অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার একদিকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এবং অন্যদিকে তাদের প্রত্যক্ষ মদদে মবসন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর যে নজিরবিহীন ও অকথ্য জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতন চালাচ্ছে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই সরকার পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে সন্ত্রাসে রূপান্তরিত করেছে। এর প্রভাবে আমাদের সামাজিক ঐক্য ও পারস্পরিক বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়ছে। দেশের জনগণ সার্বিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমতাবস্থায়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনদের মধ্যে আরও নিরাপত্তাহীন। ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চরমভাবে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। আর এই অবৈধ সরকারের অবৈধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গ্যাং লিডারের মতো কথা বলছে। পুলিশ যেন তার অধীনে থাকা ব্যক্তিগত বাহিনী, যাদেরকে তিনি সন্ত্রাস কাজ করার জন্য নিয়মিত নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের পাশাপাশি অবর্ণণীয় মবসন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির শিকার। জীবন ও সম্পদ হরণের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নির্বিচারে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রহীন নাগরিকে পরিণত করছে। যেন তারা নিজভূমে পরবাসী।
রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন, মিটিং-মিছিল করা যে কোনো দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক অধিকার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই, তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দানবীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো সহিংস বা সন্ত্রাসী পন্থায় এই বিরোধিতা করে না। তার শুধু মিছিল, মিটিং ও সমাবেশের মাধ্যমে দলের নীতি, আদর্শ ও কর্মপন্থার কথা জনগণকে জানাতে চায়। অথচ তাতেই এই অবৈধ সরকারের মসনদ কেঁপে ওঠে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করলেই তাদের নৈতিক অবস্থান টলটলায়মান হয়ে যায়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিটিং-মিছিল করার পর সরকার অন্যায়ভাবে তাদের অনেককে গ্রেফতার করেছে এবং বিনা বিচারে আটক রাখছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও উত্তরাসহ কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করার পর থেকে বাছ-বিচারহীনভাবে ধরপাকড় করা হচ্ছে। তাদের ধারাবাহিক এই অন্যায় গ্রেফতারের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অ্যাড. আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মো. আরিফ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাখাওয়াত, ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পি রায়হান, ঢাকা মহানগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন, দক্ষিণখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আলমাছ মিন্টু, উত্তরখান থানা জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা মো: মতি গাজী, উত্তরা ১ নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মো. রুবেল হোসেন সহ সারা দেশে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও বিনাবিচারে আটক রাখা হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি এবং একই সাথে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এহেন দমন-পীড়নমূলক পন্থার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। তারিখ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