।। আলফ্রেড নোবেল।।
যতসব এনজিও মার্কা থার্ড ক্লাস গসিপের অংশ হচ্ছে বাংলাদেশ। যে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের ছবি দেখিয়ে ইলন মাস্ক বাংলাদেশে আসবে বলে দেশবাসীকে এতোদিন ভোদাই বানানো হলো সেই বিনিয়োগ সম্মেলনে পৃথিবীর নামকরা কোন কোম্পানিই আসেনি । যারা এসেছে তাদের মূল লক্ষ্য বিনোদন ও ফটোসেশন ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং দেশে গত আট মাসে বিনোয়োগ কমেছে ৭১ শতাংশ।
বাংলাদেশে ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার কথা ছিল বিশ্ববিখ্যাত স্যামসাং কোম্পানির।শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছিল।২০০৪ সালে তাঁরা ১৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলেও তৎকালীন বিএনপি জামায়াত সরকার ও হাওয়া ভবনের মিঃ টেন পার্সেন্ট অনৈতিক প্রস্তাবের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বাংলাদেশের ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের সাথে অংশীদারিত্বের কাজ করে। সময়ের সাথে সাথে বাজার চাহিদা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে এবং উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় পরবর্তীতে তাঁরা ভিয়েতনামে কারখানা গড়ে তোলে।
” বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১” এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথিবীর ৩৮ টি দেশের ৫৫২ টি নামিদামি কোম্পানির ৪৫০টি বিজনেস টু বিজনেস ম্যাচ মেকিং সেকশনে অংশগ্রহণ করেছে।শেখ হাসিনার করে যাওয়া সেই বিনিয়োগ সম্মেলনের ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশে ইউসুফ জাইয়ের সভাপতিত্বে যে বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা একটি ফটোসেশন ও দেশবাসীকে ভোদাই বানানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।গত আট মাস ধরে দেশে প্রচার করা হচ্ছিল ইউসুফ জাইয়ের আহবানে দেশে ইলন মাস্ক আসবেন! তখনি বলেছিলাম, তাঁর জুতোটাও এই ধ্বজভঙ্গ ভন্ডের দেশে আসবে না।দেশবাসীর সামনে ইলন মাস্ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে। সিঙ্গাপুরে HSBC নামক একটি কোম্পানির সেলস ম্যানকে বানিয়ে দেওয়া হলো বাংলাদেশের ইলন মাস্ক।তাকে দেওয়া হলো বিডা ও বেজার মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।পুরো দেশটাকেই হাসির এনজিও ক্লাবে পরিণত করেছেন ড. ইউসুফ জাই।৭৪ এর দূর্ভিক্ষে যিনি দেশের মানুষকে গ্রামীণ ব্যাংকের পরীক্ষামূলক পাইলট প্রকল্পের কিস্তি দিয়ে বগার ফান্দে আটকে ফেলেছিলেন তিনিই আজ ৭৪ এর দূর্ভিক্ষের জন্য কাঁদছেন! হিপোক্রেটস কত প্রকার ও কি কি তা এসব চতুর মাইক্রো ফাইন্যান্সারদের না দেখলে আপনি কিছুতেই বুঝতে পারবেন না।।
ইলন মাস্কের স্টারলিংক হচ্ছে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান । এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যদি পৃথিবীর অখ্যাত দেশ ও বাফার স্টেট খ্যাত পূর্ব তিমুর ব্যবসা করতে চায় তিনি তা করবেন।এতে সাফল্যের কি আছে? তাঁর টাকার দরকার আছে ।আপনি কিনছেন তাই সি বিক্রি করছে। এখানে বাহবা নেওয়ার বা দেওয়ার কি আছে?
