এলজিআরডি উপদেষ্টা সজীব ভূইয়া তার এক সাক্ষাৎকারে বলেছে, ৫ই আগস্ট সরকারের পতন না হলেও তারা ‘ সশস্ত্র বিপ্লব’ সংগঠিত করে সরকারের পতন নিশ্চিত করতো ।
তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়, সশস্ত্র বিপ্লবের জন্য সংরক্ষিত অস্ত্রগুলো কোথায় রেখেছে তারা ?
গৃহযুদ্ধের জন্য যে হুমকি অন্য এক মাস্টারমাইন্ড উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দিয়ে রেখেছে – তাহলে পুলিশ বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার অস্ত্র কি তারাই এই কর্মটি করার জন্য থানা, জেলখানা, পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রগুলি কি এই উদ্দেশ্যে তারা পুলিশ হত্যা করে লুট করে সংরক্ষণ করেছে?
তৃতীয় প্রশ্ন হলো , তাদের কাছে অস্ত্র যেহেতু আগেই মজুত ছিলো – তাই ৭.৬২ বুলেট দিয়ে স্নাইপারের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুলবুঝিয়ে আন্দোলনে নামিয়ে এর অধিকাংশ হত্যকান্ড ঘটিয়ে সরকারের ওপর দোষচাপিয়ে সরকারের পতন ঘটিয়েছে কি এরাই ?
তাহলে সংগত প্রশ্ন হলো – এই হত্যাকান্ডের অধিকাংশ কি ওরাই ঘটিয়েছে?
চতুর্থ প্রশ্ন হলো , সরকারি ও রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণ বৈঠক একটি গোপন প্রক্রিয়া । কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আলাপ আলোচনা, তর্কবিতর্ক হয় যা কোনো দেশে কোনো কালেই প্রকাশ করা হয়না । সজীব ভূঁইয়া তার সাক্ষাৎকারে যে কথা সেনাপ্রধানকে নিয়ে ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার ব্যাপারে যে মৃদু বিতর্কের কথা বলেছেন এবং শেষপর্যন্ত সেনাপ্রধান তো অন্যের মতামতকে মেনে নিয়ে ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা বানানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন ।
প্রশ্ন হলো সজীব ভূঁইয়া সরকারের উপদেষ্টা থেকে এই গোপন বিতর্ক প্রকাশ করে রাষ্ট্রের গোপনীয়তার শপথ ভঙ্গ করেছেন কি না ?
এজন্য সজীব ভূঁইয়াকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা জরুরি কি না ?
সবশেষ বিষয়টি হলো , যেহেতু তারা ‘সশস্ত্র বিপ্লবের ‘ কথা বলেছেন , থানা জেলখানা ও ফাঁড়ির হাজার হাজার অস্ত্র লুট করেছে – এবং তাদের ভাষ্যমতে গৃহযুদ্ধ তারা দেশে সংগঠিত করবে – তাই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তাদের কাছেই সংরক্ষিত আছে – তাই তাদের এক্ষুনি গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে এই লুন্ঠিত এবং আগে থেকে সংরক্ষিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা জরুরি ।