ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় ও অলঙ্ঘনীয় দিন। এই ভাষণ ছিল জাতির মুক্তির সনদ, যা বাঙালিকে স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করেছিল।
শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তা হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তির বার্তা এনেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”— বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা বাঙালিকে চূড়ান্ত লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করে এবং ২৫শে মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পথ দেখায়।
জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ একইসূত্রে গাঁথা। তিনি দীর্ঘ ২৪ বছর পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, কারাবরণ করেছেন, কিন্তু বাঙালির ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াই থেকে কখনো পিছপা হননি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে চক্রান্ত শুরু করলে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন, যার চূড়ান্ত রূপ ছিল ৭ই মার্চের ভাষণ।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার এই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ যুদ্ধকালীন ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে “বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংসের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
তিনি দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, “জয় বাংলা” স্লোগান এবং জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণ যুগে-যুগে বাঙালিকে অনুপ্রেরণা যোগাবে, সাহস দেবে এবং মাথা উঁচু করে চলার শক্তি দান করবে।”
পরিশেষে তিনি “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক” বলে বিবৃতি শেষ করেন।
সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।