।। মনজুরুল হক ।।
কালবৈশাখী ঝাড়ের আগে গুমোট বাতাসহীন দশা এখন বাংলাদেশের। গত কয়েকদিন ধরেই চাপা গুঞ্জন। যে কোনও সময় ঝড় উঠবে এমন আবহ। পুরোনো হয়ে গেছে, তবুও উল্লেখ করা প্রয়োজন: গত ২১ তারিখে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র হাসনাত আব্দুল্লাহ সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ১১ তারিখ সংঘটিত বৈঠকের বিবরণ দেন সামাজিক মাধ্যমে। যার মূল পয়েন্ট: “ক্যান্টনমেন্টে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা চলছে”।
এটা নিয়ে তুলকালাম শুরু হলে উত্তরাঞ্চলীয় নেতা সারজিস আলম ব্যাখ্যা দেন-“হাসনাত যেভাবে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে রিসিভ করেছে, আমার কিছুটা দ্বিমত আছে।“
দলের আর এক নেতা হান্নান মাসউদ বলেন-‘হাসনাতবা সারজিস দুইজনের একজন মিথ্যা বলছেন।“ চতুর্থ নেতা নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলছেন-“হাসনাতের বক্তব্য সোস্যাল মিডিয়ায় আসা উচিৎ হয়নি। “
☢️
মনে হতে পারে তাদেরকে সেনা দপ্তরে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। প্রকৃত ঘটনা তারা সেনাপ্রধানের মিলিটারি সেক্রেটারিকে ফোন করে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। সেনাপ্রধান সাক্ষাত দিতে রাজি হয়েছিলেন।
পরে সেনা দপ্তর থেকে হাসনাতের নামোল্লেখ না করে তার দীর্ঘ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে-“অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার”।
☢️
এর পরদিন এবি পার্টি সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে পাশে রেখে আপত্তিকর ভাষায় রাষ্ট্রপতিকে গালি দেন এবং সেনাপ্রধানকে হঠিয়ে সেনা ক্যান্টনমেন্ট দখলের হুমকি দেন। যা সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহীতা। এর পর পরই গুজব রটে যায় ‘ফুয়াদকে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছে’।
সবচেয় বড় ‘বোমাটি’ ফাটিয়েছেন এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন- “৫ আগস্ট সফল না হলে অস্ত্র তুলে নিতাম। “
☢️
এর পরে সেনা সদর দপ্তরে ২৩ তারিখে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও ২৪ তারিখে সকল সেনা সদস্যদের মিটিংয়ে সামগ্রিক বিষয়াদি নিয়ে বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তাঁর বক্তব্যটি ইতোমধ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে স্বভাবতই এখন সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে দুটি অত্যন্ত জরুরি প্রশ্ন উঠেছে।
☢️
এক. অস্ত্র যে অভ্যুত্থানকারীদের হাতে ছিল সেটা সজীব ভুঁইয়া স্বীকার করেছেন। সেই অস্ত্র কারা দিয়েছিল? কোথা থেকে এসেছিল? এটা শুধু ৪শ’র মত থানা লুটের অস্ত্র নয়। বোঝা যাচ্ছে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরে হয়েছিল। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই অস্ত্রগুলো এখনও আছে। তাহলে কেন অভ্যুত্থানকারীরা তা সরকারের কাছে সারেন্ডার করেনি?
☢️
দুই. পুলিশ ও মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতাধারী সেনাবাহিনী সেগুলো উদ্ধারের ক্ষেত্রে কার্যকর তৎপরতা দেখাচ্ছে না কেন?
অবস্থাদৃষ্টে কি মনে হচ্ছে না, এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র হাতে আছে বলেই কি হাসনাত-সারজিস-ফুয়াদরা সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিল? যে জঙ্গি-জেহাদী-সমন্বয়ক-ছাত্রদের হাতে যে অত্যাধুনিক অস্ত্র আছে তা দিয়ে তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে যেতে প্রস্তুত! তাদের এইসব প্রকাশ্য আস্ফালনের মানে তো তাই দাঁড়ায়।
☢️
চ্যালেঞ্জেগুলো যখন এই সময়েও আসছে, তার মানে তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র আছে? যা কেবল পুলিশ থানা লুটপাট থেকে আসেনি, অর্থাৎ এইসব অত্যাধুনিক অস্ত্র তাদের হাতে অভ্যুত্থানের আগে থেকেই ছিল। ৫ আগস্টের পরে আরও সংগ্রহ বেড়েছে। জঙ্গি-জিহাদীরা অনেকেই জেল ভেঙে বেরিয়ে গেছে। বাকিদের ড. ইউনূস সরকার জামিনে মুক্তি দিয়েছে। এদের সবার কাছে আধুনিক অস্ত্র আছে। বিস্ফোরক আছে। যে ৭.৬২ বোর স্নাইপার রাইফেলের কথা তুলে বিস্ময় প্রকাশ করে জরুরিভিত্তিতে তদন্ত করার কথা বলায় পদ খুইয়েছিলেন তৎকালিন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) সাখাওয়াত হোসেন।
☢️
তার মানে এখন যে সরাসরি একটা প্রশিক্ষিত শক্তিশালী সেনাবহিনীকেও তারা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, সেটা হঠাৎ রেগে গিয়ে বা স্লিপ অব টাং ভাবার কারণ আছে কী?
