জয় বাংলা প্রতিবেদন
জামায়াত এখন ‘জনতা’ পরিচয়ে মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ৫ আগষ্টের পর থেকেই এই পরিচয়ে জামায়াত দেশে তাণ্ডব ঘটাচ্ছে। যেখানেই কোনো মব জাষ্টিজের ঘটনার সুত্রপাত হচ্ছে, সেখানেই জামায়াত এই পরিচয়ে ‘জনতা’ হয়ে সামনে আসেছে।বঙ্গবন্ধু ভবন সুধাসদনসহ দেশে শতাধিক আওয়ামীলীগ ও সমমনা ব্যক্তিদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা গত কয়েকদিনে ঘটেছে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ‘ছাত্র-জনতা’ এসব করছে। জনতার নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম জায়েজ করার এই নয়া কৌশল জামায়াত নিয়েছে। সমন্বয়ক পরিচয়ে বা ছাত্র পরিচয়ে শিবির। সুতরাং শিবির ও জামায়াত পরিচয় আড়াল করা হচ্ছে ছাত্র-জনতা নামে।
গাজীপুরে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলাও তারা এই পরিচয়ে সক্রিয় থেকেছে। সম্প্রতি জামায়াত কর্মীরা সিলেটের সাবেক এমপি ইয়াহিয়াকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। এদিকে, চট্টগ্রামে সাধারণ জনতা পরিচয়ে জামায়াতের নারীকর্মীরা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির একজন মহিলানেত্রীকে হেনস্থা ও মারধর করে শেষপর্যন্ত পুলিশে দিয়েছে।সবই ঘটছে জনতা পরিচয়ে।
এতে মনে হচ্ছে, দেশ ধীরে ধীরে অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যারা আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন তারা এখন বুঝতে পারবেন। খাল কেটে কুমির আনার ফল কিন্তু ভালো হয় না।
তাহলে আসুন এক নজরে দেখে নিই বিগত দশদিনে কী কী পরিবর্তন হলো দেশে। ০৬/০২/২৫-রংপুরে মেয়েদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ। ১০/০২/২৫-অমর একুশে বইমেলায় সব্যসাচীর স্টলে হামলা; স্টল বন্ধ। ১২/০২/২৫-সাতক্ষীরা বইমেলায় উদীচীর স্টলের ব্যানার পোড়ানো। ১২/০২/২৫-টাঙ্গাইলে লালন উৎসব বন্ধ।
১৪/০২/২৫-টাঙ্গাইলে ভালোবাসা দিবসের ফুল বিক্রি করায় ফুলের দোকান ভাংচুর, রেস্টুরেন্টের সামনে হুমকি, ঘুড়ি উৎসব বন্ধ। ১৪/০২/২৫-উত্তরার বসন্ত উৎসব বাতিল। ১৫/০২/২৫-চট্টগ্রামে মাঝপথে বন্ধ বসন্ত উৎসব। ১৫/০২/২৫-ঢাকায় নাট্যোৎসব বন্ধ। ১৬/০২/২৫-অমর একুশে বইমেলায় স্যানিট্যারি ন্যাপকিনের দোকান বন্ধ।এসব কারা করছেন? প্রশ্ন করলে উত্তর মিলবে সোজা, জামায়াত ও শিবিরের নাম আসবে। কিন্তু করা হচ্ছে ‘জনতা‘ পরিচয়ে।
শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও এরা সক্রিয়। শোনা গেছে, ব্রিটেনের বার্মিংহাম সিটিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া ‘সম্প্রীতি কনসার্ট অনুষ্ঠানকেও একটি মহল বাধা প্রদান করেছে। যেসব হল ভাড়া নেয়া হয়েছিল, সেখানে বাধ সাধে কে বা কারা। এই কারাও কিন্তু ‘জনতা’ পরিচয়ে।