নাসার আর্টেমিস অ্যাকর্ডস এর সাথে চুক্তি স্থাপন করে এমনভাবে প্রচার করছে যেন মহাকাশ জয় করে ফেলেছে লোটা বিজ্ঞান দিয়ে।লোটা কম্বল ছাড়া এই সরকারের গত আট মাসে আর কি অর্জন আছে? মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পারসো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮০ সালে।এতে ড. ইউসুফ জাইয়ের কি অবদান তা একটু বলবেন কি? তাছাড়া আশিক চৌধুরীর সম্ভবত তখন জন্মই হয়নি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে মহাকাশ যাত্রার সুচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে দুটি ভূ – উপগ্রহ স্থাপন করেছে শেখ হাসিনার সরকার।এতে ড. ইউসুফ জাইয়ের অবদান কি? ১৯৫৭ সালে রাশিয়া ( 𝐒𝐩𝐮𝐭𝐧𝐢𝐤 1) স্যাটেলাইট মহাশূন্যে পাঠিয়েছে , ১৯৫৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (𝐄𝐱𝐩𝐥𝐨𝐫𝐞𝐫 1) পাঠিয়ে মহাকাশের যাত্রা শুরু করেছে।সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সরকার (𝐅𝐚𝐥𝐜𝐨𝐧 9) রকেটে করে (𝐁��𝐧𝐠𝐨𝐛𝐨𝐧𝐝𝐡𝐮 1 ) স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়ে পৃথিবীর ৫৭ তম দেশ হিসেবে বিশ্বে নাম লিখিয়েছে।ক্যানেডি স্পেস সেন্টারের সাথে শেখ হাসিনার সরকার ১৫ বছরের চুক্তি করেছে যাতে ভবিষ্যতে এই স্পেস সেন্টার ব্যবহার করে চাঁদে ও মঙ্গল গ্রহে মহাকাশ যান পাঠানো যায়।শেখ হাসিনা তাঁর বক্তৃতায় চন্দ্র ও মঙ্গল অভিযানের কথা বহুবার উল্লেখ করেছেন।গত আট মাস ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নাম পরিবর্তন ছাড়া এই আহম্মক পাপেট সরকার আর কি করেছে?
যাকে সিঙ্গাপুরের চাকরি থেকে উড়িয়ে এনে দেশে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ইলন মাস্ক হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে সে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির স্কাইডাইভার ছাড়া আর কিছুই নয় । বর্তমান পৃথিবীতে হাজার হাজার নারী ও পুরুষ স্কাই ডাইভিং ও স্কুবা ডাইভিং করছে । তার মানে কি এদের বিদেশ থেকে উড়িয়ে এনে এনে দেশে মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিতে হবে । যতসব এনজিও মার্কা থার্ড ক্লাস গসিপের অংশ হচ্ছে বাংলাদেশ। যে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের ছবি দেখিয়ে ইলন মাস্ক বাংলাদেশে আসবে বলে দেশবাসীকে এতোদিন ভোদাই বানানো হলো সেই বিনিয়োগ সম্মেলনে পৃথিবীর নামকরা কোন কোম্পানিই আসেনি । যারা এসেছে তাদের মূল লক্ষ্য বিনোদন ও ফটোসেশন ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং দেশে গত আট মাসে বিনোয়োগ কমেছে ৭১ শতাংশ।।
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে সাদা চামড়া দেখিয়ে বাংলাদেশীদের ভোদাই বানানো।এরা বাংলাদেশের মানুষকে ভোদাই বানানোর প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে।
সত্য সবসময় সুন্দর।
𝐓𝐡𝐢𝐬 𝐰𝐚𝐬 𝐁𝐫𝐞𝐚𝐤𝐟𝐚𝐬𝐭 𝐦𝐞𝐞𝐭𝐢𝐧𝐠 𝐟𝐨𝐫 𝐜𝐡𝐚𝐢𝐧𝐞𝐬𝐞 𝐚𝐧𝐝 𝐊𝐨𝐫𝐢𝐚𝐧 𝐢𝐧𝐯𝐞𝐬𝐭𝐨𝐫🤣 𝐰𝐡𝐚𝐭 𝐚 𝐩𝐡𝐨𝐭𝐨 𝐬𝐡𝐨𝐨𝐭 𝐨𝐫 𝐩𝐡𝐨𝐭𝐨 𝐬𝐞𝐬𝐬𝐢𝐨𝐧 𝐢𝐭 𝐰𝐚𝐬.
লেখক: স্যোসাল মিডিয়া এক্টিভিস্ট।