সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত বাউল গানের আসর বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ৩রা এপ্রিল রাত ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে আসরটি বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা। বাউলরা যখন রাধারমণ, হাসন রাজা, দুর্বিণশাহর গান পরিবেশন করা শুরু করেছিলেন তখনই প্রশাসন এসে আসরটি বন্ধ করে দেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের রাণীগঞ্জ দক্ষিণপাড় কুশিয়ারা সেতু এলাকায় ঈদ উপলক্ষে বাউল আসর আয়োজন করেন এলাকার লোকজন। স্থানীয়দের আনন্দ দিতে এই আয়োজনটি করেন স্থানীয় যুবকেরা। অনুষ্ঠান দেখতে সপরিবারে ছুটে আসেন অনেকে।
জেলার প্রতিষ্ঠিত কয়েকজন বাউলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। সন্ধ্যার পর বাউল গান শুরু হয়। বাউলরা জগন্নাথপুরের বাসিন্দা মরমী গানের সাধক রাধা রমণের গান দিয়ে আসর শুরু করেন। মাঝে হাস রাজা, শাহ আবদুল করিম, দুর্বিণশাহর গানও পরিবেশন করেন বাউলরা। এতে আসরটি মুখরিত হয়ে ওঠে।
কিন্তু স্থানীয় জামায়াত ও হেফাজতের নেতাকর্মীরা বাউল গান বন্ধে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেয়। গান বন্ধ না করলে হামলারও হুমকি দেয় তারা। এই পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহর নেতৃত্বে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল এসে গানের আসর বন্ধ করে দেয়।
আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেয় প্রশাসন। বাধ্য হয়ে আয়োজকরা বাউল গানের আসরটি বন্ধ করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহ বলেন, এ আয়োজনে সরকারি কোনো অনুমতি ছিল না। এছাড়া অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানান। বিশৃঙ্খলা এড়াতে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।