।। মাসুদ রানা।।
পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা ৪.২ বিলিয়ন ডলার ফেরত দেওয়ার ও পাওয়ার কথা হচ্ছে, তখন কারও কাছে মনে হতেই পারে যে, এটি শেখ হাসিনার ‘সমুদ্র-বিজয়’-এর মতোই একটি ঘটনা, যা একদিকে ইউনূসের খ্যাতি ও অন্যদিকে পাকিস্তানের গ্রহণযোগ্যতা দিবে। অর্থাৎ, এক ঢিলে দুই পাখী মারা।
কিন্তু আমি ভাবছিলাম অন্য কথা। ইউনূস সাহেব যখন পাকিস্তানের কাছ থেকে পাওনা টাকার প্রসঙ্গ তুলবেন, তিনি কি আসলের সাথে সুদের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করবেন? করা উচিত, কারণ তিনি সুদ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ।
সুদের বিষয়টি নিয়ে আমি যখন ভাবছিলাম গত ৫৪ বছরে সে-অর্থ সুদে-আসলে কতো হয়েছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশের পত্রিকা জনকণ্ঠ জানালোঃ
“১৯৭১ সালের আগে অখণ্ড পাকিস্তানের সম্পদের বড় একটি অংশ (প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার) ছিল পূর্ব পাকিস্তানের। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর হিসাব করলে সুদসহ সেই সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯৪.৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ লাখ ৩২ হাজার ৩৬ কোটি টাকারও বেশি।”
বিশ্বখ্যাত সুদ-কারবারী মুহাম্মদ ইউনূস তার গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে তা উচ্চহারে সুদে-আসলে আদায় করে পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন। আমি আশা করবো, তিনি স্বদেশের কৃষকদের কাছে থেকে যেভাবে কাবুলিওয়ালা হয়ে চালের টিন খুলে নিয়ে হলেও পাওনা টাকা সুদে-আসলে আদায় করেছেন, একইভাবে তিনি পাকিস্তানের কাছে থেকেও পাওনা আদায় করবেন।
রীয়েল পলিটিক বলে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ইঙ্গিত পেয়েই ইউনূস-সরকার পাওনা আদায়ের কথা বলছে। আর, পাকিস্তানও পাওনা টাকা ফেরত দিবে সুদে-আসলে আদায় করে নেওয়ার জন্য। অর্থাৎ, আওয়ামী শাসনামলে ভারত যে সুবিধা নিয়েছে, ইউনূস-আমলে পাকিস্তান সেই সুবিধা নিতে চাচ্ছে, এবং নিতে শুরুও করেছে। ১৭/০৪/২০২৫ লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড