বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ এক বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচারের জন্য প্রেরিত জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি’র অর্বাচীন ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশপ্রণোদিত বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশের সুমহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাবিরোধী শক্তির গর্ভে জন্ম হয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এদের প্রধান লক্ষই হলো, সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা। আর তাদের অর্বাচীন কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক কর্মসূচির মূল এজেন্ডা হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা। এরা সন্ত্রাসবাদের প্রতিভূ এবং উগ্র জঙ্গিবাদী মতাদর্শের উপজাত। এ সকল খুনি ও সন্ত্রাসীদের মুখে শান্তি ও স্থিতিশীলতার কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। এই অর্বাচীন ও বালখিল্যদের বোধগম্য হওয়া দরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে। যে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য তাদের মায়া কান্না সেটা অর্জন ও তা সমুন্নত করেছে আওয়ামী লীগ। দেশবাসী আজ ভালো করেই জানে, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রণীত ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ নীতি মেনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এ কথা অনস্বীকার্য যে, জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল রাষ্ট্রনায়কোচিত অতীব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণেই উপমহাদেশে স্থিতিশীলতা বজায় ছিল। অথচ এই খুনি-সন্ত্রাসীগোষ্ঠী রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে বিপরীত পথে পরিচালিত করে। পাকিস্তানের প্রেস্ক্রিপশনে প্রতিবেশী ভারতে হামলার হুঁশিয়ারি দেয়, সেভেন সিস্টার্স ভেঙে ফেলা এবং পশ্চিমবঙ্গ দখলের হুমকি দেয়। পাশ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশ নিয়ে এ ধরনের শিষ্টাচার বহির্ভূত অকূটনৈতিক বক্তব্য বাংলাদেশকে অবশ্যম্ভাবীভাবে চরম হুমকির মুখে ফেলতে পারে। ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই চালিয়েছে সেটা নিয়ে এই দল ও সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে তারা তথাকথিত ভারতবিরোধিতা করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের পক্ষ নিয়ে নিচ্ছে এবং এই লড়াইয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ফেলার মতো অর্বাচীন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ধরনের মন্তব্য ও পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এসব খুনি ও সন্ত্রাসীরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে গাটছড়া বাঁধছে। আবার অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের। এই রাষ্ট্রের ভিত্তি মানুষে মানুষে মানবিক সম্পর্ক। তাই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংহতি জ্ঞাপনকারীদের মুখে জাতীয় ঐক্যের কথা বড্ড বেমানান।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। তারিখ: ৭মে ২০২৫