যদি বিএনপি তার অবস্থান পরিবর্তন না করে । অতীতেও বিএনপির একই গোয়ামীর জন্য দেশে সেনা শাসন জারি হয়েছিল।
২০০৬ সালে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে কারণ রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ ছিল বিএনপি পন্থী ঠিক বর্তমান রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর মতো। রাজনৈতিক দলগুলো অন্য পাঁচজন প্রার্থীর ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের সূচনা হয় সহিংস বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লগি বৈঠা আন্দোলন নামক বিক্ষোভ শুরু করে এবং প্রথম মাসেই ৪০ জন নিহত হয়, ফলে সেনাবাহিনী জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করে ফখরুদ্দিনকে নতুন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করে রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করে।
বিএনপি অতীতের মতো একই ভুল করছে এবং অলরেডি ভারতের ফাঁদে পা দিয়েছে, বামেরা বিএনপি গতিপথ নির্ধারণ করে দিচ্ছে। আর বিএনপির ইমেজ দিনদিন ধ্বংস হচ্ছে।
সেনাবাহিনী অলরেডি সেই কাজ শুরু করেছে।
গত ৯ মাসে সেনাবাহিনীর যে ইমেজ নষ্ট হয়েছে তা, পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী ধরছে।
এমন অবস্থায় বিএনপি নির্বাচনের জন্য আন্দোলন শুরু করলেই এনসিপি মাঠে নামবে তার সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছে আজ। সাথে নামবে, নামে বেনামে হাজারো তৌহিদি জনতা। মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ আর এই সুযোগে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিবে।
বিএনপির এখন ৬ মাস ধৈর্য ধরতে পারছে না, তখন ৬ বছর ধৈর্য ধরেও নির্বাচন পাবে না। ওয়াকার বিএনপিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখবে না। কারণ সে ভারত নিয়ন্ত্রিত।
বরং বিএনপির নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি দূর্নীতি লুটপাট টেন্ডার বাজি এসব ধরবে আর মানুষের বাহবা পাবে। বিএনপি সেই পথেই হাটছে।
(শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ফেইসবুক পেইজ পোস্ট)