ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশে এই উৎসবকে ঘিরে সকলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। আগামী এক বা দুই দিন পরে ঈদুল ফিতর। অথচ ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পোশাক শ্রমিকদের চোখে প্রশান্তির চেয়ে হতাশা বেশি। উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগির চেয়ে আতঙ্ক তাদেরকে গ্রাস করে নিয়েছে। আদৌ তারা পরিবার-পরিজনকে নিয়ে ঈদ উৎসব পালন করতে পারবে কিনা তাতে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সমাগত ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হচ্ছে বকেয়া বেতন ও বোনাসের জন্য। অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার একদিকে এই শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন ও বোনাস বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে না। অন্যদিকে তাদের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে তাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করছে। একটি সরকার কতটুকু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে তার নির্ধারক হলো সমাজের নিম্নশ্রেণীর মানুষের অধিকার কতটুকু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার শ্রমিকের বেতন, বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা ও তাদের ন্যায্য দাবি মেটানো তো দূরের কথা। বরং শ্রমিকের পেটে লাথি মেরেছে। শ্রমিকদের শ্রম ও ঘামের বিপরীতে ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় যখন তারা আন্দোলনে নামে তখন ফ্যাসিস্ট ইউনূস শ্রমিকদের বুকে গুলি চালায়। এই অবৈধ দখলদার অসাংবিধানিক সরকার পরিকল্পিতভাবে শিল্পখাতকে ধ্বংস করেছে। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর শত শত শিল্প কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। যার একটা বিরূপ প্রভাব সমাজের উপর পড়ছে। বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ বেড়ে চলেছে। জনজীবনের সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এগুলো করছে।
যে পোশাক শ্রমিকদের শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় সেই পোশাক শ্রমিকদের প্রতি এই চরম অবমাননা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যতবার ক্ষমতায় এসেছে প্রত্যেকবারই পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করেছে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, বেতন ও বোনাস পরিশোধে ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের অনীহার প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে হবে। যাতে তারা তাদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, বেতন ও বোনাসের দাবিতে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে তাদের পাশে থাকবে।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।তারিখ: ৩০ মার্চ ২০২৫