।। কবির য়াহমদ।।
দুইজন মাত্র ছাত্র উপদেষ্টা পরিষদে। জামায়াত ধরেছে মাহফুজ আলমকে, বিএনপি ধরেছে আসিফ মাহমুদকে।
জামায়াতের ধরাধরিতে মাহফুজ আলম আব্দুল্লাহর কিছু আসে যায় না; তবে বিএনপির ধরায় আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার চেয়ার যায়-যায়।
এরমধ্যে আবার এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটল দুই ঘটনা। সরাসরি বোতলের আঘাত পড়ল মাহফুজের মাথায়। আসিফ মাহমুদের ছবিতে প্রকাশ্যে পড়ল জুতার বাড়ি। নগর ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষিত ওই মন্ত্রণালয়েরই উপদেষ্টা আসিফ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এই দুজনই কেবল টিকে আছেন জুলাই-আন্দোলন দিয়ে। তাদের ভাষায় এটা জুলাই-বিপ্লব।
আসিফ-মাহফুজ মূলত সরকারে থাকা জুলাই-বিপ্লবের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী। বাকিরা আন্দোলনের সময়ে দূরের দর্শক। তাদের ওপর এই আঘাত জুলাই-বিপ্লবের ওপর আঘাত।
মাহফুজকে বোতল মারা মানে জুলাই-বিপ্লবে বোতল মারা; আসিফকে জুতার বাড়ি মানে জুলাই-বিপ্লবের গায়ে এই জুতার বাড়ি।
এগুলো কারা করে চলেছে? জুলাই-বিপ্লবের স্টেক হোল্ডাররাই তো।
আসিফ-মাহফুজরা যেখানে বীরের মর্যাদা পাওয়ার কথা, সেখানে পদে পদে হচ্ছে তারা অপমানিত; মাথায় পড়ছে বোতল আর ছবির গালে পড়ছে জুতার বাড়ি।
ইশরাক হোসেনের ফেসবুক পোস্টে একটা দাবি দেখলাম, উপদেষ্টার ছবি ডাস্টবিনে সাঁটানোর। শফিকুল আলম আপনি বড় খারাপ একটা উদাহরণ তৈরি করে গেছেন। এখন এটা আপনাদের পিছু ছাড়বে না।