বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে আগামীতে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে দলগুলো। বৈঠকে স্পষ্ট হয়েছে-‘জিতলে একসঙ্গে, হারলেও একসঙ্গে, মাঝখানে রণে ভঙ্গ দেওয়ার চিন্তা বাদ।’
রবিবার দুই দফায় ২০ জন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অংশ নেয় ধর্মভিত্তিক বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, মানসিক টর্চার করা হচ্ছে, এটা আমরা অনুভব করছি। তাই আমরা তাকে (প্রধান উপদেষ্টাকে) বলেছি, জিতলে একসঙ্গে, হারলেও একসঙ্গে, মাঝখানে রণে ভঙ্গ দেওয়ার চিন্তা বাদ দিতে বলেছি।’
ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন ও ভোটের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারের দাবি জানানো হয়।
বৈঠক শেষে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা একটা ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন চাই। এর জন্য আমরা কোনো সময়সীমা বেঁধে দিইনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটা সময় লাগবে, লাগুক।’
বৈঠকে অংশ নিয়ে সরকারকে অর্থবহ সংস্কারের তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘দেশের ভেতরে এবং বাইরে গণ অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র চলছে। সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। সংস্কার অর্থবহ করতে হলে তা জনগণের মতামত নিয়ে করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে সাম্প্রতিক যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ না করার আহ্বান জানান।