চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র প্রকাশ্যে
মৌলভীবাজার জেলায় বৈষম্য বিরোধী মামলায় প্রতিনিয়ত অনেক নিরিহ ও অসহায় মানুষদের মামলায় নাম না থাকার পরেও বাসা-বাড়ি, বাজার , ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এমনকি মসজিদ থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে বিনা অপরাধে কারাগারে পাঠাচ্ছে। এইসব নিরীহ মানুষ মৌলভীবাজার জেলা কোর্ট থেকে জামিন পাওয়া যোগ্য অথচ পুলিশ-প্রশাসন এবং একটি কুচক্রী মহলের নির্দেশনায় মাসের পর মাস জেলে বন্দী রেখে এই অসহায় মানুষদের চরম ভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছে। অনেকে বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমি, গৃহপালিত পশু এমন’কি পরিবারের মুল্যবান জিনিস পত্র বিক্রি করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসলেও জেলা কারাগার থেকে সহজে কেউ মুক্তি পাচ্ছেন না। যারা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কোর্টের মাধ্যমে জামিনের কাগজপত্র জেল হাজতে প্রেরণ করেন তাদের জামিনের তথ্য মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার “তানিয়া ফারজানা” ছবি তোলে এবং মোবাইলের বার্তা মাধ্যমে মৌলভীবাজারে ডিসি জনাব “মোঃ ইসরাইল হোসেন”, পুলিশ সুপার জনাব “এম, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন”,ডিবি-পুলিশ এবং দালাল চক্রের কাছে তথ্য পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে জামিন প্রাপ্ত ব্যক্তিগন কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়ার চেষ্টা করলে, তাদেরকে সন্ধ্যার পর জেলা কারাগারে মূল ফটকের লাইট বন্ধ করে এবং সামনে অবস্থানরত মুক্তিপ্রাপ্ত কারাবন্দী স্বজনদের শারীরিকভাবে আঘাত করে ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে কারাবন্দী স্বজনদের জেলা কারাগারের গেইটের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়ে উক্ত জামিনকৃত ব্যক্তিদের বিনা মামলায় ডিবি -পুলিশ জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত স্থান থেকে গ্রেফতার দেখিয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ নতুন করে আবার অজ্ঞাত মামলা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
এই ঘটনা ৮ মাস ধরে নিত্যদিনের , প্রতিদিনই এই অপকর্ম মৌলভীবাজার প্রশাসন করে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলা বাংলাদেশের মধ্যে খেতাব প্রাপ্ত শান্তি প্রিয় জেলা এবং প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা । বর্তমানে এই জেলার মানুষ এবং প্রবাসী পরিবার পরিজন এই প্রশাসনের কাছে একপ্রকার জিম্মি। যাহারা মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এবং মৌলভীবাজার ডিবি -পুলিশকে লাখ লাখ টাকা (আনুমানিক জনপ্রতি ৫-১০ লক্ষ টাকা) গোপনে তাদেরকে দিতে পারছে তাদেরকে গোপনে বাহির হওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন এবং এই অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হলে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এইসব নিরীহ একজন মানুষকেও জেল থেকে বের হতে দিচ্ছেন না,আবার অনেক সময় মোটা অংকের টাকা খেয়েও (টাকা মেরে দিয়ে) জেল থেকে বের হতে দিচ্ছে না।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক এবং মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারকে বাহ্যিক ভাবে দেখতে বড় একজন বড় আলেম এবং পরহেজগার মনে হলেও এদের ভিতরের চরিত্র জঘন্য এবং যারা ভুক্তভোগী তারা শুধু মাত্র জানেন এদের চরিত্র কতটুকু নিকৃষ্ট। এই এসপি-ডিসি মৌলভীবাজার আসার পর থেকে প্রতিনিয়ত মৌলভীবাজারে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে, এমনকি হামলা-হত্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই ব্যক্তিগণ মৌলভীবাজার আসার পর থেকে গ্রেফতার বাণিজ্য এবং বিভিন্ন দুর্নীতি সাথে জড়িত হয়ে আছেন। মৌলভীবাজার জেলা ডিসি এবং এসপি এই টাকার একটি অংশ জামায়াত এবং নতুন একটি দলের নির্বাচনী ফান্ডে প্রদান করেন। মৌলভীবাজারের সাংবাদিকগণ এবং বিভিন্ন মিডিয়া এই ডিসি -এসপি এইসব অপকর্ম সম্পর্কে জানার পরেও মিডিয়াতে আসতে দেওয়া হয় না।
মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে অনেকে অসুস্থ অবস্থায় আছেন তাদেরকে সুচিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে না এবং কারাগারে আটককৃত ব্যক্তিদের প্রতিনিয়ত আঘাত-জুলুম করা হয়,তারই সাথে নিরিহ মানুষদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কারাগারে রেখে প্রতিনিয়ত অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার, মৌলভীবাজার জেল সুপার এবং ডিবি – পুলিশ অনতিবিলম্বে এই গ্রেফতার এবং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং নিরিহ মানুষদের মুক্তি দিতে হবে, তারই সাথে এই অপকর্মের জন্য মৌলভীবাজার জেলা সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এদের এই প্রহসন বন্ধ করা হোক।