২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে ইটালিয়ান-জাপানী সহ বেশ কিছু দেশী বিদেশীকে হত্যা করে ইসলামিক স্টেটের প্রতি সমর্থনকারি জঙ্গিরা। তাদের আরেকটা গ্রুপ ঢাকায় আরেকটা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো রাজধানীর কল্যানপুরের তাজ ভবনে। হলি আর্টিজানের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য সেখানে হানা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আত্মসমর্পণের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে উল্টো হামলা চালানোয় সেখানে সংঘর্ষে নিহত হয় ৯ জন জঙ্গি।
সেই অভিযানে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে এখন ৯ জন “ইসলামি ভাবাপন্ন (মামলার ভাষায়)” যুবক হত্যার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ বিচারের ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। আজ সকালে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে এই হত্যা মামলায় আসামী দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
প্রমানিত জঙ্গিরা হয়ে গেছে এখন ইসলামি ভাবাপন্ন যুবক। আর জঙ্গি দমন করার অপরাধ হয়ে গেছে এখন মানবতা বিরোধী অপরাধ। বাংলাদেশ আসলে কাদের হাতে সে প্রমানটাও হয়ে গেছে। যতই বিদেশী মিডিয়ায় গিয়ে ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না বলো আর কাজ হবে না।
সাবেক আইজিপি শহীদুলসহ ট্রাইব্যুনালে ৬
সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিঞাসহ তিনজনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। রাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজ বিল্ডিং নামের এক বাসায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযানে ৯ জনকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এ ছাড়া একই ট্রাইব্যুনালে রামপুরায় কার্নিশে ঝুলন্ত যুবককে দফায় দফায় গুলির ঘটনায় এসি রাজন কুমারসহ ২ জন ও গাবতলীতে গণহত্যার ঘটনায় এসি এস এম ময়নুল ইসলামকে হাজির করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় আদালতে হাজির করা হয় তাদের।
২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ডসংলগ্ন ৫ নম্বর সড়কের জাহাজ বিল্ডিং নামের একটি বাসায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের অভিযানে ৯ জন ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছেন বলা হয়। ওইদিন অভিযান শেষে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক শহীদুল হক।
তিনি বলেছিলেন, নিহত ব্যক্তিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। ওই বাড়ি থেকে গুলশানের মতো বড় হামলার পরিকল্পনার তথ্য পুলিশের কাছে আগে থেকেই ছিল।