ভারত-পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের মধ্যে বেলুচিস্তানের একজন নেতা “স্বাধীন বেলুচিস্তান” ঘোষণা করেছেন। মীর ইয়ার বেলুচ নামের এই নেতা দাবি করেছেন, পাকিস্তানের দখল থেকে অঞ্চলটি মুক্ত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি পেতে তিনি জাতিসংঘ ও ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন নতুন মাত্রা পেল।
৯ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক টুইট করে তিনি বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

তিনি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা স্বীকৃতি দেয় এবং সেখানে শান্তিরক্ষা মিশন পাঠায়। ভারতের প্রতি তার আহ্বান, নয়াদিল্লিতে বেলুচিস্তানের দূতাবাস চালুর অনুমতি দেওয়া হোক।
বেলুচিস্তান ইতিমধ্যে তাদের স্বাধীনতার সনদ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে বেলুচিস্তান ছাড়তে হবে এবং এই অঞ্চল আর পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে নেই। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, বেলুচ মুক্তিযোদ্ধারা ডেরা বুগতির গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের দখল নিয়েছে।
মীর ইয়ার বেলুচ আরও জানান, শিগগিরই বেলুচিস্তানে একটি “অন্তর্বর্তীকালীন স্বাধীন সরকার” গঠিত হবে। সেই সরকারে বেলুচ নারীদেরও মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের আমরা স্বাধীন বেলুচিস্তানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”
পাকিস্তান সরকার এখন পর্যন্ত তার ঘোষণাকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। সরকারি পর্যায়ে কেউ এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বরাবরই বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে।
বেলুচিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা চাওয়া একাধিক সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যে থেকে প্রবাসী সরকারের ধারণা প্রচার করছে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে এখনো এই দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি কোনো রাষ্ট্র।
সম্প্রতি ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও বেলুচিস্তানের ভেতরে অভিযান চালিয়েছে বলে দাবি করে আসছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। এর মধ্যেই মীর ইয়ার বেলুচের এই ঘোষণা নতুন করে বেলুচ ইস্যুকে আন্তর্জাতিক আলোচনায় নিয়ে এসেছে।