বাংলাদেশ আজ এক গভীর রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, এমন একটি অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এই সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি শক্তির প্রত্যক্ষ সহায়তায় দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আজ সেই চেষ্টারই চূড়ান্ত রূপ দেখা যাচ্ছে জনগণের ইচ্ছা উপেক্ষা করে, তাদের অজান্তে, জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে এই সরকার আমেরিকার কাছে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
এই ঘাঁটি শুধু একটি ভবন বা স্থাপনা নয় এটি একটি ভূ-রাজনৈতিক আগ্রাসনের প্রতীক। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র যদি দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক প্রভাব বিস্তারে নামে, তার কুফল প্রথমে ভোগ করবে বাংলাদেশের জনগণই। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতিতে চরম হস্তক্ষেপ।
এদিকে দেশের ভেতরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও খুন হচ্ছে, কিন্তু বিচার নেই। মামলা হয় না, কিংবা হলে দোষীদের বিচার হয় না। সরকারকে রক্ষা করার জন্য একটি মব বাহিনী মাঠে নেমে এসেছে তারা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় বিরোধী মতকে দমন করছে। কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই গ্রেফতার, হামলা, হয়রানি ও মামলা এ যেন নতুন স্বৈরতন্ত্রের চিত্র।
জনগণ এখন অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছে। কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সংবাদমাধ্যম বাধাপ্রাপ্ত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি চলছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না, চলা উচিতও নয়।
অনির্বাচিত সরকার, রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন এক অশনি সংকেত
বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছে মুক্তির জন্য, বন্দিত্বের জন্য নয়। তারা স্বপ্ন দেখেছিল একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও স্বাধীন দেশের, যেখানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকবে, শাসক হবে জবাবদিহিমূলক, আর দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এই জাতি কখনও অন্যায় মেনে নেয়নি। অতএব, এখন সময় এসেছে আবার জেগে ওঠার, সত্যকে বলা, অন্যায়কে রুখে দেওয়ার। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অগণতান্ত্রিক, দখলদার ও পরাধীনতামুখী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।