‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ অমর এই গানের রচয়িতা বরেণ্য লেখক-সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০২২ সালের ১৯ মে (আজকের দিনে) লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাত দশকের বেশি সময় ধরে দুই হাতে লিখে গেছেন তিনি। তার এই লেখার বেশিরভাগই ছিল রাজনৈতিক ভাষ্য।
এদিকে, লন্ডনে পালিত হচ্ছে বরেণ্য এ লেখকের মৃত্যুবার্ষিক। অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে শেখ মুজিব রিচার্স সেন্টার। ২৪ মে লন্ডনের পিলপট স্টিট্রের একটি রেস্টুরেন্টের হল রুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
২০০৬ সালে বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে যে সর্বকালের সেরা বাংলা গান বলে যে ২০টি গানকে নির্বাচিত করেছিল, তার তিন নম্বরে ছিল এটি। কালজয়ী এই গান বাংলা ভাষায় তো বটেই বিশ্বের ১২টি ভাষায় এখন গাওয়া হয়। একুশের গান রচনা গাফফার চৌধুরীর জীবনের অন্যতম একটি ঘটনা।
গাফফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া গ্রামে। মায়ের নাম জোহরা খাতুন। বাবা ওয়াহেদ রেজা চৌধুরী বরিশাল জেলা কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
গাফফার চৌধুরী ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে বিএ অনার্স পাস করেন। একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তিনি ‘জয় বাংলা’, ‘যুগান্তর’ ও ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় কাজ করেছিলেন।
স্বাধীনতার পর, ১৯৭৪ সালের ৫ অক্টোবর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তিনি সপরিবারে লন্ডনে চলে যান। সেখানে ‘নতুন দিন’ নামে একটি পত্রিকা বের করেন। প্রায় ৩৫টি বই লিখেছেন তিনি।
কাজের স্বীকৃতির জন্য জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন গাফফার চৌধুরী। উল্লেখযোগ্য হল, বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৭), একুশে পদক, ইউনেস্কো সাহিত্য পুরস্কার এবং স্বাধীনতা পদক (২০০৯)।