☢️
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে এবার আফগানিস্তানের ২০২০-২০২১ সালের ঘটনাগুলো একটু মিলিয়ে নিলে একটা সামগ্রিক চিত্র উঠে আসবে। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির বিরুদ্ধে তালিবান আক্রমণের সময় ছাত্র-মিলিশিয়াদের হাতে উঠে এসেছিল অসংখ্য অত্যাধুনিক অস্ত্র। তালিবান যোদ্ধা, ছাত্র মিলিশিয়া এবং ছোট-বড় জঙ্গি গ্রুপগুলোর হাতে ওইসব মারনাস্ত্র ছিল বলেই তারা দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন সেনাদের হাতে প্রশিক্ষিত আফগান সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছিল এবং ক্ষমতা দখল করতে পেরেছিল।
☢️
ঠিক তেমনি অবস্থা এখন বাংলাদেশে। এখানে তারা সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় প্রস্তুত আছে। যখনই প্রয়োজন হবে তখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে পিল পিল করে বেরিয়ে আসবে। তাদের প্রধান টার্গেট হবে রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, সেক্যুলার মুক্তচিন্তকরা এবং অবশ্যই সেনাবাহিনী। তা না হলে এক মাস পুরো হয়নি এমন একটা ছাত্র পরিচালিত ভুঁইফোড় দলের পক্ষে সেনাবাহিনীকে এমন চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা নয়। তারা তাদের অস্ত্র মজুদের কনফিডেন্স থেকেই হয়ত এমন নির্ভিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পেরেছে।
☢️
আজকে যখন সেনাপ্রধান ২৪ তারিখে গুরুত্বপূর্ণ সভা ডেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। বিভিন্ন পয়েন্ট ধরে ধরে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন। তাহলে নির্মোহ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে কি দেখা যায় না যে এই সেনাদের প্রশ্রয়, আসকারা, স্নেহ-বাৎসল্য পেয়েই ছাত্র-জনতা, তৌহিদী জনতা নামধারীদের চূড়ান্ত বাড়বাড়ন্ত হয়েছে? মবক্রেসি তো সেই ৫ আগস্টের পর থেকেই হয়ে আসছে। সেনারা কয়টি মবক্রেসি রুখতে পেরেছে? কেউ কেউ হয়ত বলবেন-সেনারা মাঠে ছিল এবং আছে বলেই জঙ্গিরা এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারেনি।
☢️
মার্চের ২১/২২ তারিখ থেকে, বিশেষ করে ২৩/২৪ তারিখের পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে সেনারা ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ব্রিগেড থেকে সৈন্য এনে ঢাকায় জড়ো করা হয়েছে। রাতদিন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনা তল্লাসি চলছে। কীভাবে বর্তমান অরাজক পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে সেই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন সেনাপ্রধান।
☢️
এবার একটু পিছিয়ে ভাবা যাক। এই যে নবগঠিত ‘জাতীয় নগরিক পার্টি’র শীর্ষ নেতারা, এবি পার্টির নেতা, বিভিন্ন সমন্বয়করা যেসব হুমকি-টুমকি দিচ্ছেন তা কি ড. ইউনূসের অজ্ঞাতে? তিনি কি এসব দেখছেন না? অবশ্যই দেখছেন এবং জানেন, কিন্তু তার সরকার এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে একটিও বিবৃতি দেননি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব যিনি যে কোনো ইস্যুতে আগবেড়ে বিবৃতি দেন, তিনিও এ বিষয়ে স্পিক্টিনট। এমনকি কোনও সিনিয়র উপদেষ্টারাও কোনও মন্তব্য করছেন না। কী মনে হয়? তারা বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না? নাকি ‘সাপ ছেড়ে দিয়ে খেলা দেখতে’ চাইছেন?
