সিলেটের বালাগঞ্জে আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে দা দিয়ে কোপানোর পর লয়লুছ মিয়া নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। গত শনিবার দুপুরে উপজেলার সিরিয়া গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়।
লয়লুছের মৃত্যুর পর তাঁর ক্ষুব্ধ স্বজনেরা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ইউনুস আলীর সৎভাই সুমন মিয়ার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে বালাগঞ্জ উপজেলা সদরে নৌকায় পারাপারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লয়লুছ মিয়া এবং উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ইউনুস আলীর সৎভাই সুমন মিয়ার স্বজনদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় লয়লুছ মিয়াসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। লয়লুছকে দা দিয়ে কোপানো হয় বলে তাঁর স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন।
লয়লুছ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় লয়লুছকে প্রথমে সিলেট এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকায় চিকিৎসারত অবস্থায় লয়লুছ রাতে মারা যান। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লয়লুছের মারা যাওয়ার সংবাদ এলাকায় পৌঁছাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। লয়লুছের ক্ষুব্ধ স্বজনেরা সুমন মিয়ার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লয়লুছকে দা দিয়ে কোপানোর সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।