চোখ বন্ধ করে নিজেকে প্রশ্ন করুন: যখন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, আকবর আলী খান ইত্যাদি বড় বড় গর্দানধারী মানুষ প্রথম আলোয় কলাম লিখছে এই বলে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা ছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণ অসম্ভব, তখন বাংলাদেশের কোন নেতা সাহস করবে বিশ্ব ব্যাংকের দর্প চূর্ণ করে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজে হাত দিতে? যখন পদ্মা সেতু হয়ে গেল তখন বিভিন্ন ডিজিটাল সন্ত্রাসী বলতে শুরু করল পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে ভারতের সৈন্য চলাচলের জন্য। আবার এই সন্ত্রাসীরাই বলে ভারত আর চিন শত্রু। তা হলে চিন কেন পদ্মা সেতু নির্মাণে এগিয়ে এল? মোটা কথা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে এক বার নামলে আপনাকে কুযুক্তিই চর্চা করতে হবে। পদ্মা সেতু হল: এবার বলা শুরু হল দুর্নীতি হয়েছে লক্ষ-কোটি টাকা। অথচ এই সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের এমন কিছু মানুষ জড়িত যাদেরকে আমরা সবাই বিশ্বাস করি। যা হোক। দুর্নীতির কথা আসলেতো আমাদের মাথা আর ঠিক থাকে না। দুর্নীতি বাংলাদেশে সব সময় হয়েছে। দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাওয়ার সুযোগ নাই। মোটা গর্দানের দেবপ্রিয় যোগ অংক করে বাজেটের সব টাকা দুর্নীতিতে ঢুকিয়েছে। এই লোক যখন জেনিভাতে রাষ্ট্রদূত ছিল তখন ওই স্পটে আমি তাকে দেখেছি: লোকটা কত বড় গর্দভ। কিন্তু সে যোগ অংক পারে। যা হোক। কিছুই না মানুন। প্রতি মাসে শেখ হাসিনার সরকারের সময় দুই বিলিয়ন তিন বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে–এটাতো আমরা সবাই বিশ্বাস করি, তাই না? তা হলে ইউনুসের আট মাসে ষোলো থেকে চব্বিশ বিলিয়ন ডলার বেঁচে গেছে, তাই না? তা হলে আমরা সবাই কেন ইউনুসকে জিজ্ঞেস করছি না, এই টাকাগুলি কোথায়? উনি এই টাকা দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কী কী কাজ করেছেন? কত দরিদ্র মানুষকে সহায়তা দিয়েছেন? দিনের শেষে ও শুরুতে পদ্মা সেতু দিয়ে বাংলাদেশের মানুষই চলাচল করে। দুর্নীতি, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ইত্যাদি যেই ইস্যুগুলিকে দিয়ে মানুষের মগজ ধোলাই করে সন্ত্রাসী পিনাকী, ফরহাদ মজহার, ইলিয়াস, কনক সরোয়ার, তাজ হাশমি ও তাদের অনুসারিরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র দখল করল সে সব বিষয়ের উপর আমাদের বিস্তারিত আলোচনা করতেই হবে। আলোচনা করতে হবে এই সব সন্ত্রাসীর মগজ যার মধ্যে এত গভীর অপরাধ তৈরি হয়েছে। একটা রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে এই পর্যায়ের অপরাধী কোনও জাতিতে তিন-চারশো বছরে এক জন জন্মে। কী করে আমাদের এইখানে এই মাত্রার এতগুলি ক্রিমিনাল এক সাথে তৈরি হল সেটা বুঝলে ভবিষ্যতে আমরা সাবধান হতে পারব।
সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।