বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলপূর্বক রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে যথেচ্ছাচারী ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছে। অনভিজ্ঞ ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ায় রাষ্ট্রের চরিত্র খোলনলচে পাল্টে গেছে। এই সন্ত্রাসী গংদের শিরোমণি ফ্যাসিস্ট ইউনূসই স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, রাষ্ট্র পরিচালনায় তার অভিজ্ঞতা নেই। আর জানমাল দিয়ে তাদের অনভিজ্ঞতার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের জনগণকে। অন্যদিকে দেশবিরোধী এই অপশক্তি দেশ বিক্রির পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। তাই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিশ্চুপ ও নির্বাক থাকতে পারে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা তাঁদের প্রধানতম দায়িত্ব। তাঁরা যখন সেই দায়িত্ব পালনে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংয়ের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। তখন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হচ্ছে। একদিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার, অন্যদিকে বিভিন্ন দলের প্রশিক্ষণ সন্ত্রাসী ও ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হতাহত করা হচ্ছে এবং তাদের সম্পদ হরণ করা হচ্ছে। এই ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অবর্ণনীয় দমন-পীড়ন চালাচ্ছে তা নয়, সারা দেশে এক নজিরবিহীন দুঃশাসন কায়েম করেছে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বরাবরের ন্যায় এহেন ঘৃণ্য অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের লাগামহীন গণগ্রেফতার কার্যক্রমে ওয়ালিউল সুমন, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,নাঈম ভুইঁয়া, সভাপতি, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগ, রিপন বাবু,সাধারণ সম্পাদক, রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ,রবিউল ইসলাম রবি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জলাবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর, সোহেল শেখ, কর্মী,বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ, রুবেল, কর্মী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ, সৌরভ, কর্মী,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ, দিপু মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, আদাবর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর,আবুল হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি, ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, শফিকুল ইসলাম শফিক, ৪৮ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলীম সোহাগ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
শুধু রাজনৈতিক মতাদর্শ ও বিশ্বাসের কারণে নির্বিচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অকথ্য অত্যাচার -নির্যাতন নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশকে একটা অশুভ ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেবে। তাই আমরা অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই- আগুন নিয়ে খেলা করবেন না, নিয়ন্ত্রণ হারালে বা সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে এই আগুনই দাবানলে রূপান্তরিত হবে। একইসাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বিচারে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। তারিখ: ১৯ মে ২০২৫