।। মঞ্জুরুল হক ।।
৫ ফেব্রুয়ারি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি জ্বালিয়ে দেওয়া এবং বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করে। একটি বিদেশি টিভি চ্যানেলের খবরের শিরোনাম ছিল– “Bangladesh is confronting a new wave of anger.” ওইদিনটি ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার দিন। পূর্বঘোষণা দিয়ে সরকারের একাধিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এমন উন্মত্ততা বিশ্বকে হতবাক করে। এর ষোল ঘন্টা পরে সরকার প্রধানের সান্ত্বনামূলক বিবৃতি আসে। বিশ্ব মিডিয়ার চাপে আরও দুটি বিবৃতি দেন ড. ইউনূস। তিনি একে ‘দেশত্যাগী’ শেখ হাসিনার লাইভে ভাষণের কারণে ‘সর্বসাধারণের ক্ষোভ’ বলে প্রচার করলেও অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা, ছাত্র সমন্বয়ক এবং বিদেশে বসবাসকারী কয়েকজনের ইঙ্গিতে বিশেষ কয়েকটি উগ্রবাদী সংগঠন ওই কাজ করেছিল। আরও বেরিয়ে আসে ঘটনার আদ্যপান্ত সরকার প্রধান অবগত ছিলেন, কিন্তু মব ভায়োলেন্স প্রতিহত করার ব্যবস্থা নেননি, বরং তিনটি বিবৃতিতেই দায় চাপিয়েছেন ‘শেখ হাসিনার উসকানি’ বলে।
📍
মিডিয়া আরও জানায় এই সমস্ত দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অরাজকতা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, অতঃপর গাজীপুরে লীগের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে চড়াও হলে জনতার বাধায় কয়েকজন হামলাকারী আহত হলে তাদেরই আলটিমেটামে সরকার ২৪ ঘন্টার আগেই একাধিক বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করছে, যাদের হাতে ইতোমধ্যে হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মি গ্রেফতার হয়েছে। এই পুরো ব্যাপারটা ড. ইউনূসের ক্ষমতায় টিকে থাকার প্ল্যানের অংশ। দেশব্যাপী মহামারীর মত মবভায়োলেন্সের হোতাদের না ধরে আক্রান্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
📍
কোনও দেশে গণঅভ্যুত্থানপরবর্তী অরাজকতা ঠেকাতে যখন আইন-শৃঙাখলা বাহিনীর বদলে ‘বিশেষ ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী’ লেলিয়ে দেওয়া হয় তখন স্পষ্ট হয় এইসব বেআইনী ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, খুন-জখম করার দায় চাপিয়ে দেওয়া হয় এইসব বিভিন্ন ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর ওপর। যাতে করে দেশবাসীর কাছে নিয়মিত বাহিনীসমূহের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ না হয়। এগুলো ‘পরিকল্পিত ভাবে’ করা হচ্ছে। যদিও এসবের পেছনে জুলাই-আগস্ট ‘ষড়যন্ত্রে’ কাজে লাগানো নামগোত্রহীন মবকে কাজে লাগানো হচ্ছে, তার পরও কয়েকটি উগ্রবাদী ইসলামী দলের কর্মিদের নামও উঠে আসছে। এইসমস্ত চরম অরাজকতা চলতে চলতে দেশবাসী নিরাপত্তাহীন হয়ে সরকারের সাহায্যপ্রার্থী হলে তখন এইসব ‘আউটল’দের নিয়ে গঠিত হবে ‘বিশেষ মিলিশিয়া বাহিনী’। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানের আইএসআই-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক ঢাকা সফর করেন। পরদিন ২১ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডে গিয়ে ড. ইউনূস এমন দুজন লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যারা আমেরিকার কুখ্যাত ধনকুবের জর্জ সোরেসের Open society foundation-এর যুক্ত। এরই ধারাবহিকতায় ২৯ জারুয়ারি Open society foundation-এর চেয়ারম্যান জর্জ সোরেসের পুত্র আলেকজান্ডার সোরেস ড. ইউনূসের সঙ্গে ঢাকায় এসে বৈঠক করেন। এরপর ৩১ জানুয়ারি রাতে মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ এক নারী সাতটি ইসলামী সংগঠনের সঙ্গে গোপন মিটিং করেছেন এবং ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে ওই সাত দলের জোট ‘ইসলামিক রেভ্যুলেশন আর্মি’ নামে একটা গুপ্ত সংগঠন গড়ে তুলেছে যারা ইউনূসকে ক্ষমতায় রাখার জন্য দেশজুড়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মিদের বাড়িঘরে আগুন দেবে, ভীতসন্ত্রস্ত করবে। এদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেবে পাকিস্তানের আই.এস.আই এবং টাকা-পয়সা দেবে জর্জ সোরেসের Open society foundation. এই ‘মহাপরিকল্পনা’ করা হয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসকে যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রাখা যায়।
