দেশবাসীর মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুবই উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সঙ্গে লক্ষ করছে যে, অগণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিকভাবে অবৈধ ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার একদিকে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার ও মানবিক মর্যাদা কেড়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে পাইকারি হারে হয়ারানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু তা-ই মামলার ভয় দেখিয়ে নির্বিচারে চাঁদাবাজি ও মানুষের সম্পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর একমাত্র কারণ হলো, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতাহীন ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটিয়েছে। ফলে মানুষের জানমাল ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। যে কোনো পরিস্থিতিতে মানুষ অন্যায়-অবিচারের শিকার হলে আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই আদালতের ভূমিকাই আজ চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। আদালতকে নগ্নভাবে ব্যবহার করে চরম অন্যায় ও অবিচার করা হচ্ছে। যারা মবসন্ত্রাস করে মানুষের জানমাল কেড়ে নিচ্ছে তাদের বিচার না করে বরং যারা এগুলোর শিকার তাদেরকে দিনের পর দিন বিনা বিচারে আটক রাখা হচ্ছে। আজ শিল্পী মমতাজের উপর আদালতে ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করা হয়েছে। শুধু মমতাজ নয়, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের উপর প্রতিনিয়ত আদালত প্রাঙ্গণে হামলা হচ্ছে। তাদেরকে বেআইনিভাবে হাতকড়া পরিয়ে এজলাসে তোলা হচ্ছে। যা খুবই নিন্দনীয়।
মমতাজ শুধু একজন সংসদ সদস্যই না, তিনি একজন সাংস্কৃতিক কর্মী এবং শিল্পীও বটে। বাংলাদেশের সংঙ্গীতাঙ্গনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শুধু মমতাজই নয়, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আরও অনেক শিল্পীর বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের অনেককে বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছে। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন এই অবৈধ সরকার অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। আমরা অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের এহেন অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। তারিখ : ২২ মে ২০২৫