প্রথমার্ধে বেশ দাপুটে ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। তবে ফিনিশিং দুর্বলতায় গোলের দেখা পায়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধরা। দ্বিতীয়ার্ধে ভারত কিছুটা চাপ সৃষ্টি করলেও বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগ তৈরি করে হ্যাভিয়ের কাবরেরার দল। তবে স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় রক্ষা পায় ভারত। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) শিলংয়ে জওহরলাল স্পোর্টস কমপ্লেকসে কিক অফের পরেই সহজ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। হামজার বাড়ানো বলে ভারতের গোলরক্ষকের ভুলে বল পায় মুজিবুর রহমান জনি। তবে ফাঁকা পোস্টেও বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের ১২ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। হামজার নেওয়া কর্নার থেকে বল পেয়ে কাউন্টার অ্যাটাকের জন্য শট করেন ভারতের গোলরক্ষক ভিশাল। তবে আবারও ভুল করেন তিনি।
সেখান থেকে বল পেয়ে গোলের সহজ সুযোগ পান হৃদয়। তবে তার নেওয়া দুর্বল শট গোললাইন ক্লিয়ার করেন ভারতের ডিফেন্ডার শুভাশীষ। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দু’দল।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় ভারত। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বাঁ প্রান্ত থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেছিলেন ভারতের স্ট্রাইকার উদান্ত। বল মিতুল ঠেকানোর পর ফিরতি বলে শট নেন ফারুক। তবে শটে জোর না থাকায় আবারও তা আটকে দেন মিতুল।
ম্যাচের ৪১ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ নষ্ট করেন জনি। ভারতের এক ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বল নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। সামনে ছিলেন শুধুই ভারতের গোলরক্ষক ভিশাল। তবে এবারও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জনি। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দু’দল।
বিরতি থেকে ফিরে বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি করে খেলতে থাকে ভারত। স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণে বেশ ব্যস্ত সময় পার করে বাংলাদেশের ডিফেন্স। তবে ৬১ মিনিটে সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। রাকিবের প্রেসিংয়ে পড়ে বল আবারও ভুল পাস দিয়ে বসেন ভারতের গোলকিপার ভিশাল। বলটা পেয়ে যান জনি। তবে আবারও তালগোল পাকিয়ে ফেলেন জনি।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিল ভারত। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে মার্কারকে দূরে ঠেলে হেড নিয়েছিলেন ভারতের ডিফেন্ডার শুভাশীষ। তার নেওয়া বুলেট গতির হেড পোস্টে পাশ দিয়ে চলে যায়।
ম্যাচের ৯০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে বুলেট শট নিয়েছিলেন বদলি নামা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তবে গোলরক্ষক ভিশালের দক্ষতায় গোল পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়ে দু’দল।