📍
এই সুপরিকল্পিত কাজটি কীভাবে এগোবে সে প্রসঙ্গে বিদেশি মিডিয়া জানাচ্ছে–এটা এখন দিবালোকের মত পরিষ্কার আমেরিকার ডীপস্টেটের ২৯ মিলিয়ন ডলারের সুবিধাভোগীদের দিয়ে ক্ষেত্র প্রস্তুত করে বাইডেন প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় বিশেষ দূত ডোনান্ড লু’র গুটি চালানোয় ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে এবং আমেরিকা তার ‘পুতুল’ ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আমেরিকার কথামত ‘জনপ্রিয়’ ভারতবিরোধীতা করে ইউনূস সাহেবের দিন ভালোই কাটছিল, কিন্তু নভেম্বরে বাইডেন রেজিমের পতন হলো এবং ইউনূসের মাথার উপর থেকে প্রশ্রয়ের হাত উঠে গেল তখনই ড. ইউনূস বুঝে গিয়েছিলেন-‘তার বিদায়ের সময়ও ঘনিয়ে আসছে’। ট্রাম্প শপথ নেওয়া পর ইউনূস আরও ভীত সন্ত্রস্ত হলেন, কারণ ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি ‘ক্লিনটন ফাউন্ডেশন এবং এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ডেভেলপমেন্ট ফান্ডগুলোর বিরুদ্ধে তিনি এফবিআই তদন্ত করবেন। এই ক্লিনটন-হিলারি-ওবামা সকলেই এই ফাউন্ডেশনের মাধ্য বিশ্বের দুর্বল দেশগুলোর সরকার পতন ঘটিয়ে নিজেদের পুতুল সরকার বসায়। যে পরিবর্তনের নাম দেয়-‘কালার রেভ্যুলেশন’।
📍
ট্রাম্পের পদক্ষেপের পর ইউনূস তার বিদেশি মিত্র- ক্লিনটন ফাউন্ডেশন, ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা- আইএসআই-এর স্মরণাপন্ন হন। এরই অংশ হিসাবে ২০ জানুয়ারি আইএসআই প্রধান আসিম মালিক, ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ আলম আওয়ান এবং ব্রিগেডিয়ার উসমান তাইফ। বাংলাদেশ সফর করেন। এর পেছনের দুটি কারণ, প্রথমত: ভারতকে চাপে রাখার জন্য আইএসআই-এর সাথে একটি চুক্তি করে অস্ত্রশস্ত্র, ট্রেনিংয়ের মহড়া দেওয়া এবং ফেব্রুয়ারিতে করাচিতে পাকিস্তান নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেওয়া। দ্বিতীয় কারণ- বাংলাদেশে রণসাজ বাড়িয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ জিগির তুলে ইউনূসের জনপ্রিয়তা বাড়ানো এবং ভারতের দৃষ্টি পশ্চিম থেকে পুবে নিয়ে আসা। এ কাজে আইএসআই তাদের পুরোনো স্লিপার সেলগুলো সক্রিয় করেছে। এই স্লিপার সেল-এ রয়েছে ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’, ‘রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (RSO)‘, ‘আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (ARA), এবং ‘ইসলামি মাহাজ’ নামের একটি সংগঠন। এই চারটি জঙ্গী সংগঠনকে অস্ত্র সরবরাহ ও ট্রেনিং দেবে পাকিস্তানের আইএসআই। তারা নির্ভর করছে এইসব ‘ননস্টেট অ্যাক্টর’দের ওপর।
📍
মুহাম্মদ ইউনূস ২১ জানুয়ারি দাভোসে গিয়ে আরও দুজনের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন; তারা হলেন ক্রিষ্টিয়ান লাগার্থ ও আনোয়ার ইব্রাহিম যাদের দুজনেই ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ও জর্জ সোরেসের ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত। ক্রিস্টিয়ান লাগার্থ ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং ফান্ডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর থাকাকালে জর্জস সোরেসের অর্থনৈতিক লেন-দেন মনিটরিং করতেন। সুইজারল্যান্ডে ড. ইউনূসের সফরের আসল