জয় বাংলা প্রতিবেদন
ড. ইউনুসের পায়ের তলায় মাটি নেই বুঝতে পেরে অস্থির হয়ে উঠেছেন। তিনি ঘন ঘন নতুন তত্ত্ব দিচ্ছেন। ছাত্রদের নতুন দল গঠনে তাগিদ দেয়া্, নতুন নেতৃত্ব তৈরী করার পেছনে অনুঘটকের কাজ শুরু করেছেন। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত নির্ধারিত রাজনৈতিক সংস্কারের তহবিল বাতিল করে দিয়েছে। এতে আরও অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, ড. ইউনুস সম্প্রতি বলেছেন ‘নেপাল জলবিদ্যুৎ দিতে রাজি, আমরা নিতে রাজি। মাঝখানে ভারতের ৪০ কিলোমিটার পথ বাধা হয়ে আছে। তবে আশা করি ভারত তাদের স্বার্থের কারণেই দেবে। বাংলাদেশকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। অর্থনীতি হলো আমাদের পণ্য নেপালে যাবে, সেভেন সিস্টার্সে যাবে। প্রতিবেশীদের পণ্য আমাদের এখানে আসবে, এভাবেই একটি লাভজনক অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে যাবে’। এতে মনে হচ্ছে ভারতকে করিডোর দিচ্ছেন ড. ইউনুস।
দিল্লিতে দুদেশের সীমান্ত সম্মেলন হচ্ছে সামনে রেখে ভারতের বরফ গলাতে এসব ঔষধ কি কাজ দেবে? পায়ের তলার মাটির খবর কি হয়, তাই, এখন দেখার বিষয়।
আবার ড.ইউনুস দ্রুত সময়েই বসছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায়। প্রসঙ্গ সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা হলেও নির্বাচনের কথা বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে। আর সংস্কার প্রস্তাবগুলোকে নিয়ে অবস্থানের স্বচ্ছতা প্রর্দশনের জন্য বলা হচ্ছে, যে যার প্রস্তাব কতটুকু বলবেন.মূল প্রস্তাবকে মানা হচ্ছে কিনা পুরোটা ওয়েবসাইটে পড়তে দেয়া হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউনুস কেন এতো সব হাতজোড় করার মতো বলছেন। অন্যদিকে, আরব আমীরাতে সফরকালে সেখানে বলে এসেছেন, নির্বাচন ডিসেম্বরেই হবে। অথচ, আগে থেকে বলে আসছিলেন, ২৬ সালের জুন-জুলাইতে নির্বাচন হবে। এগিয়ে আসার কারণ কি? অন্য কোনো ভয় কাজ করছে কি? ভয়টা কি?
এদিকে, তার প্রেসক্রাইভ করা ছাত্রদের উদ্যোগে তৈরী হওয়া দলের হবু নেতারা বলছেন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দরকার। আর রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, না স্থানীয় নির্বাচন আগে নয়, আগে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। ছাত্ররা নতুন দল ঘোষণা দিলে একে গোছাতে সময় লাগবে, জনগনের কাছে পৌছতেও সময় প্রয়োজন, তাই তারা স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছার ছক আটছে। এটা তারই পরামর্শ বলে অনেকে ধারণা। কেননা, স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে ক্ষমতায় বেশি দিন থাকার সুযোগ পাওয়া যাবে। এই লোভ ছাড়া যায় না। কিন্তু সংসদ নির্বাচন আগে হলে তখত আগে ছেড়ে দিতে হবে।
লোভ তো লোভই।এই পায়তারা দেশের মানুষ বুঝে গেছে। আবার যত দিন যাবে তত আওয়ামীলীগ রাজনীতির মাঠে চলে আসার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এটাও আতঙ্কের ব্যাপার। বিদেশীরা আওয়ামীলীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন চায় না, দিন বেশি গড়ালে আওয়ামীলীগের ফিরে আসার সুযোগ বেড়ে যাবে। এই ছয় মাসেই দেশেবিদেশে আওয়ামীলীগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এবং নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে আলাপ শুরু হয়ে গেছে। ড. ইউনুস চান আওয়ামীলীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখবেন, তাই তার অনুসারীদের দিয়ে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করার হুঙ্কার ছাড়তে অনুঘটকের কাজ করছেন্। এরই মধ্যে আওয়ামীলীগ যখন গাজীপুরে সমন্বয়কদের প্রতিরোধ করার মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে নামে, তখন তিনি বিগড়ে গিয়ে ‘ডেভিল হান্ট’ নামে আওয়ামীলীগ নিশ্চিহ্ন করার অভিযান চালু করেন। এটা তার সাজানো ছক।
এখন কোন ছক কাজে লাগাবেন, এটাই তার অস্থিরতা। বিদেশী চাপ সামলাবেন, না দেশী চাপ সামলাবেন, না সমন্বয়কদের খুশি রাখবেন, যারা তাকে ক্ষমতায় বসালো-‘মসনদ যে মধুর’ কোন কূলে তরী ভেড়াই বাবু এই দশায় ঘুম হারাম ইউনুসের।
আওয়ামীলীগ নিবন্ধিত দল বরং জামায়াত নিবন্ধিত দল নয়। একটাকে ছেড়ে আরেকটাকে ধরবেন, এটা কি দেশের মানুষ মেনে নেবে?
‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ ‘সুধা সদন’ পুড়িয়ে গুড়িয়ে দিয়ে যে ছাই ছিটিয়ে দিলেন দেশের মানুষের অন্তরে। এ অবস্থায় আওয়ামীলীগকে নির্বাচনে সুযোগ দিলে ভোটের বাক্সে রায়টা কেমন হবে, সেটা ভেবে এখন মাথায় বাড়ি পড়েছে। যদিও মবজাস্টিজ সৃষ্টি করে গণমাধ্যমের গলা টিপে বর্তমানে থামিয়ে রেখেছেন, অথবা নব ঘুরিয়ে রেডিও উল্টোসুরে বাজাচ্ছেন, তা গোপন ব্যালটে উল্টে যাবে,সেটা নিয়ে মাথা কি আর ঘাড়ে আছে মশাইয়ের!