নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রতারক আখ্যায়িত করে মেয়ে জামাইয়ের সন্ধান পেতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন এক শাশুড়ি। ওই জামাইয়ের নাম সিয়াম হোসেন (২৪)। তিনি পাবনার চাটমোহর উপজেলার দোলন গ্রামের কিরন আলীর ছেলে।
আজ শুক্রবার উপজেলার জোনাইল বাজারে জনসম্মুখে শাশুড়ি এই ঘোষণা দেন। আনোয়ারা জোনাইল বাজারের বাসিন্দা। এর আগে আনোয়ারার মেয়ে ও সিয়াম হোসেনের স্ত্রী বড়াইগ্রাম থানায় তাঁর নামে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগকারী শাশুড়ি বলেন, ‘চার বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে দোলন গ্রামের সিয়াম হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের এক বছরের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতেই থাকে। সিয়াম জোনাইল বাজারের আহসানের জুয়েলারি দোকানে কাজ করত। গত রমজান মাসে জুয়েলারির দোকান থেকে ৬০ ভরি রুপা নিয়ে পালিয়ে যায় সে।’
সিয়ামের শাশুড়ি বলেন, ‘সে বাজারের একটি মেয়েকেও সাথে নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এদিকে সিয়ামের মা তার ছেলেকে গুম করা হয়েছে মর্মে আমার ও জুয়েলারি দোকানের মালিকের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। নাতনি ও মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। নাতনি বাবার জন্য কান্নাকাটি করে। জুয়েলারি দোকানমালিক রুপা ফেরত চেয়ে চাপ সৃষ্টি করছে। আবার তার মা অভিযোগ করছে। আমরা অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। তাই যদি কেউ আমার এই জামাইয়ের সন্ধান দিতে পারে, তাকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।’
সিয়ামের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে গুম করে এখন নাটক করছেন বিয়ান (সিয়ামের শাশুড়ি)। দ্রুত আমার ছেলের সন্ধান দিতে হবে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’