বাংলাদেশ যেন এক ধ্বংসপ্রাপ্ত বাগান, যেখানে কখনো সোনালি ফসলের স্বপ্ন দেখা হতো, আর এখন শুধুই হাহাকার আর অন্ধকার। নোবেল বিজয়ী পরিচয়ের আড়ালে এক আত্মঘাতী নেতৃত্বের নমুনা দেখছে জাতি—ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামের সঙ্গে আজ জড়িয়ে গেছে বিভীষিকার এক অধ্যায়। নয় মাসের শাসনে কী অর্জন হয়েছে? অর্জন হয়েছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়, সামাজিক পতন, আর রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভয়াবহ অবক্ষয়।
এই সরকারের আমলে অর্থনীতির প্রতিটি স্তম্ভ যেন একে একে ভেঙে পড়েছে*। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩%–এর নিচে নেমে গেছে। এক সময়ের সম্ভাবনাময় শেয়ার বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের পাহাড় পৌঁছেছে ১.৫ লাখ কোটি টাকায়।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ একেবারে থেমে গেছে। মেশিনারিজ আমদানি তো দূরের কথা, নতুন কোনো শিল্প কারখানার নামগন্ধও নেই। ব্যাংকগুলো ধুঁকছে, অথচ ২৯,৫০০ কোটি টাকার নতুন নোট ছেপেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। এর নামই কি অর্থনীতি? না কি সুপরিকল্পিত ধ্বংস?
শত শত শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে মন্দা আর মব সন্ত্রাসের কারণে। কয়েক লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। রাজস্ব আদায়ে ভয়াবহ ধস, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির। শুধু দরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে কোটি ছাড়িয়ে। এখন মানুষ ভিক্ষাবৃত্তিকেই নিরাপদ পথ মনে করছে।
শিক্ষা খাত যেন এই শাসনের সবচেয়ে বড় শিকার। শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন না, পড়ানোর সাহসও পাচ্ছেন না। *ইউনূসের ছত্রছায়ায় পরিচালিত মব সন্ত্রাসীদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন হাজার হাজার শিক্ষক। ছাত্রদের হাতে বই নয়, বরং উঠছে লাঠি, চাঁদার খাতা, সহপাঠীর রক্ত।
এক সময় ছাত্র-শিক্ষকের যে শ্রদ্ধা-ভিত্তিক সম্পর্ক ছিল, তা আজ ভেঙে চুরমার। অটোপাশ এখন “অধিকার” আর খেলাধুলা কিংবা পাঠ্যবই নয়, ছাত্ররা ব্যস্ত থাকে দখল, হুমকি আর সংঘর্ষে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জামাতি-করনের ষড়যন্ত্রের শিকার। কী ভয়াবহ দৃষ্টান্ত!
ইউনূসের সরকার বন্দর, সীমান্ত, এমনকি দ্বীপেও ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, যেন দেশের সার্বভৌমত্ব কোনো তুচ্ছ বিষয়!* এ এক জাতীয় আত্মহত্যার আয়োজন। ইতিহাস, কৃষ্টি, অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা সবই একে একে ভেঙে দিচ্ছে এই অবৈধ শাসনের চক্র।
জনগণের চোখ খুলে যাচ্ছে
শুরুতে বিভ্রান্ত হলেও মানুষ এখন বুঝতে পারছে কী ভয়ংকর খেলায় জড়ানো হয়েছে বাংলাদেশকে। অর্থনৈতিক পতন, শিক্ষা ধ্বংস, শিল্পহীনতা, রাষ্ট্রীয় দুর্বলতা সবই যেন জাতিকে নতজানু করার ষড়যন্ত্র।
ড. ইউনূসের নয় মাসের শাসনকাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহ অধ্যায় হয়ে থাকবে। যিনি নোবেল পেয়েছিলেন ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে গরিবের ভাগ্য বদলানোর জন্য, *তিনিই আজ গরিবের জীবনকে করে তুলেছেন আরও দুর্বিষহ। দেশের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। এই ধ্বংসের বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে।
অন্যায়-অবিচার-অযোগ্যতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধই আমাদের একমাত্র পথ। কারণ এই দেশ আমাদের, ভবিষ্যতও আমাদের।(আওয়ামীলীগের পেইজ থেকে।)
সাবস্ক্রাইব
সর্বশেষ খবরের সাথে আপডেট থাকুন।