বিশ্ব প্রেস স্বাধীনতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রাইটস অ্যান্ড রিস্ক অ্যানালাইসিস গ্রুপ (আরআরজি) তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার শিরোনাম “বাংলাদেশ: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে প্রেস স্বাধীনতা হরণ”।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম আট মাসে (আগস্ট ২০২৪ থেকে মার্চ ২০২৫) বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থাগত ও সংগঠিত দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে মোট ৬৪০ জন সাংবাদিককে টার্গেট করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১৮২ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, ২০৬ জনের ওপর সহিংসতা, ১৬৭ জনের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল এবং ৮৫ জন সিনিয়র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী ও মানি লন্ডারিং বিরোধী ইউনিট কর্তৃক তদন্ত শুরু।
গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণরূপে নীরব করার জন্য, ৩৯টি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সাংবাদিকদের, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ডিবিসি নিউজ, এবিনিউজ২৪.কম, কালের কণ্ঠ, এটিএন নিউজ, বাংলা ইনসাইডার, সমকাল, আমাদের সময়, বৈশাখী টিভি, ডেইলি সান, নিউজ২৪, যুগান্তর, স্বদেশ প্রতিদিন, দৈনিক মুখপত্র, ইত্তেফাক, দৈনিক কালবেলা, টিভি টুডে, দৈনিক আমার সময়, দৈনিক বাংলা, ইন্ডিপেন্ডেন্ট২৪.টিভি, সময়নিউজ.টিভি, ঢাকা টাইমস,
বাংলাদেশ পোস্ট, নাগরিক টিভি, সংবাদ সংস্থা, চ্যানেল আই, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক গ্লোবাল টিভি, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক খোলা কাগজ, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি, আমাদের অর্থনীতি, একুশে টিভি, একাত্তর টিভি, একুশে সংবাদ এবং মাই টিভি, ৮৫ জন সিনিয়র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে বিএফআইইউ তদন্ত শুরু করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের গোটা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।
আরআরজি-র প্রতিবেদন অনুসারে, ১৮২ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ মিথ্যা ফৌজদারি মামলা, ২০৬ জনের ওপর সহিংসতা, ১৬৭ জনের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল এবং ৮৫ জন সিনিয়র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিএফআইইউ-এর তদন্তের মাধ্যমে গণমাধ্যমের উপর নজিরবিহীন চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশে প্রেস স্বাধীনতার উপর গভীর সংকটের ইঙ্গিত দেয়।