☢️
আদপে ড.ইউনূস চাইছেন নির্বাচন পেছানোর সবরকম কৌশল ব্যবহার করতে। নতুন পার্টির ‘রক্তগরম’ নেতারা এইসব আলটপকা মন্তব্য করে, জঙ্গি স্লিপার সেলগুলো এখানে-ওখানে সিলেক্টিভ ব্লাডশেড করে, সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জের মুখে ছুড়ে দিয়ে দেশের একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান, যাতে করে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকা বর্হিবিশ্বকে বোঝানো যায় যে ‘এমন অস্থির পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা সম্ভব না’। অর্থাৎ তার সরকার এসবের বিনিময়ে বারে বারে ‘টাইম পারচেজ’ করতে থাকবেন।
☢️
দেশের বৃহত্তম দল বিএনপির নেতারা এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতেও বলে চলেছেন-“নির্বাচন ভন্ডুল করার অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হবে”। সঙ্গে আরও কিছু শিশুতোষ মন্তব্য করছেন যা তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা প্রমাণ করে না।
☢️
এর সঙ্গে আছে আরও কয়েকজন ‘পাকামাথা’। তাদের কেউ দেশে বসে, কেউ বিদেশে বসে একটা করে ইস্যু তৈরি করে মবক্রেসি উসকে দিচ্ছেন। দেশের ‘পাকামাথাগুলো’ “এইমুহূর্তে দেশ বাঁচানোর জন্য নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার বেশি জরুরি” বলে বড় বড় আর্টিকেল লিখছেন, মন্ত্রণা দিচ্ছেন। যার বলে বলিয়ান হয়ে সার্জিস আলম বলতে পেরেছিলেন- “ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন এক কথায় অবাস্তব এবং অসম্ভব। “
অর্থাৎ এখানেই রয়েছে সেই ষড়যন্ত্রের ছক। আগে সংস্কার শেষ করতে করতে কয়েক বছর কাটিয়ে দিলে তাদের পার্টি সরকারি টাকায় সারা দেশে পায়ের তলার মাটি শক্ত করবে। ভোটার হওয়ার বয়স ১৮ বাদ দিয়ে ১৭ করা হবে, যাতে করে তরুণরা বিপুল পরিমানে ভোটার হয়ে তাদের ভোট দিতে পারে।
☢️
এই পুরো মেটিক্যুলাস প্ল্যান কখনও এইসব ছাত্রত্ব না পেরুনো নেতাদের মাথা থেকে আসেনি। এ কেবলমাত্র সম্ভব বিশ্বময় পরিচিতি পাওয়া কুল হেডেড ড. মোহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে।
☢️
২৪ মার্চে সেনা সদর দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ সভা ডেকে দেশে জঙ্গিবাদ উত্থান রুখতে সেনাপ্রধানের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ইঙ্গিত দেয় তাঁর উপর বিদেশি শক্তির চাপ রয়েছে। বিশেষ করে তিনি বলেছেন- “এক মার্কিন সিনেটরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যিনি ইসলামী চরমপন্থীদের উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। “এ ছাড়াও খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প, গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড সরাসরি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারত সফরকালে ভারতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মিটিংয়ে, এবং প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন-ভারত-আমেরিকা এই অঞ্চলে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করবে। সে কারণে সেনাপ্রধানের উপর এখন দ্বিমুখি চাপ।
☢️
দেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশকে জঙ্গিবাদের বিপদ থেকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনা। আবার সেটা করতে গিয়ে সম্মুখ সমর বা গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা থেকেও দেশকে বাঁচানো। তিনি এবং তাঁর বাহিনী কীভাবে কাজ করবে সেটা ২৪ তারিখের সভার পরেই সংকল্প ব্যক্ত করা হয়েছে, কিন্তু তিনি কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। দেশের এই অবস্থায় সেনারা দায়িত্ব নিয়ে প্রেসিডেন্টকে দিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে স্বল্পতম সময়ে নির্বাচন দিতে পারেন। দৃশ্যত: তিনি সে পথে হাঁটছেন না।
৫ আগস্টে তখনকার পরিস্থিতিতে সেনাদের অস্ত্রবিরতীতে থাকা সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে, কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দুঃসাহস দেখিয়ে ফুয়াদ সবার মুখ খুলে দিয়েছে। এখন সেনাবাহিনী বা সেনাপ্রধান সম্পর্কে আজেবাজে মন্তব্য উঠতে পারে। উসকানো হতে পারে। সেনাবাহিনীকে হতদ্যোম করবার জন্য বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হতে পারে। এই ভিন্ন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দিকে গেলে বরং জনগণের পূর্ণ সমর্থন পাবেন।
☢️
সেটাও না করে তিনি দ্বিতীয় পথ, অর্থাৎ জঙ্গি হামলা, দেশে খিলাফত প্রতিষ্টার হুমকিকে আমলে নিয়ে শান্তিপূর্ণ পথে হাঁটতে চাইছেন। এক পা এগিয়ে দু’পা পেছাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে চাইছেন। হয়ত তিনিও ড. ইউনূসের মত ভাবছেন: “ধীরে ধীরে অরাজকতা কমে আসবে”! কিন্তু তিনি যদি সেই প্রবাদের মত “পাগড়ি বাঁধতে বাঁধতে কাছারি লুট” হতে দেন তাহলে তিনি নিজেও ‘জাতির ত্রাণকর্তা’ থেকে জাতির কাছে ‘আপোষকামী’ হয়ে উঠতে পারেন। আর দেশ পতিত হতে পারে এক অতল গহ্বরে। ২৬ মার্চ ২০২৫