উদ্দেশ্যই ছিল সোরেসের থেকে টাকা কীভাবে আনবেন এবং কোন কোন খাতের কথা বলে আনবেন তার বন্দোবস্ত করা। তিনি ফিরে আসার পর আলেকজান্ডার সোরেস গোপনে এসে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাব দেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’, ‘রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (RSO)‘, ‘আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (ARA), এবং ‘ইসলামি মাহাজ’, এই চারটি সংগঠনকে একত্রিত করে FOUR BROTHERS ALLIANCE গঠন করার প্রস্তাব দেন, এবং তিনি এ্ও বলেন-‘শুধু এই চারটি সংগঠন একত্রিত করাই যথেষ্ট নয়। হেফাজতে ইসলাম, হিজবুত তাহরির এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এই তিনটি সংগঠনকে যুক্ত করে ISLAMIC REVOLUTION ARMY গঠন করতে হবে। আলেকজান্ডার চলে যাওয়ার পর চারটি রোহিঙ্গা গোষ্ঠী ও তিনটি ইসলামী সংগঠন একত্রিত হয়ে কাজ শুরু করে। এই IRA পুরোপুরি ট্রেনিংপ্রাপ্ত হয়ে কাজ শুরু করবে। এক. এটা সরাসরি ড. ইউনূসের অধীনে পরিচালিত হবে এবং তিনি এদের জন্য ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ও ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন থেকে অর্থ সাহায্য গ্রহণ করবেন। দুই. পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এই জঙ্গি সংগঠনের অস্ত্র ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবে। এদের ভাধ্যমে ভারতকে অস্থিতিশীল করে দেশের ভেতররের সমস্যা থেকে মানুষকে যুদ্ধে মননিবেশ করাবে তিন. হেফাজতে ইসলাম, হিজবুত তাহরির এবং আনসারুল্লাহ বাংলা নিয়ে যে নতুন দল গড়ে উঠবে তাদের তৃণমূল ও বুথ পর্যায়ে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করবে।
📍
আইএসআই-এর এই তৎপরতার আভাস মেলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের অস্বাভাবিক কর্মতৎপরতায়।
বাংলাদেশে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহম্মেদ মারুফের ম্যারাথন সফর। রীতিমতো একজন রাজনীতিবিদের মতো তিনি দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরছেন। অন্তর্বর্তী সরকার তাকে সর্বোচ্চ ভিআইপি প্রটোকলও দিচ্ছে।
গত এক মাসে তার সফরগুলো লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে তিনি কোন কোন বিশেষ অঞ্চল সফর করেছেন। ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ, রাবির একটা প্রতিনিধি দলও সেখানে তার সাথে দেখা করে। ৫ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার হরিহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রান্তিক খামারীদের এক সমাবেশে অংশগ্রহন করেন। ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি সস্ত্রীক কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সমূদ্র সৈকতের নামে রোহিঙ্গাদের একটা টীমের সাথে তার দীর্ঘ মিটিং করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্যের দল নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের সাথে মিটিং করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি রংপুর চেম্বার ও কমার্সের ব্যবসায়ীদের সাথে দিনভর বৈঠক করেন।
প্রতিটা সফরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূত মূলত স্থানীয় জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে মিটিং করেছেন। ঢাকায় প্রায় প্রতিদিনই চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন উপদেষ্টার দফতর। ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামায়াতের আমিরের সাথে দলবল নিয়ে বৈঠক করেছেন।
পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূতের সফর অঞ্চলগুলো সিগনিফিকেন্ট! চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী, রংপুর, ঝিনাইদহ! এগুলোকে কী ‘স্বাভাবিক সফর’ মনে হয়?
