Close Menu

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    জনপ্রিয় সংবাদ

    ন্যায়বিচারহীন রাষ্ট্রে মব যেন স্বাভাবিক ঘটনা —

    September 16, 2025

    বিশিষ্ট কবি,ছড়াকার, সাংবাদিক মিলু কাসেম আর নেই

    September 16, 2025

    ২০ বছরের অর্জন এক বছরে মুছে দিল অবৈধ সরকার

    September 16, 2025
    Facebook Instagram WhatsApp TikTok
    Facebook Instagram YouTube TikTok
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Subscribe
    • হোম পেইজ
    • বিষয়
      • দেশ (Bangladesh)
      • আন্তজাতিক (International)
      • জাতীয় (National)
      • রাজনীতি (Politics)
      • অথনীতি (Economy)
      • খেলা (Sports)
      • বিনোদন (Entertainment)
      • লাইফ স্টাইল (Lifestyle)
      • শিক্ষাঙ্গন (Education)
      • টেক (Technology)
      • ধম (Religion)
      • পরবাস (Diaspora)
      • সাক্ষাৎকার (Interview)
      • শিল্প- সাহিত্য (Art & Culture)
      • সম্পাদকীয় (Editorial)
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ করুন
    JoyBangla – Your Gateway to Bangladesh
    Home » বিচারহীনতার সংস্কৃতিই বাড়াচ্ছে ধর্ষণের সংখ্যা
    Bangladesh

    বিচারহীনতার সংস্কৃতিই বাড়াচ্ছে ধর্ষণের সংখ্যা

    JoyBangla EditorBy JoyBangla EditorFebruary 27, 2025No Comments4 Mins Read
    Facebook WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook WhatsApp Copy Link

    ।। ভূঁইয়া শফি।।

    ধর্ষণ একটি অসামাজিক ও শাস্তিযোগ্য নিকৃষ্ট অপরাধ। যা সমাজে নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদাকে হুমকিতে ফেলে দেয়। সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য, আইনের দুর্বলতা ও অপরাধীদের শাস্তি না হওয়া বা ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই পরিসংখ্যানে বাড়াচ্ছে ধর্ষণের সংখ্যা’। এই ঘৃণ্য অপরাধের ফলে একজন ভুক্তভোগীর জীবনে চরম মানসিক আঘাত, সামাজিক অবহেলা ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়। তাই ধর্ষণের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
    ধর্ষণের প্রধান কারণ পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি। সমাজের অনেক ক্ষেত্রে এখনো নারীদের অবমূল্যায়ন করা হয় এবং তাদের অধিকার খর্ব করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। লিঙ্গ বৈষম্য এবং পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা অনেক সময় নারীদের দুর্বল ও অধীনস্থ করে রাখার চেষ্টা করে। যা ধর্ষণের মতো অপরাধকে উৎসাহিত করতে পারে।
    এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতা, আইনের ফাঁকফোকর এবং ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’ ও ধর্ষণের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। যখন অপরাধীরা অপকর্ম করে শাস্তি এড়াতে পারে আবার অন্যদিকে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার কারণে বিচারের প্রতি মানুষের বিশ্বাস কমে যায়। তখনই এই ভয়ংকর ও নিকৃষ্ট অপরাধের প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো অশ্লীলতা ও অপরাধমূলক সংস্কৃতি। বিকৃত রুচি ও বিকৃত মানসিকতার কিছু মানুষ চলচ্চিত্র, শর্টফিল্ম, নাটক, বিজ্ঞাপন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের শুধু ভোগ্যপণ্য এবং নীতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করে। এতে সমাজে নারীদের প্রতি অসম্মানজনক মনোভাব গড়ে ওঠে। যা অনেক ক্ষেত্রে যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
    মাদকাসক্ত তরুণরা মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। এতে তাদের মাঝে বিকৃত মানসিকতার সৃষ্টি হয়। এই বিকৃত মানসিকতার কারণেও ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হয় তারা। বিশেষ করে, মদ, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন ও অন্যান্য উত্তেজক মাদকের প্রভাব মানুষকে আক্রমণাত্মক ও হিংস্র করে তুলতে পারে। মাদকের সহজলভ্যতা এবং সমাজে মাদকের বিস্তার ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের হার বাড়িয়ে তুলছে।
    গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুল সংগ্রহ করতে গিয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা-রাজশাহী রুটে একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেরপুরে ভালোবাসা দিবসে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে গজনী অবকাশ পিকনিক স্পটে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই শিক্ষার্থীর মা। গণমাধ্যমে ওঠে আসা তথ্যে, ১৪ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ৭ দিনে নারী ও শিশুসহ চারজন ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
    এদিকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত বছরে (২০২৪ সালে) সারা দেশে ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট ৪০১ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৪ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন। ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে ১০৯ জন।
    মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যের বরাতে বাংলাদেশের একটি ইংরেজি দৈনিক বলছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৪ হাজার ৭৮৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তথ্যটি বিশ্লেষণ করে পত্রিকাটি বলছে, ‘গত চার বছরে বাংলাদেশে প্রতি ৯ ঘণ্টায় একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ শুধু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেই দেখা যায় গত চার বছরে বাংলাদেশে প্রতিদিন অন্তত দুজন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন’।
    ওই ইংরেজি জাতীয় দৈনিকটির দাবি, ‘ধর্ষণের ঘটনার এক তৃতীয়াংশেরই মামলা হয় না। গণমাধ্যমে আসা ৪ হাজার ৭৮৭টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে মামলা হয়েছে ৩ হাজার ৪১৯টির। যার অর্থ ধর্ষণের ঘটনার তিনটির মধ্যে কমপক্ষে একটি ঘটনার কখনো মামলা বা অভিযোগ দায়ের হয়নি’।
    মামলা বা অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পাবে তা অনিশ্চিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়। আমাদের দেশে বিচারব্যবস্থা অত্যন্ত ধীরগতি ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী টাকার অভাবেও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়। ধর্ষণের মামলার বিচারহীনতা ও বিচারে ধীরগতি আমাদের সমাজের একটি গুরুতর সমস্যা। মামলা দায়েরের পর প্রভাবশালী অপরাধীদের প্রভাব, সামাজিক চাপ ও ভুক্তভোগীর প্রতি অবিচারের মনোভাব বিচার প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে তোলে। অনেক সময় প্রমাণের অভাবে কিংবা দুর্বল তদন্তের ফলে অপরাধীরা শাস্তি এড়িয়ে যায়।
    আইনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষণের শাস্তি কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। যাতে অপরাধীরা দ্রুততম সময়ে বিচারের সম্মুখীন হয়। তাই দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করতে হবে সেই সাথে প্রভাবমুক্ত তদন্ত এবং ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে তারা সাহস নিয়ে নিজেদের অধিকারের জন্য লড়তে পারে। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাস্তাঘাট, গণপরিবহন ও কর্মস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, ভুক্তভোগীদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন এবং মানসিক পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ালেই হবে না, বরং পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করলে একটি নিরাপদ ও মানবিক সমাজ গঠন সম্ভব হবে। যেখানে নারীরা ভয় ও সহিংসতার ঊর্ধ্বে থেকে আত্মমর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারবে।

    লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

    Share. Facebook WhatsApp Copy Link
    Previous Articleবাংলা কেন ইউরোপের ন্যায় সভ্য দেশ হলো না
    Next Article শেষ হলো ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
    JoyBangla Editor

    Related Posts

    ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে’: ‘চল্লিশা’ নামে সেই পরিবারের ঘাড়ে আরো ঋণ

    September 16, 2025

    এবারই প্রথম প্রবাসীরা জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে

    September 15, 2025

    দেশে নিয়ন্ত্রণহীন মব; ছয় মাসে গুলশান-মতিঝিলের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে মব হামলা বেশি

    September 12, 2025

    মানবিকতার কবর: রাজবাড়ির লাশদাহ ও আমাদের সামাজিক দেউলিয়াত্ব

    September 8, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সম্পাদকের পছন্দ

    ন্যায়বিচারহীন রাষ্ট্রে মব যেন স্বাভাবিক ঘটনা —

    September 16, 2025

    ২০ বছরের অর্জন এক বছরে মুছে দিল অবৈধ সরকার

    September 16, 2025

    বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভাঙার খেলা

    September 15, 2025

    লন্ডনে র‌্যালি ফর বাংলাদেশ, স্ট্রাফাগাল স্কয়ারে একাত্তরের মতো আবার মহাসমবেশ

    September 15, 2025
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • TikTok
    মিস করবেন না
    Uncategorized

    ন্যায়বিচারহীন রাষ্ট্রে মব যেন স্বাভাবিক ঘটনা —

    By JoyBangla EditorSeptember 16, 20250

    বাংলাদেশ আজ এক গভীর সংকটময় সময় পার করছে। গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক তাণ্ডব, গ্রাম-শহরে ছড়িয়ে…

    বিশিষ্ট কবি,ছড়াকার, সাংবাদিক মিলু কাসেম আর নেই

    September 16, 2025

    ২০ বছরের অর্জন এক বছরে মুছে দিল অবৈধ সরকার

    September 16, 2025

    জুলাইয়ের ৫২ ভুয়া শহীদ, ইউনুস সরকারের মিথ্যার নগ্ন মুখোশ

    September 16, 2025

    সাবস্ক্রাইব

    সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।

    About Us
    About Us

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করে দেশ ও বিদেশের খবর পাঠকের কাছে দুত পৌছে দিতে জয় বাংলা অঙ্গিকার বদ্ধ। তাৎক্ষণিক সংবাদ শিরোনাম ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পেতে জয় বাংলা অনলাইন এর সঙ্গে থাকুন পতিদিন।

    Email Us: info@joybangla.co.uk

    Our Picks

    ন্যায়বিচারহীন রাষ্ট্রে মব যেন স্বাভাবিক ঘটনা —

    September 16, 2025

    ২০ বছরের অর্জন এক বছরে মুছে দিল অবৈধ সরকার

    September 16, 2025

    বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভাঙার খেলা

    September 15, 2025

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.