।। আযম খান।।
আদানির সাথে বিদ্যুৎ চুক্তি- আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ চুক্তি করার পরে উন্মাদের মতন লীগ এবং ভারতের সমালোচনায় মেনে উঠেছিল বর্তমান ইউনূস সরকারের পদস্থ বেশিরভাগ হেভিওয়েট এবং তাদের পক্ষের লোকজন। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরপর বনিক বার্তাসহ বেশ কিছু পত্রিকায় খবর প্রকাশ করা হয় চুক্তি করতে লীগ সরকার আইন মানে নাই।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নানা মহলের আলোচনার মধ্যে বিষয়টি আদালতে গড়ালে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিটি গঠনসহ তিন দফা নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে যে আইন মেনেই হয়েছিল চুক্তিটি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, লীগ সরকারে থাকতে মিথ্যা প্রচারণাগুলো তারা কেন চালিয়েছিলেন? এর কারণ হচ্ছে এদের রাজনীতি টিকে আছে মুক্তিযুদ্ধ এবং ভারতবিরোধিতার মাধ্যমে। যে ন্যারেটিভ বা গপ্পের উপরে এদের রাজনীতি টিকে আছে তা আদানির বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে তার মত মিথ্যা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দূর্ভাগ্য তার প্রতিপক্ষ হচ্ছে একদল বর্বর, কদাকার মানসিকতার মানুষ। স্রেফ অতি নিম্নমানের একটা রাজনীতি। এটা শুধু লীগ নয়, বাংলাদেশের জন্যও দূর্ভাগ্য।
এই যে গত ৯ মাসে এখন পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশের সাথে বেশ কয়েকটা চুক্তি-সুবিধা বাতিল করলো আর বাংলাদেশ পারলো না, এর কারণ হচ্ছে আওয়ামী লীগ কোন দেশবিরোধী চুক্তি আদতে করে নাই। ওগুলোর অস্তিত্ব ঐ কদাকার মানসিকতার লোকগুলোর মুখে আছে, কাগজে নাই।
ইদানীং তো ওগুলো মুখে পর্যন্ত নাই। ভারতের সাথে করা চুক্তিগুলো নিয়ে কথা বলতেও তারা এখন লজ্জাবতী গাছের মত নুইয়ে পড়েন। তাদের জিজ্ঞেস করুন এখন- চুক্তিগুলো বাতিল করা দূরে থাক সেসব নিয়ে আজকাল কথাটা পর্যন্ত বলতে চাও না কেন?
লেখক পরিচিতি: বিশ্লেষক ও অনলাইন একটিভিস্ট