লন্ডনে বাংলা বই প্রকাশ শুরু
লন্ডন, ৯ ফেব্রিুয়ারি: সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কবিকণ্ঠ-এর আয়োজনে ৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ব লন্ডনের লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিনটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান ‘বই উতসব। কবি আবু মকসুদের ‘ছোটো আপার বিরানভাত’ স্মৃতিকথামূলক বই, কবি মাহফুজা রহমানের ‘নতুন এক বৈরাগী আমি’ গীতিকবিতা এবং কবি উর্মিলা আফরোজের ‘জন্ম,মৃত্যু ও পালকি’ কবিতা গল্প এবং নাট্যাংশ গ্রন্থ সম্প্রতি লন্ডন থেকে প্রকাশ করেছ কবিকণ্ঠ। কবিকণ্ঠের কর্ণধার কবি হামিদ মোহাম্মদের উপস্থাপনায় ও গবেষক ফারুক আহমেদর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রথমে তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়্।এরপরে একে একে লেখক ও কবি পরিচিতি পাঠ করেন কবি মাহফুজা রহমানের পরিচিতি পাঠ করেন সাংবাদিক নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, কবি আবু মকসুদের পরিচিতি পাঠ করেন কবি এম মোশা্ইদ খান ও কবি উর্মিলা আফরোজের পরিচিতি পাঠ করেন কবি উদয় শংকর দূর্জয়।

পরিচিতি পাঠের পর লেখক ও কবি নিজ নিজ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন কবি আবু মকসুদ। তিনি উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি শেফিল্ডে থাকি, ব্যক্তিগত ব্যস্তার কারণে আসে না পারলেও আপনার আমার শূন্যতা পূরণ করে কৃতার্থ করেছেন।
অনুষ্ঠানে কবিকণ্ঠের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন কবি আতাউর রহাম মিলাদ, কবি মুজিবুল হক মনি, এমদাদ তালুকদার ও জামাইকান কবি হানিফা মোহাম্মদ । তারা বলেন, লন্ডন থেকে এই প্রথম বাংলা বই প্রকাশ শুরু করেছে কবিকণ্ঠ। এটি সাহসী উদ্যোগ। কবি হামিদ মোহাম্মদ কবিকণ্ঠ এর মাধ্যমে লনডনে বই প্রকাশ করায় ঢাকা থেকে বই প্রকাশের আর প্রয়োজন নেই।
গবেষক ফারুক আহমেদ তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ইতোপূর্বে ১৯৮৮সালে লন্ডনে উদীচী প্রতিষ্ঠায় অগ্রনী ভূমিকা ও ১৯৮৯ সালে সপ্তাহব্যাপী বইমেলার আয়োজন করে হামিদ মোহাম্মদ ইতিহাসের অংশ হয়েছিলেন। এবারও বই প্রকাশ করে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন। তাকে অভিনন্দন। এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে আশা প্রকাশ করে বলেন, আমি মনে করি, এবার থেকে লন্ডনে বই প্রকাশের জন্য বাংলাভাষী প্রবাসী লেখকরা এগিয়ে আসবেন।
সব শেষে বই উতসবের কেক কাটা ও কেক বিতরণ একই সঙ্গে মিষ্টি বিতরণ করা হয় উপস্থিত সুধীজনের মধ্যে। একই সময় প্রকাশিত তিনটি বই সকলের হাতে হাতে পৌঁছে দিলে উপস্থিত সুধীজন লেখক ও কবিকণ্ঠের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পুরো অনুষ্ঠানে বইয়ে মোড়ক উন্মোচন ও কেক কাটায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, বিশিষ্ট সমাজকর্মী শিক্ষাবিদ প্রশান্ত পুরকায়স্থ, সাবেক ডেপুটি মেয়র শহিদ আলী,, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ড. আনসার আহমদ উল্লাহ, দাবা ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ নান্নু, শিক্ষাবিদ বাসিত চৌধুরী, নারী উদ্যোক্তা সাঈদা চৌধুরী, কবি সালমা বেগম, কবি সৈয়দ হিলাল সাঈফ ও রেজাউল করিম মৃধাসহ সুধী সংবাদিকবৃন্দ।