্রেন ও এক্সক্যাভেটর; ভবনটি গুঁড়িয়ে দিতে শুরু হয় কংক্রিটের কাঠামো ভাঙার কাজ। রাত থেকে শুরু হওয়া সেই ভাঙচুর চলেছে বৃহস্পতিবার দিনেও। তবে এক্সক্যাভেটর দিয়ে ভবন ভাঙার কাজ দিনের মাঝামাঝি সময়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    পাশাপাশি চলেছে বাধাহীন লুটপাট

     ভবনটির ইট-কাঠ-রড পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে মানুষ। ভেতর থেকে বয়ে এনে সড়কে স্তূপ করে সেখান থেকে রিকশা বা ভ্যানে করে সেসব কাটা রড, গ্রিল ও কাঠ সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।

    বুধবার সারারাত জুড়েই ধানমণ্ডি ৩২ এ ছিল হাজারো মানুষের ভিড়। ভবনটির ভেতরে-বাইরে স্লোগান আর ভাঙচুরের শব্দ।

    এর মধ্যে দর্শকের সংখ্যাও কম ছিল না। তারা বাড়ির সামনের পরিস্থিতি দেখছিলেন, মোবাইলে ছবি তুলছিলেন বা ভিডিও করছিলেন, আবার চলেও যাচ্ছিলেন।

    এরমধ্যে ৩২ নম্বর বাড়ির উল্টোপাশে খোলা জায়গায় প্রজেক্টরে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হচ্ছিল, যেটির আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    সেখানে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, “আমরা আন্দোলনের প্রামাণ্যচিত্র দেখাচ্ছি। আপনাদের যাদের ভাঙার আছে, তারা সামনে গিয়ে ভেঙে আসেন। এখানে যারা প্রামাণ্যচিত্র দেখতে চায়, তাদের সুযোগ দেন।”

    পুলিশ যা বলছে

    ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বুধবার রাতে পুলিশ নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বললেও রাস্তার ওপর দুটো পুলিশ ভ্যান ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোনো অবস্থান ওই এলাকায় দেখা যায়নি।

    হামলা, ভাঙচুর ঠেকাতে পুলিশের কী উদ্যোগ ছিল জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি, আমরা চেষ্টা করেছি। গভীর রাত পর্যন্ত আমি নিজে সেখানে ছিলাম।”

    সেখানে সাংবাদিকদের ওপরও হামলা হয়েছে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “আমি কাল রাত দুইটা-আড়াইটা পর্যন্ত সেখানে ছিলাম। সাংবাদিকদের ওপর হামলার কোনো তথ্য আমি পাইনি।”

    বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরায় কাউন্টার ও ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে বাস সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে ধানমন্ডির ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকের এসব প্রশ্নের মুখে পড়েন।

    পুলিশ কমিশনার ‘চেষ্টা করার’ কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আসলে সেখানে হামলা ঠেকানোর কোন চেষ্টা হয়নি।

    Share. Facebook WhatsApp Copy Link
    Previous Articleশতাধিক পোশাক কারখানা ডিসেম্বরের বেতন দেয়নি
    Next Article ধানমন্ডি বত্রিশে হামলা ‘দুঃখজনক’: ভারত
    JoyBangla Editor

    Related Posts

    অপরাধে ছেয়ে গেছে দেশ, ধর্ষকদের দৌরাত্ম্যে রক্তাক্ত বাংলাদেশ, ঘুষ-দুর্নীতির মহা উৎসব

    September 17, 2025

    ভালো থাকুক বাংলাদেশ, বললেন ব্যারিস্টার সুমন

    September 17, 2025

    ন্যায়বিচারহীন রাষ্ট্রে মব যেন স্বাভাবিক ঘটনা —

    September 16, 2025

    জুলাইয়ের ৫২ ভুয়া শহীদ, ইউনুস সরকারের মিথ্যার নগ্ন মুখোশ

    September 16, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সম্পাদকের পছন্দ

     ইউনূস স্বৈরশাসনে ভুক্তভোগী জনতা

    September 17, 2025

    অপরাধে ছেয়ে গেছে দেশ, ধর্ষকদের দৌরাত্ম্যে রক্তাক্ত বাংলাদেশ, ঘুষ-দুর্নীতির মহা উৎসব

    September 17, 2025

    “তোর ছেলে স্বাধীন দেশের নাগরিক হবে। তোদের ছেলের নাম রাখবি জয় “

    September 17, 2025

    চিত্রশিল্পী তারেক আমিনের বিলাত সফর: লেখক মনজু ইসলামের বাড়ির প্রবেশপথ

    September 17, 2025
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • TikTok
    মিস করবেন না
    Entertainment

    গুপ্ত সাম্রাজ্য: পূর্ব ভারতের স্বর্ণযুগ

    By JoyBangla EditorSeptember 17, 20250

    আজকাল গুপ্ত শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। গুপ্ত বলতে আমরা বুঝি গোপন বা লুকানো। গুপ্তধন, গুপ্তচর।…

     ইউনূস স্বৈরশাসনে ভুক্তভোগী জনতা

    September 17, 2025

    অপরাধে ছেয়ে গেছে দেশ, ধর্ষকদের দৌরাত্ম্যে রক্তাক্ত বাংলাদেশ, ঘুষ-দুর্নীতির মহা উৎসব

    September 17, 2025

    গান্ধীজি অহিংস ছিলেন না। অহিংস ছিল তাঁর মুখোশ

    September 17, 2025

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    About Us
    About Us

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করে দেশ ও বিদেশের খবর পাঠকের কাছে দুত পৌছে দিতে জয় বাংলা অঙ্গিকার বদ্ধ। তাৎক্ষণিক সংবাদ শিরোনাম ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পেতে জয় বাংলা অনলাইন এর সঙ্গে থাকুন পতিদিন।

    Email Us: info@joybangla.co.uk

    Our Picks

     ইউনূস স্বৈরশাসনে ভুক্তভোগী জনতা

    September 17, 2025

    অপরাধে ছেয়ে গেছে দেশ, ধর্ষকদের দৌরাত্ম্যে রক্তাক্ত বাংলাদেশ, ঘুষ-দুর্নীতির মহা উৎসব

    September 17, 2025

    “তোর ছেলে স্বাধীন দেশের নাগরিক হবে। তোদের ছেলের নাম রাখবি জয় “

    September 17, 2025

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.