📍
চারটি আরাকান গোষ্ঠীর কাজ হবে ‘ছাত্র-জনতার’ ছদ্মবেশে দেশের ভেতরে মব ভায়োলেন্স তৈরি করে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতা-কর্মিদের ভয়-ভীতিসহ বিভেদ তৈরি করা, তবে তাদের মূল কাজ হবে ভবিষ্যতে মোদী এবং ট্রাম্প যদি বাংলাদেশে রেজিম চেঞ্জ করতে চায় তাহলে IRA বাংলাদেশে ব্যাপক সহিংসতা ও অরাজকতা সৃষ্টি করে জনজীবন অতীষ্ট করে তুলবে। মোটা দাগে ইউনূস চান হাসিনার সঙ্গে যা করা হয়েছিল তা যেন তার উপর কেউ করতে না পারে। তাই তিনি আগাম প্রটেকশনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।
📍
এই পদক্ষেপগুলো যদি শুধু প্রস্তুতি পর্ব হয় তাহলে বাংলাদেশ হয়ত একটি রক্তাক্ত অধ্যায় এড়াতে পারবে। যদি টপ প্রায়োরিটি দিয়ে এসব গড়ে ওঠার ঘটনা সত্যি হয় তাহলে বাংলাদেশের বিপদের আশঙ্কা বহুগুন বেড়ে যাবে। এসব বিষয় মিডিয়া যেমন জানে তেমনি ভারত ও মার্কিন সরকারও নিশ্চিতভাবে জানে এবং সেইমত ব্যবস্থাও নিচ্ছে বা নেবে। ইতোমধ্যে Assistant Secretary of State for South Asian Affairs. পল কাপুর FBI Director কাশ প্যাটেল এবং Director of National Intelligence তুলসি গ্যাবার্ড কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
📍
ভারতও বাহিনী প্রধানদের নিয়ে ক্যাবিনেট বৈঠক, স্ট্রাটিজি সেরে ফেলেছে। তাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল পশ্চিমবঙ্গে এসে দুদিনের গোপন বৈঠক করে গেছেন। সীমান্তে লজিস্টিক অ্যারেঞ্জমেন্ট পরিদর্শন করেছেন। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে-‘আমরা যুদ্ধ চাই না, চাই শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা মেটাতে চাই। তবে কেউ যদি আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয় তাহলে ভারত তার কড়া জবাব দেবে।‘ মুহাম্মদ ইউনূস যে স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়ন হবে না। IRA বা Four brothers alliance যে-ই আসুক দেশের অভ্যন্তরে লীগ-বিএনপির দেওয়াল ভাঙতে হবে এবং বাইরের দুটো পরাশক্তির আক্রমণ থেকে বাঁচতে হবে। কাজটা মোটেও বুলডোজার দিয়ে কোনও বাড়ি ভাঙ্গার মত সহজ বিষয় নয়।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।