যশোরের অভয়নগরের ডহরমসিয়াহাটি গ্রামে যা ঘটেছে, তাকে “দাঙ্গা” বলা হয় না, তাকে “সহিংসতা” বলা হয় না, তাকে “সংঘর্ষ” বলা হয় না—এটা একটা পরিকল্পিত জাতিগত নিধনের নমুনা। মানুষ পুড়েছে, ঘর ভস্ম হয়েছে, দেবালয়ে থাবা দিয়েছে অসুরেরা। এবং হ্যাঁ, এই ঘটনা ঘটেছে মোহাম্মদ ইউনুস নামের এক অবৈধ ক্ষমতাকামী নপুংসকের ছত্রছায়ায়, যার নেতৃত্বে চলছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক প্রহসনের ‘অ-সরকার’। এই মানুষরূপী ভেকধারীদের লালন-পালন করেছে যাদের হাতে রক্ত, যাদের রাজনীতি #লাশ, আর যাদের ক্ষমতা মানে #সংখ্যালঘুদের আতঙ্ক।
এই #হত্যাকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল একটি মাছের ঘের, শুনতে হাস্যকর লাগতে পারে, কিন্তু বাস্তবতাটা অনেক ভয়াবহ। ক্ষমতার বেহায়া কাঠামোর নিচে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব গায়ে জড়ায় ধর্মের পোশাক, তারপর শুরু হয় #সংখ্যালঘুদের কসাইখানা বানানোর মহোৎসব। একদিকে মতুয়া সম্প্রদায়ের বাৎসরিক যজ্ঞ—শান্তির উৎসব, অন্যদিকে কুঠার হাতে #হিংস্র উন্মত্তরা—ঘর, দেবতা, নারী, শিশু, বয়স্ক কেউই রেহাই পায়নি।
এই যে #আগুনে পুড়ল ১৮টি ঘর, যে আগুন চার ঘণ্টা ধরে জ্বলেছে অথচ প্রশাসন এসে পৌঁছাল রাত এগারটার পর, এটাই মোহাম্মদ ইউনুসের প্রশাসনিক কাঠামোর আসল চেহারা। গলাবাজির সময় এদের মগজে উন্নয়নের ঢেউ, কিন্তু #সংখ্যালঘুদের প্রাণের আহ্বানে এদের কানে সাড়া দেয় না বিবেক। কারণ তাদের নেই কোনো বিবেক। তাদের দরকার না নাগরিক, না ন্যায়বিচার—তাদের দরকার রক্তাক্ত একপক্ষীয় রাষ্ট্র যেখানে ভিন্নধর্মীদের অস্তিত্বই হবে অপরাধ।
তরিকুল ইসলাম সরদার ছিলেন বিএনপির কৃষক দলের স্থানীয় সভাপতি। তাকে #হত্যা করা হয়েছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু এই হত্যার বিচার না করে পুরো একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে, লুটপাট চলবে, নারীদের গহনা, নগদ টাকা ছিনতাই হবে, এবং সেটার প্রতিক্রিয়াও হবে এমন ঠান্ডা, যেন মশা মেরে হাত ধোয়া—এটাই এই অবৈধ শাসনের আসল রূপ।
এই সরকারের তামাশা হলো, ক্ষতিগ্রস্তদের দিয়ে যাচ্ছে ১৬ পিস টিন, ৩০ কেজি চাল, আর ৬ হাজার টাকার চেক! এদের বোধ হয় মনে পড়ে না, ঘরের মধ্যে ছিল মানুষের শিকড়, বংশের ইতিহাস, ঈশ্বরের মন্দির। এই অনুদান আসলে চুড়ান্ত অপমান—যেমনভাবে কেউ মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে ভণ্ড সান্ত্বনা দেয়।
শুধু তাই নয়, #হামলাকারীরা পুলিশকেও রাস্তা দিয়ে যেতে দেয়নি, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে দেয়। এতে বুঝতে বাকি থাকে না কারা কার ছত্রছায়ায় এমন ভয়ানক #সন্ত্রাস চালিয়েছে। সেনাবাহিনীকে ডেকে আনতে হয়েছে—এই একটি তথ্যই যথেষ্ট বলে দেয়, দেশে আইন বলে কিছু নেই। ইউনুসের শাসন মানে নিখাদ সন্ত্রাস, যেখানে রাষ্ট্র নিজেই মব, বিচার নিজেই আগুন।
তাদের ভাষায়, সংখ্যালঘুরা হলো দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। এই জন্যই বারবার তারা টার্গেট হয়—কখনো দুর্গাপূজায়, কখনো জন্মাষ্টমীতে, এবার যজ্ঞে। কারণ এসব ধর্মীয় অনুশীলন এদের চোখে অপরাধ। মতুয়ারা এই দেশে বহুবছর ধরে বাস করছে, তারা ভূমিপুত্র, এ মাটির গন্ধ তাদের চেনা, অথচ এক রাতেই তারা হয়ে গেল উদ্বাস্ত, #আগুনে পোড়া গৃহহীন।
সত্যি কথা হলো, ইউনুসদের কাছে #সংখ্যালঘুর জীবন মানেই কাঁটা ঘায়ে নুন ছিটানো এক অবিরাম যন্ত্রণার নাম। এদের শাসন মানে ভয়, এদের ন্যায়বিচার মানে ভণ্ডামি, আর এদের গণতন্ত্র মানে নিষ্কলুষ এক মিথ্যার স্তুপ।
এই রাষ্ট্রে আজ সংখ্যালঘুরা শুধু “টার্গেট”, “ভিকটিম” আর “পরিসংখ্যান”—মানুষ নয়। তাদের আর্তনাদ মিডিয়ার পাতায় একদিনের হেডলাইন হয়, তারপর আবার নীরবতা। কিন্তু এই নীরবতা একদিন বিস্ফোরণ হবে, এই আগুন যারা জ্বালিয়েছে, সেই #আগুনেই একদিন পুড়ে ছাই হবে এই ভণ্ড শাসকগোষ্ঠী।
এই লেখার উদ্দেশ্য সান্ত্বনা নয়, উদ্দেশ্য হলো আরেকটি ভয়ংকর সত্যকে সোজাসাপ্টা ভাষায়, গলাবাজির তোয়াক্কা না করে বলে ফেলা। অভয়নগরের মতুয়া সম্প্রদায়ের গ্রামে যা ঘটেছে, তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, এবং এর দায় সরাসরি পড়ে মোহাম্মদ ইউনুস ও তার গ্যাংস্টারসুলভ ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের’ ঘাড়ে।
ধর্মীয় #সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এ #বর্বরতা যেন তাদের কুকুরতুল্য শাসনের প্রতীক হয়ে থাকে—যেখানে মানবতা নেই, বিচার নেই, আছে শুধু ঘৃণা, আগুন, আর রক্ত।