।। জয় বাংলা রিপোর্ট ।।
ষড়যন্ত্রকারিদের ভয়, আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন না করলে, তারা নিশ্চহ্ন হয়ে যাবে। এ শংকা উঠে আসছে সমন্বয়কদের কথাবার্তা.তাদের তৈরী জাতীয় নাগরিক পার্টি, জায়ামাত,হেফাজতসহ কট্টর ইসলামপন্থী এমনকি বিএনপির কোনো কোনো নেতার মুখ থেকে। আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়্র কথা শোনা যাচ্ছে এ জন্যই যে, এ দল তুইমই দল নয়।যদি ফিরে আসে একটারও মাথা থাকবে না।
কয়দিন আগে সারজিস আলম বলেছে,‘বিপ্লব ব্যর্থ হলে আমরা জেলে যাবো,এখন জেলে যারা তারা বাইরে থাকবে।’ হাসনাত আবদুল্লাহ বলছে, আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। আওয়ামীলীগকে কবর দিতে হবে।’
এসব কথাবার্তা থেকে পরিষ্কার তারা একটি ষড়ন্ত্রের মাধ্যমে জনগণকে উসকিয়ে ‘সামরিক-বেসামরিক এবং দেশী-বিদেশী ‘ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য’র প্রাথমিক ধাপ সফল করেছে মাত্র।এই ষড়যন্ত্রের ডাকে বা তাদের সৃষ্ট আন্দোলনে সাধারণ মানুষের দৃশ্যত যে অংশগ্রহণ ছিল, তা ফাফা। এখন মানুষ বুঝে ফেলেছে কত বড়ো ধোকা ছিল জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে। মানুষ প্রতারিত হয়েছে।
এই প্রতারণার জন্য-এখন তাদের ভয়,সাধারণ মানুষের সমর্থনে বা নির্বাচনের মাধ্যমে বা অন্য কোনো পথে আওয়ামীলীগ ধারার রাজনীতি ফিরে এলে নির্ঘাত তাদের কবর রচিত হবে। তাদের কথাবার্তা তা-ই প্রমাণ করে।
তারা ভালো করেই জানে, ষড়যন্ত্র বেশিদিন টিকে থাকে না। রেশ কেটে গেলে বা মানুষের মোহভঙ্গ ঘটলেই ফিরে আসবে তাদের কথিত শত্রুরা। আর তা-ই যদি ঘটে মাটির ওপরে তাদের জায়গা হবে না।স্থান হবে না রাজনীতি কেন, সমাজেও।এজন্য এসব নয়া চক্রান্তের কথা এখন জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে।
এদিকে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে ড. ইউনুস নিজে মেটিকুলাসলি ডিজাইন আখ্যায়িত করে বলেছেন নিজে।ফাফা বেলুন ফুলে ওঠে যখন সুন্দর লাগে, কিন্তু ফুটো হলে ফুস করে বা ধপ করে মিলিয়ে যায়, অস্তিত্বই আর থাকে না। তাদের ফাফা আন্দোলনটা সেই বেলুন। যে কোনো পথে ফেটে যেতে পারে। ফেটে গেলে অস্তিত্বই থাকবে না। এই ভয়, তাই চিতকার তাদের বেশি।আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করো,আওয়ামীলী নিশ্চিহ্ন করো।
তারা আওয়ামীলীগকে শুধু শত্রু মনে করছে না, তারা শত্রু মনে করছে মুক্তিযুদ্ধকেও। এজন্য ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ গুড়িয়ে দিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ শত শত ভাস্কর্য ভেঙে দিয়েছে। সোহরাওয়াদী উদ্যানে নির্মিত ‘স্বাধীনতা জাদুঘর’ তছনছ করে,চুরমার করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের যত স্মৃতি-স্থাপনা ধ্বংস করেছে। সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চিহ্ন রাখতে চায়নি।
এসব জাতীয় সম্পদ, জাতির পরিচয়, ধ্বংসের জন্য তাদের কি কোনো জবাবদিহিতার দিন আসবে না?আসবে। এই ফিরে আসাকে তারা ভয় করছে। কারণ এগুলো আওয়ামীলীগের সম্পদ নয়, এগুলো জাতির সম্পদ। জাতি যখন বিচার চাইবে, তখন বিচারটা উচিতটা-ই হবে। মাটির উপরে স্থান হবে না।
এই শংকা থেকেই তারা বলছে, আওয়ামীলীগ শুধু নয়, আওয়ামীলীগের আদর্শ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ মুছে দিতে হবে।এই আদর্শ বাংলাদেশের মানুষের নয়, মুসলমানের নয়। এটা নাকি খালি মুসলমানের দেশ! কিন্তু সংখ্যাধিক জনগণ মুসলমান হলেও এরা যে অসাম্প্রদায়িক, এটা তাদের গায়ে জ্বালা। তাই ভোট চায় না, সংস্কার চায়।সংবিধান চায় না, ক্ষমতা চায়।কতো যে পাগলের প্রলাপ! রাষ্ট্রগড়া আর রাষ্ট্রভাঙা কতো যে সহজ তাদের কাছে। কখনো ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’ কখনো ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ কখনো আবার ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’, মাজেজাটা বুঝুন এবার।
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিলি করা টাকা খেয়ে কামলা খেটে অনেক কিছু করা যায়, কিন্তু নিজের পায়ে কোদালের কুপ পড়লে পা থাকে কিনা,সেটা কি ভেবেছে ঐ বাছুরেরা!
নিশ্চয়ই পাকপ্রিয় জামায়াত ও জাঙ্গীদের হাত রয়েছে এতোসবের পেছনে। ‘মুক্তিযুদ্ধ ভাইয়ে ভাইয়ে ভুল বুঝাবুঝির যুদ্ধ ছিল’ শিবিরের এটা বলার পেছনে কাদের শক্তি?পাকপ্রীতির বার্তা এটা নয় কি? অবশ্যই।
তাই. আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ বা আওয়ামীলীগকে নির্বাচন করতে না-দেওযার হুংকার এটা তাদের স্বাভাবিক রাজনীতি। এই রাজনীতি তাদের পেছনের ষড়যন্ত্রকারি ‘শক্তি’ই মুখে তুলে দিয়েছে, এবং বলে দিয়েছে, ‘নইলে তোমাদের অস্তিত্ব বিপ্ন্ন হবে।’
তারা ভালো করেই জানে, কোনো দল বা গোষ্ঠীকে রাজনীতি কেরে না দেওয়া রাজনীতিসূলভ নয়। রাজনৈতিক আচার বা শিষ্টাচার নয়। তবুও তাদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে না-দেওযার স্বার্থে এই পথেই তাদের হাঁটতে হচ্ছে।
কিন্তু, আওয়ালীগের সাময়িক রাজনৈতিকভাবে পিছু হটেছে বটে, পরাজিত হয়নি। আর সামাজিকভাবে তো নয়-ই। সমাজে আওয়ামীলীগ বিদ্যমান। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ দিলে, পুনরায় আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করবে, এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তোমাদের তো ভয় এখানেই।