বাংলাদেশের ইতিহাসের এক বিভীষিকাময় সময় অতিক্রম করছে আজ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশবিরোধী শক্তি এক নীলনকশা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা করে। নেতৃত্বে বসানো হয় বিদেশি এজেন্ট ও জঙ্গিগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক ড. ইউনূসকে। তার পর থেকেই শুরু হয় দমন, নিপীড়ন, হত্যাযজ্ঞ ও অসাংবিধানিক পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেওয়ার নির্মম চেষ্টা।
আজ দেশজুড়ে চলছে পরিকল্পিত গণহত্যা। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে খুন হচ্ছেন আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতা-কর্মীরা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চলছে ভয়াবহ নিপীড়ন। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নারী-শিশু নির্যাতন এখন নিত্যদিনের ঘটনা। প্রশাসনকে করা হয়েছে দুর্বল ও দলদাসে পরিণত। শিক্ষক সমাজকে অপমান করে তাদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। বিচার বিভাগে চলছে স্বেচ্ছাচারিতা, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের পরিমাণ বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে।
এই সরকার সংবিধান সংস্কারের নামে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে লেখা সংবিধান বাতিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাকিস্তানি ভাবধারায় রাষ্ট্র পরিচালনার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই অপশক্তি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধ্বংস করে দেশকে পরিণত করা হচ্ছে একটি ধর্মান্ধ, উগ্র জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে। ভারতের মতো বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে বৈরিতা সৃষ্টি করে আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলা হচ্ছে।
এই ভয়াল পরিস্থিতিতে জাতি তাকিয়ে আছে একমাত্র নেতৃত্বের প্রতীক শেখ হাসিনার দিকে। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি এই জাতির আশা, ভরসা ও মুক্তির প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আজ দেশবাসী বুঝে গেছে, কে দেশপ্রেমিক, আর কে দেশের শত্রু। বাংলাদেশের মানুষ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে জাতির রক্ষাকর্তা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দৃপ্ত প্রত্যাবর্তনের। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আবার ফিরে পাবে গৌরব, মর্যাদা ও স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ।